মহম্মদ ইসমাইল

মহম্মদ ইসমাইল (জন্ম ১৯১২) একজন প্রখ্যাত ভারতীয় বামপন্থী রাজনীতিবিদ। তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিক নেতা ছিলেন। মহম্মদ ইসমাইল বিভিন্ন সময় ভারতের আইনসভার সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১]

মহম্মদ ইসমাইল
সাংসদ, লোকসভা
কাজের মেয়াদ
১৯৬৭ – ১৯৭৭
পূর্বসূরীরেণু চক্রবর্তী
উত্তরসূরীসৌগত রায়
সংসদীয় দলভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)
সংসদীয় এলাকাব্যারাকপুর লোকসভা
সাংসদ, লোকসভা
কাজের মেয়াদ
১৯৮৪ -১৯৮৯
পূর্বসূরীসৌগত রায়
উত্তরসূরীদেবী ঘোষাল
সংসদীয় এলাকাব্যারাকপুর লোকসভা
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯১২ (বয়স ১১১–১১২)

মহম্মদ ইসমাইল ১৯১২ সালে ব্রিটিশ ভারতের ইউনাইটেড প্রভিন্স (বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ) রাজ্যের উন্নাও জেলার রঞ্জিতপুরওয়াতে জন্মগ্রহন করেন।

রাজনৈতিক জীবন

সম্পাদনা

১৯৩০ সালে উত্তর প্রদেশ থেকে কলকাতায় চলে আসার পর মহম্মদ ইসমাইল শ্রমিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। ১৯৪৯ সালে তিনি অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির বাংলা কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হন।[২]

১৯৩০ সাল থেকে ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত মহম্মদ ইসমাইল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাথে যুক্ত ছিলেন। শ্রমিক আন্দোলনের সাথে জড়িত থাকার কারনে তিনি তার জীবনের মোট সাত বছর জেলে এবং তিন বছর অজ্ঞাতবাসে কাঁটিয়ে ছিলেন। মহম্মদ ইসমাইল বাংলা, হিন্দি এবং উর্দু ভাষাতে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন।

স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতবর্ষে মহম্মদ ইসমাইল কলকাতার ট্রাম কর্মীদের নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং সেই সময় ট্রাম কর্মীদের একটি সর্বাত্মক ট্রাম ধর্মঘট পালিত হয়, যার ফলে বাংলার শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি্র প্রভাব ব্যাপক ভাবে বেড়ে যায়। ১৯৬৪ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি বিভক্ত হয়ে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) নামে নতুন আরেকটি দল তৈরি হলে মহম্মদ ইসমাইল নবগঠিত সিপিআইএম দলে যোগদান করেন এবং সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি হন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা