মলা বা এ্যাম্বলিফারিংডন বা মৌরোলা হচ্ছে স্বাদু পানির মাছের একটি গণের নাম। এদের দেহ দুই পাশ থেকে চ্যাপ্টা এবং লম্বা। এর লেজ দুইবিভক্ত।

Amblypharyngodon
Amblypharyngodon chulabhornae
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Chordata
শ্রেণী: Actinopterygii
বর্গ: Cypriniformes
পরিবার: Cyprinidae
উপপরিবার: Danioninae
গণ: Amblypharyngodon
Bleeker, 1860
Species

See text

প্রজাতি সম্পাদনা

এ্যাম্বলিফারিংডন গণে ৫টি গৃহীত প্রজাতি রয়েছে।[১]

শ্রেণীবিন্যাস সম্পাদনা

Cypriniiformes বর্গের Cyprinidae। যার ইংরেজি নাম Amblypharyngodon mola। এটি বাংলাদেশের স্থানীয় মাছ

বাসস্থান সম্পাদনা

এটি একটি মিঠা পানির মাছ। এটি বেশিরভাগ পুকুর, ডোবা বা বদ্ধ জলাশয়ে পাওয়া যায়।

চাষ পদ্ধতি সম্পাদনা

এই মাছ ছোট পুকুর যেমন :০.২ একরের কম জায়গায়ও চাষ করা যায়। তাছাড়া ডোবা ও গর্তেও এই মাছ চাষ করা যায়।

রন্ধন প্রণালী সম্পাদনা

 
মৌরোলা মাছের ঝালভাজা

এই মাছ সাধারণত ঝোল দিয়ে রান্না করা হয়।

পুষ্টিমানের অন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সম্পাদনা

হ্যাচারিতে মলার রেণু উৎপাদন করে জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদক পেয়েছেন ময়মনসিংহের মৎস্য খামারি নুরুল হক। ডেনমার্কের কোপেন হেগেন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক পুষ্টিবিদ ড. শকুন্তলা থিলস্টেড এই মাছ নিয়ে তার গবেষণা এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাছটিকে জনপ্রিয় করতে অবদান রাখায় গত বছর বিশ্ব খাদ্য সংস্থার পুরস্কার লাভ করেন। তার গবেষণায় প্রমাণিত হয়, কম মূল্যের এবং স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য এই মলায় উচ্চ মাত্রার একাধিক প্রয়োজনীয় অণুপুষ্টি ও ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা শিশুদের মস্তিষ্কের গঠন ও বিকাশের জন্য অনন্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম। তিনি গবেষণায় দেখান, শিশুদের জীবনের প্রথম এক হাজার দিন বিকাশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় শিশু ও মায়েদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের জন্য জীবন গঠনকারী সব খাদ্যমান নিশ্চিত করতে পারে মলা মাছ।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিসংযোগ সম্পাদনা