মসৃণ অবতরণ বলতে কোনও বিমান, রকেট বা মহাকাশযানের এমন এক ধরনের অবতরণকে বোঝায়, যার ফলে যানটি বা যানটির মূল্যবান বোঝার কোনও তাৎপর্যপূর্ণ ক্ষতি বা ধ্বংস সাধন হয় না, যা রুক্ষ অবতরণ হলে ঘটে থাকে। একটি মসৃণ অবতরণের সময় যানটির উল্লম্ব দ্রুতি প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২ মিটার বা তার কম হতে হয়।[১]

একটি স্পেস-এক্স ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল জলে অবতরণ করছে
দুইটি ফ্যালকন হেভি সাইড বুস্টার রকেট ভিটিভিএল প্রযুক্তির সাহায্যে মসৃণ অবতরণ সম্পন্ন করছে (২০১৮)
একটি এয়ারবাস ১৩৮০ বিমান ২০০৭ সালের প্যারিস বিমান প্রদর্শনীতে একটি অনুভূমিক মসৃণ অবতরণ সম্পাদন করছে।

মসৃণ অবতরণ বেশ কিছু পদ্ধতিতে সাধিত হতে পারে। যেমন প্যারাশুট তথা অবতরণ-ছত্র ব্যবহার করা হতে পারে; প্রায়শই জলে অবতরণের (Splashdown) সময় এটি ব্যবহৃত হয়। আবার উল্লম্ব রকেট শক্তি ব্যবহার করেও এটি সম্পাদন করা হতে পারে, যাকে রকেটের ক্ষেত্রে উল্লম্ব ভূমিত্যাগ, উল্লম্ব অবতরণ (Vertical Take-off, Vertical landing সংক্ষেপে VTVL) এবং বিমানের ক্ষেত্রে উল্লম্ব ভূমিত্যাগ ও অবতরণ (Vertical take-off and landing) নামে ডাকা হয়। বেশির ভাগ বিমান ও কিছু মহাকাশযান (যেমন স্পেস শাটল তথা নভোখেয়াযান, অবতরণ-ছত্রের সাহায্যে) অনুভূমিক অবতরণের মাধ্যমে মসৃণ অবতরণ সম্পন্ন করে। কখনও কখনও উড়োযান বা উড়ন্ত বস্তুটিকে মাঝ আকাশে ধরে ফেলে অন্য কোনও উপায়ে অবতরণ করানো হয় (যেমনটি করা হয় করোনা গুপ্তচর উপগ্রহগুলির ক্ষেত্রে)। আরেকটি ব্যতিক্রমী উপায় হল গ্রহ বা উপগ্রহ পৃষ্ঠের উপরে হড়কে বা পিছলে অবতরণ করা, যাতে শিলাময় পৃষ্ঠতলের সাথে হড়কানো মহাকাশযানের দেহের ঘর্ষণ যানের গতিবেগ কমিয়ে দিয়ে এক ধরনের আপাত মসৃণ অবতরণ সম্ভব, এবং এর ফলে যানটির মূল্যবান বোঝা অক্ষত থাকে; একে শিলা-গতিরোধ (Lithobraking) বলে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Sreedhar, Vidya (২০২৩-০৮-২৩)। "Chandrayaan-3 Effect! These 7 space-related stocks scale 52-week highs"The Economic Timesআইএসএসএন 0013-0389। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২৭ 

টেমপ্লেট:Rocket-stub