মঞ্জুশ্রী দাশ
মঞ্জুশ্রী দাশ (১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৩১ - ১৯ মার্চ ১৯৯৫) ছিলেন একজন বাঙালি কবি ও লেখক এবং রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের একমাত্র মেয়ে।
মঞ্জুশ্রী দাশ | |
---|---|
জন্ম | ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৩১ |
মৃত্যু | ১৯ মার্চ ১৯৯৫ |
মাতৃশিক্ষায়তন | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
পিতা-মাতা | জীবনানন্দ দাশ (পিতা) লাবণ্য দাশ (মাতা) |
জন্ম ও পরিবার
সম্পাদনামঞ্জুশ্রী দাশের জন্ম হয় এক ব্রাহ্ম পরিবারে। ১৯৩১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বর্তমান বাংলাদেশের বরিশাল শহরের বগুড়া রোডের (বর্তমানে জীবনানন্দ দাশ সড়ক) সর্বানন্দ ভবনে তার জন্ম হয়। বিখ্যাত বাঙালি কবি জীবনান্দ দাশ তার পিতা ও লাবণ্য দাশ তার মাতা। কবি কুসুমকুমারী দাশ তার পিতামহী এবং সত্যানন্দ দাশ তার পিতামহ। সমরানন্দ দাশ তার ভাই। মঞ্জুশ্রী দাশ জীবনানন্দ-লাবণ্য দম্পতির প্রথম সন্তান।[১]
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাতিনি শৈশব থেকেই কবিতা লেখা শুরু করেন। মাত্র ১০ বছর বয়সে তার লেখা “পাখী” কবিতাটি, শ্রীমঞ্জু দাশ নামে, প্রকাশিত হয় “মাতৃভূমি” পত্রিকার আষাঢ় ১৩৫০ (জুলাই ১৯৪৩) সংখ্যায়।মঞ্জুশ্রী দাশের পিতা জীবনানন্দ দাশ ১৯৪৭-এ দেশভাগের কিছু আগে সপরিবারে অধুনা বাংলাদেশ অর্থাৎ তৎকালীন পূর্ব বাংলা ত্যাগ করেন এবং কলকাতায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
শিক্ষা ও কর্মজীবন
সম্পাদনামঞ্জুশ্রী জার্মান ভাষা শিখেছেন কিছুকাল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার ছাত্রী ছিলেন। বাবার উপর পিএইচডি শুরু করে শেষ করেননি।তার নানা সময়ের সরাসরি শিক্ষক, সহপাঠীদের বরাতে জানা যায়, তিনি ছিলেন অস্থিরচিত্ত, এলোমেলো, সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতেন। মঞ্জুশ্রীর কর্মজীবন ছিল তাঁর বাবার মতোই অস্থির, অনিশ্চিত। কোথাও যেন নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। তিনিও শিক্ষকতা করেছেন। বাবার মতোই চাকরি খুইয়েছেন। প্রেমিক মধুসূদন সান্যালের সঙ্গে বিয়ে বহির্ভূত দার্জিলিং যাত্রার কারণে সাউথ পয়েন্ট স্কুল থেকে চাকরি হারিয়েছিলেন।রেডিওতে কাজ করেছেন। জার্মানিতেও চাকরি করেছেন কিছুদিন। কিন্তু কোথাও স্থির হতে পারেননি। জীবনানন্দ দাশের ভাইয়ের ছেলে অমিতানন্দ দাশ জানাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অনুরোধ করে মঞ্জুশ্রীকে আরেকটি চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয় লেবার ডিপার্টমেন্টে। শেষ জীবনে মঞ্জুশ্রী পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমিতেও চাকরি করেন। সেই চাকরিটা পাওয়ার ক্ষেত্রে কলকাতায় কয়েকজন জীবনানন্দ অনুরাগীর ভূমিকা ছিল।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "মেয়ের সঙ্গে কেমন ছিল জীবনানন্দের সম্পর্ক"। প্রথম আলো। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২৪।