মহতী
মহতী (জন্ম ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫) হলেন একজন ভারতীয় কর্ণাটকীয় সঙ্গীতজ্ঞ ও নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী। তিনি তামিল চলচ্চিত্রের কাজ করে থাকেন, পাশাপাশি কয়েকটি কন্নড় ও তেলুগু চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন। তিনি দুইবার শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী বিভাগে তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন।[১]
মহতী | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | এস. মহতী |
জন্ম | পালক্কাড়, কেরল, ভারত | ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫
ধরন | কর্ণাটকীয়, নেপথ্য সঙ্গীত |
পেশা | নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী |
বাদ্যযন্ত্র | কণ্ঠ |
কার্যকাল | ২০০৩-বর্তমান |
ওয়েবসাইট | mahathimusic |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনামহতী ১৯৮৫ সালের ১০ই এপ্রিল কেরলের পালক্কাড়ের এক সঙ্গীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শ্রী তিরুভাইয়ারু পি. শেখর একজন কর্ণাটকীয় কণ্ঠশিল্পী এবং মাতা বসন্তী শেখর একজন বংশীবাদক।[২] তার প্রপিতামহ ছিলেন সঙ্গীত কালনিধি পাজামানেরি স্বামীনাথ আইয়ার। তার পিতা নয় বছর এম. বালমুরালিকৃষ্ণের শিষ্য ছিলেন এবং তার গুরুর সুরারোপিত একটি রাগের নামানুসারে তার কন্যার নাম রাখেন মহতী।[১] মহতী তার পিতামাতার নিকট সঙ্গীতের প্রারম্ভিক শিক্ষা লাভ করেন।[২]
মহতীর পরিবার তিরুবনন্তপুরমে চলে গেলে সেখানে তিনি ললিতা ও গায়ত্রীর নিকট এবং পরে ত্রিসুর যাওয়ার পর মঙ্গদ কে. নাতেসনের নিকট সঙ্গীতের তালিম নেন।[১] তিনি ত্রিশূরের হরি শ্রী বিদ্যা নিধি স্কুলে ও পরে কোচিনের স্যাক্রেড হার্ট কনভেন্টে পড়াশোনা করেন। চেন্নাইয়ের মীনাক্ষী কলেজ থেকে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনানেপথ্য সঙ্গীত
সম্পাদনা২০০১ সালে তার মা তাকে ইলাইয়ারাজার নিকট আশীর্বাদ গ্রহণের জন্য নিয়ে যান। ইলাইয়ারাজা তাকে গান গাইতে বলেন। এর কিছুদিন পর তিনি তার সুরে কাধল জাতি চলচ্চিত্রের জন্য "এন্না মরন্থলুম" গান রেকর্ড করেন। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়নি, কিন্তু এই অভিজ্ঞতা তাকে সামনে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে। তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত গান হল তামিল চলচ্চিত্র সামি (২০০৩)-এ হ্যারিস জয়রাজের সুরে হরিহরণের সাথে "আইয়াইয়ো পুডিচিরুক্কু"।[১] পরবর্তী কালে তার গাওয়া পারিজাতম (২০০৬) চলচ্চিত্রের গানগুলি জনপ্রিয়তা লাভ করে।[২] ২০০৮ সালে ভীম (২০০৮) চলচ্চিত্রের "মুধল মাজাই" গানের জন্য শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী বিভাগে আন্তর্জাতিক তামিল চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এটি তার গৃহীত প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার।[৩] একই বছরের নেনজাতাই কিল্লাধে চলচ্চিত্রের "নায়েরা বারাত্তুমা" গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী বিভাগে তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[৪] পরের বছর তিনি অয়ন (২০০৯) চলচ্চিত্রের "নেঞ্জে নেঞ্জে" গানে কণ্ঠ দিয়ে টানা দ্বিতীয়বার তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[৫]
টেলিভিশন কর্ম
সম্পাদনামহতী দূরদর্শন পধিগাই টিভিতে রাঘবের সাথে সঙ্গীত ভিত্তিক কুইজ অনুষ্ঠান "আহা পাদলম"-এর সঞ্চালক ছিলেন।[৬] ২০০৫ সালের অক্টোবরে তিনি অভিনেতা পর্থিবনের সাথে জয়া টিভি'র আয়োজিত ইলাইয়ারাজার লাইভ কনসার্ট "আন্ড্রুম ইন্ড্রুম এন্ড্রুম" সঞ্চালনা করেন।[৭]
টেলিভিশনে উপস্থাপনার পাশাপাশি তিনি কয়েকটি সঙ্গীত প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের বিচারকের ভূমিকা পালন করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে কৈরালি টিভি'র গন্ধর্ব সঙ্গীতম ও গন্ধর্ব সঙ্গীতম জুনিয়র [৮] এবং বিজয়া টিভি'র সুপার সিঙ্গার ও সুপার সিঙ্গার জুনিয়র। তিনি কর্ণাটকীয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান তনিষ্ক স্বর্ণ সঙ্গীতম-এর ১ম, ২য় ও ৩য় মৌসুমে অতিথি বিচারকের ভূমিকা পালন করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনামহতীর স্বামী শ্রীকুমার একজন দন্ত চিকিৎসক। তাদের এক পুত্র রয়েছে, তার নাম সমর্থ।[২]
তিনি চেন্নাইয়ে বসবাস করেন। সঙ্গীতে তার অনুরাগ থেকে তিনি ২০০৩ সালে চেন্নিয়া মহতী নৃত্য ও সঙ্গীত অকাদেমি প্রতিষ্ঠা করেন। এই স্কুলে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ সুন্দর, রিমা (১৭ আগস্ট ২০১৭)। "'I cherish the experience of learning from maestros'"। দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ শ্রীকান্ত, মৈত্রী (৯ নভেম্বর ২০১১)। "Born to sing"। দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Mahathi gets fourth time lucky"। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ মে ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Rajini, Kamal win best actor awards"। চেন্নাই: দ্য হিন্দু। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯। ১ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২০।
- ↑ "TN Govt. announces Tamil Film Awards for six years"। দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Aaha Paadalam"। দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। চেন্নাই। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৪। ১১ জুলাই ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২০।
- ↑ "The Raja still reigns supreme"। দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। চেন্নাই। ২১ অক্টোবর ২০০৫। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Youngsters are more serious about music: says Mahathi"। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ জানুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২০।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে