মহন্থ ঠাকুর

রাজনীতিবিদ

মহন্থ ঠাকুর (নেপালি: महन्थ ठाकुर) হচ্ছেন একজন নেপালি রাজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি নেপালের জনতা সমাজবাদী পার্টি, (লোকতান্ত্রিক)-এর সভাপতি। এর পূর্বে তিনি নেপালি কংগ্রেস পার্টির কোষাধ্যাক্ষ ছিলেন। [২] নেপালি কংগ্রেস পার্টিতে থাকাকালীন তিনি নেপাল সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। [৩][৪]

মহন্থ ঠাকুর
महन्थ ठाकुर
জনতা সমাজবাদী পার্টি (লোকতান্ত্রিক)-এর সভাপতি
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২০২১
পূর্বসূরীদপ্তর প্রতিষ্ঠিত
প্রতিনিধি সভার ডেপুটি স্পিকার
কাজের মেয়াদ
১৯৯১ – ১৯৯৪
পূর্বসূরীমহেন্দ্র নারায়ণ নিধি
তরাই মাধেশ লোকতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি [১]
কাজের মেয়াদ
২০০৬ – ২০১৭
পূর্বসূরীদপ্তর প্রতিষ্ঠিত
উত্তরসূরীপদ বিলুপ্ত
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1943-02-22) ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩ (বয়স ৮১)
একারহিয়া, মহোত্তরী, নেপাল
রাজনৈতিক দললোকতান্ত্রিক সমাজবাদি পার্টি (২০২১-বর্তমান)
অন্যান্য
রাজনৈতিক দল
নেপালি কংগ্রেস (২০০৬-এর পূর্বে)
তরাই মাধেশ লোকতান্ত্রিক পার্টি (২০০৬-২০১৭)
রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টি (২০১৭-২০২০)
জনতা সমাজবাদী পার্টি (২০২০-২০২১)
শিক্ষাআইনে স্নাতক
প্রাক্তন শিক্ষার্থীত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

মহন্থ ঠাকুর নেপালের মহোত্তরী জেলার পিপারা গ্রাম পৌরসভার আখড়াহিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নেপালি কংগ্রেস পার্টি ছেড়ে তরাই মাধেশ লোকতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি হিসাবে নেপালের মাধেস অঞ্চলের রাজনীতিতে ভূমিকা রাখছেন। তবে তার রাজনৈতিক পটভূমি মূলত নেপালি কংগ্রেস। ১৯৫৯ বা ৬০ খ্রিষ্টাব্দে[ক] (২০১৬ বিসং) ছাত্র রাজনীতি দিয়ে কংগ্রেসে তাঁর যাত্রা শুরু হয়। কংগ্রেস কোষাধ্যক্ষ ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীত্ব ছেড়ে তিনি ২০০৭ বা ০৮ সালে (২০৬৪ বিসং) মাধেশের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।[৫][ভাল উৎস প্রয়োজন] পরবর্তীতে তিনি তরাই মাধেশ লোকতান্ত্রিক পার্টির রাজনীতি ছেড়ে রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন। সবশেষ ২০২০ সালে তিনি রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টি ছেড়ে জনতা সমাজবাদী পার্টি, (লোকতান্ত্রিক) প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৬৯ বা ৭০ সালে (২০১৬ বিসং) ঠাকুর নেপালি কংগ্রেসের অধিভুক্ত ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হন। তিনি নেপাল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় সদস্যও। ছাত্রাবস্থায় রাজা মহেন্দ্রের অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সময় তিনি গ্রেফতার হন।[৬][ভাল উৎস প্রয়োজন] 

 
নেপালের কৃষিমন্ত্রী হিসেবে ভারত সফরে ঠাকুর

জনকপুর থেকে মহন্থের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু। তাঁর জন্মস্থান মহোত্তরী হলেও তাঁর কর্মক্ষেত্র ছিল সরলাহি। তিনি সরলাহি তে আইনজীবী হিসেবে কাজ করতেন। তাই তার রাজনৈতিক সক্রিয়তা ছিল।[৭]

 
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাম বিলাস পাসোয়ানের সঙ্গে ঠাকুর

তিনি সরলাহি থেকে দুবার নির্বাচিত হন এবং ১৯৯১ সালে তাকে নেপালি প্রতিনিধি সভার ডেপুটি স্পিকার করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

