ময়ূরেশ্বর

পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার ময়ুরেশ্বর ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একটি গ্রাম

ময়ূরেশ্বর হল ভারত রাষ্ট্রের পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গরাজ্যের বীরভূম জেলার রামপুরহাট মহকুমার ময়ূরেশ্বর-২ সিডি ব্লকের অন্তর্গত একটা গ্রাম এবং গ্রাম পঞ্চায়েত।

ময়ূরেশ্বর
গ্রাম
ময়ূরেশ্বর পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
ময়ূরেশ্বর
ময়ূরেশ্বর
অবস্থান পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৯′২৭″ উত্তর ৮৭°৪৫′৫৩″ পূর্ব / ২৩.৯৯০৭৮° উত্তর ৮৭.৭৬৪৭৩৪° পূর্ব / 23.99078; 87.764734
দেশ ভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
জেলাবীরভূম
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১১,১৪২
ভাষাসমূহ
 • সরকারিবাংলা, ইংরেজি
সময় অঞ্চলIST (ইউটিসি+5:30)
পিন৭৩১২১৩ (ময়ূরেশ্বর)
টেলিফোন কোড০৩৪৬২
লোকসভা ক্ষেত্রবোলপুর
বিধানসভা ক্ষেত্রময়ূরেশ্বর
ওয়েবসাইটbirbhum.nic.in

ভূবিজ্ঞান সম্পাদনা


অবস্থান সম্পাদনা

সিডি ব্লক সদর দফতর কোটাসুর ময়ূরেশ্বর থেকে ১০ কিমি দূরে অবস্থিত। জেলা সদর দফতর সিউড়ির দূরত্ব এখান থেকে ৩০ কিমি।[১]

থানা সম্পাদনা

ময়ূরেশ্বর ১ এবং ময়ূরেশ্বর ২ সিডি ব্লকগুলো ময়ূরেশ্বর থানা অধিক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে।[২][৩]

গ্রাম পঞ্চায়েত সম্পাদনা

ময়ূরেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ গ্রামগুলি হল: ব্রাহ্মণবহরা, চাউলজা, কামারহাটি, কুশতোর, ময়ূরেশ্বর, পরমতোর এবং সিঙ্গারি।[১]

সংক্ষিপ্ত বিবরণ সম্পাদনা

রামপুরহাট মহকুমার উত্তর ভাগটা (মানচিত্রে পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে) নালহাটি সমতলের একটা অংশ, এটা এক উপ-সূক্ষ্ম ভূমিবৃত্তীয় অঞ্চল, এবং দক্ষিণ ভাগটা ব্রাহ্মণী-ময়ূরাক্ষী অববাহিকার মধ্যে পড়ে; অন্যদিকে আর একটা উপ-সূক্ষ্ম ভূমিবৃত্তীয় অঞ্চল, যেটা উত্তর দিকে ব্রাহ্মণী এবং দক্ষিণ দিকে ময়ূরাক্ষী নদীর অববাহিকার মাঝামাঝি জায়গা দখল করে আছে। এই মহকুমার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু অংশ জুড়ে মাঝে মাঝে সাঁওতাল পরগনার গা ঘেঁষে রাজমহল পাহাড় অতিক্রম করেছে। মানচিত্র খুললে দেখা যাবে যে, পশ্চিমে সাঁওতাল পরগণা ও পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সীমানা অবস্থিত। পূর্ব দিকে আছে মুর্শিদাবাদ জেলা। পদ্মা নদীর একটা সামান্য অংশ এবং বাংলাদেশের সীমান্ত (মোটা রেখা) মানচিত্রের উত্তর-পূর্ব কোণে দেখা যায়।[৪] রামপুরহাট মহকুমার মোট জনসংখ্যার ৯৬.৬২ শতাংশ মানুষ গ্রাম অঞ্চলে এবং ৩.৩৮ শতাংশ মানুষ শহরাঞ্চলে বসবাস করেন।[৫]

জনসংখ্যাবিষয়ক তথ্য সম্পাদনা

ভারতের জনগণনা ২০১১ অনুযায়ী মায়ূরেশ্বরের মোট জনসংখ্যা ছিল ১১,১৪২ জন, তন্মধ্যে, ৫,৬৫০ জন হলেন পুরুষ (৫১ শতাংশ) এবং ৫,৪৯২ জন মহিলা (৪৯ শতাংশ)। মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৬ বছরের নিচে ছিল ১,৫০২ জন। ময়ূরেশ্বরে মোট সাক্ষর মানুষের সংখ্যা ছিল ৬,৫২১ জন (৬ বছর বয়সের বেশি মানুষের সংখ্যা ছিল ৬৭.৬৫ শতাংশ)।[৬]

পরিবহন সম্পাদনা

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সড়ক ১১, মহম্মদ বাজার থেকে রানাঘাট হয়ে ময়ূরেশ্বরের কাছাকাছি দিয়ে চলেছে।[৭]

ডাক ঘর সম্পাদনা

ময়ূরেশ্বরে একটা ডেলিভারি উপ ডাকঘর আছে যেটা সিউড়ির মুখ্য ডাকঘরের পিন কোড ৭৩১২১৩ নম্বরের আওতায়। ব্রাহ্মণবহরা, ছামনা ছোটোতুরিগ্রাম, দাসপালসা, কলেশ্বর, কানুটিয়া, কোটাসুর, কুলিয়ারা, কুসুমি, মহুরাপুর এবং পারুলিয়ায় অবস্থিত শাখা ডাকঘরগুলো একই পিন ব্যবহার করে।[৮]

সংস্কৃতি সম্পাদনা

১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে ময়ূরেশ্বরে সরকার পোষিত একটা গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যার নাম কৃপনাথ স্মৃতি পাঠাগার। এই গ্রন্থাগারের নিজস্ব পাকা ভবন আছে।[৯]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Indian Village Directory"Mayureswar। villageinfo.in। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  2. "District Statistical Handbook 2008, Birbhum" (পিডিএফ)Table 2.1। Bureau of Applied Economics and Statistics, Government of West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ 
  3. "Birbhum Police"Police Stations। West Bengal Police। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ 
  4. "District Census Handbook Birbhum, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Page 15: Physiography। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ 
  5. "2011 Census - Primary Census Abstract Data Tables"West Bengal – District-wise। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ 
  6. "2011 Census – Primary Census Abstract Data Tables"West Bengal – District-wise। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  7. Google maps
  8. "Birbhum Postal Zip Code Finder by Post Office"। pincodezip.in। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  9. "List of Govt. Sponsored Libraries in the district of BIRBHUM" (পিডিএফ)। Government of West Bengal। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