মহন্থ ঠাকুরের নিজস্ব জমি বা বাড়ি নেই। কাঠমান্ডুতে তিনি তার মেয়ের সাথে থাকেন। [৫][ভাল উৎস প্রয়োজন] 

সরলাহিতে অবস্থানকালে ১৯৮৮ বা ৮৯ সালে (২০৪৫ বিসং) তার স্ত্রী রান্না করার সময় চুলা বিস্ফোরণে আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে সরলাহির একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। [৫][ভাল উৎস প্রয়োজন]

মহন্থ ঠাকুরের দুই সন্তান ছিল। তার ছেলে একটি দুর্ঘটনায় মারা যায়। সেই সময় তিনি বিপিকেআইএইচএস, ধরন-এ মেডিকেলের ছাত্র ছিলেন। তার মেয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী এবং রাজ্যপাল উমাকান্ত ঝার পুত্রবধূ। [৬][ভাল উৎস প্রয়োজন]

নির্বাচনী ইতিহাস সম্পাদনা

২০১৭ আইনসভা নির্বাচন সম্পাদনা

মহোত্তরী-৩
পার্টি প্রার্থী ভোট
রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টি নেপাল মহন্থ ঠাকুর ২৬,৮৪৫
সিপিএন (ইউনিফায়েড মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) বিজয় কুমার চৌধুরী ৮,৬৭৬
স্বাধীন চন্দেশ্বর ঝা ৪,০২০
বহুজন শক্তি পার্টি যোগেন্দ্র মাহাতো ১,৮৮৪
নেপাল ফেডারেল সোশ্যালিস্ট পার্টি ইউসুফ সাফি ১,২৪১
অন্যান্য ২,১৯৬
অবৈধ ভোট ৪,০৮৯
ফলাফল আরজেপিএন লাভ
সূত্র: নির্বাচন কমিশন

১৯৯৯ নেপালের সাধারণ নির্বাচন সম্পাদনা

সরলাহী-৫
প্রার্থী পার্টি ভোট মন্তব্য
মহন্থ ঠাকুর নেপালি কংগ্রেস ১১৭৬৫ নির্বাচিত
রাম নারায়ণ সিং রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি ১০৮৬০

১৯৯৪ নেপালের সাধারণ নির্বাচন সম্পাদনা

সরলাহী-৫
প্রার্থী পার্টি ভোট মন্তব্য
মহন্থ ঠাকুর নেপালি কংগ্রেস ১৩৬১৫ নির্বাচিত
নন্দ লাল রায় যাদব সম্মিলিত জনমোর্চা নেপাল ৯৩৮০

১৯৯১ নেপালের সাধারণ নির্বাচন সম্পাদনা

সরলাহী-৫
প্রার্থী পার্টি ভোট স্ট্যাটাস
মহন্থ ঠাকুর নেপালি কংগ্রেস - নির্বাচিত

টীকা সম্পাদনা

  1. বঙ্গাব্দের মতোই কোনো একটি নির্দিষ্ট খ্রিষ্টাব্দের প্রথম দিকে ও শেষ দিকে নেপালি বিক্রম সংবত ভিন্ন হয়। তাই বিক্রম সংবতের মাস জানা না থাকলে নির্দিষ্ট করে খ্রিষ্টাব্দ নির্ণয় করা সম্ভব নয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "After losing party chair, Mahantha Thakur is in dilemma" 
  2. "After losing party chair, Mahantha Thakur is in dilemma"kathmandupost.com (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৩ 
  3. "eKantipur.com - Nepal's No.1 News Portal"। ২০০৭-১২-২৯। ২৯ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৩ 
  4. "2002-00-00 - report - FES | २०५८-००-०० - प्रतिवेदन - एफईएस"nepalconflictreport.ohchr.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৩ 
  5. "ठाकुर जस्को आफ्नो घर छैन, श्रीमती र छोराको मृत्यु"Etajakhabar (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৮-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৩ 
  6. रातोपाटी। "महन्थ ठाकुर : राजनीतिका एक सन्यासी !"RatoPati (Nepali ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৩ 
  7. "राजनीतिक जीवनको उत्तरार्धतिर पार्टीविहीन महन्थ"Online Khabar (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৩