ভ্যানেসা লরেন্স
ভ্যানেসা ভিভিয়েন লরেন্স (জন্ম: ১৪ জুলাই ১৯৬২) একজন ব্রিটিশ ব্যবসায়ী, ভূগোলবিদ এবং বক্তা যিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কাজ করছেন।
ভ্যানেসা লরেন্স জিবিআর, সিবি, এফআরজিএস, এফআরআইসিএস, এফআরএসজিএস | |
---|---|
![]() | |
ডিরেক্টর-জেনারেল ও প্রধান নির্বাহী, অর্ডান্যান্স সার্ভে | |
কাজের মেয়াদ ২০০০ – এপ্রিল, ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | ডেভিড উইলি |
উত্তরসূরী | নীল অ্যাক্রোয়িড |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | অ্যামেরশাম, বাকিংহ্যামশায়ার[১] | ১৪ জুলাই ১৯৬২
২০০০ সাল থেকে ২০১৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত তিনি গ্রেট ব্রিটেনের জাতীয় মানচিত্র তৈরিকারক সংস্থা অর্ডানেন্স সার্ভের ডিরেক্টর-জেনারেল এবং প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। [২] তিনি ছিলেন এই পদে অধিষ্ঠিত প্রথম মহিলা এবং তার বিদায়ের মুহূর্তে বিগত এক-শতাব্দীর মধ্যে সকল পূর্বসূরীদের চেয়ে দীর্ঘ সময় ব্যাপী প্রধানের দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি। [৩][৪][৫]
২০০৮ সালের জানুয়ারিতে লরেন্সকে নববর্ষ সম্মাননার (নিউ ইয়ার্স অনার্স) তালিকায় সর্বাধিক সম্মানজনক বাথ অর্ডারের সহচর বা কম্প্যানিয়ন অব মোস্ট অনারেবল অর্ডার অব দ্য বাথ (সিবি) হিসেবে ভূষিত করা হয়েছিল। [৬] তিনি পুর প্রকৌশল জরিপ ইনস্টিটিউশন (ইনস্টিটিউশন অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভেয়ার্স) এবং রয়েল প্রকৌশল একাডেমির সম্মানসূচক সভ্য অর্থাৎ ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন। [৭] তিনি রয়েল চার্টার্ড সার্ভেয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ফেলো, চার্টার্ড ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের সহযোগী,[৮] রয়েল ভূগোল সমিতির ফেলো, রয়েল-স্কটিশ ভূগোল সমিতির সম্মানসূচক ফেলো[৯] এবং চার্টার্ড ভূগোলবিদ হিসেবেও নিযুক্ত রয়েছেন। [১০]
তার সরকারী কর্মজীবনে তিনি এসিইর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্বোধনী সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন যা বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, বাণিজ্য তহবিল এবং অ-বিভাগীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধান নির্বাহীদের প্রতিনিধিত্ব করে।[১১] এর পাশাপাশি তিনি ভৌগোলিক তথ্য প্যানেলেরও সভাপতি ছিলেন।[১২][১৩][১৪] এছাড়াও তিনি উপ-প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় [১৫] এবং উন্মুক্ত ভূস্থানিক কনসোর্টিয়ামের অ-নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[১৬]
সরকারের সঙ্গে কাজ করার পূর্বে তিনি লঙম্যান গ্রুপের পিয়ার্সন পিএলসি এবং অটোডেস্কে কর্মরত ছিলেন।[১৭][১৮][১৯]
রয়েল স্কটিশ ভূগোল সমিতি থেকে তাকে অসামান্য প্রতিভা এবং বিশ্বব্যাপী খ্যাতির জন্য স্কটিশ ভূগোল পদক প্রদান করা হয়েছিলো।[২০] ২০০৮ সালে ইনস্টিটিউট অব ডিরেক্টরস থেকে তিনি বর্ষসেরা সাউথ-ইস্ট ডিরেক্টর (ডিরেক্টর অব দ্য ইয়ার) পুরস্কার অর্জন করেছেন[২১] এবং ২০০০-২০১০ সালের দশকসেরা ভূস্থানিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেও স্বীকৃত হয়েছিলেন। [২২]
২০০৮ সালে, তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিষদে যোগ দেন[২৩] এবং ২০০১ সাল থেকে সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিষদে দায়িত্ব পালন করেছেন।[২৪]
২০১১ সালে, জাতিসংঘ—বৈশ্বিক ভূস্থানিক তথ্য ব্যবস্থাপনা বা গ্লোবাল জিওস্প্যাটিয়াল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট (ইউএন-জিজিআইএম) সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিষ্ঠাকালীন সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য লরেন্সকে নির্বাচিত করেছিলো জাতিসংঘ। [২৫][২৬][২৭][২৮] ভৌগোলিক তথ্যে সরকারি এবং বেসরকারি খাতের জন্য শীর্ষস্থানীয় বিশ্ব কর্তৃপক্ষ হিসাবে "ইউএন-জিজিআইএম"কে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াসে অন্যদের সাথে অব্যাহতভাবে চার বছর ধরে তিনি এই দায়িত্ব পালন করেছিলেন। চার বছর শেষে ইউএন-জিজিআইএম ত্যাগ করার পরে, তাকে আন্ডার–সেক্রেটারি-জেনারেল ড. উ হংবো একটি প্রশংসামূলক সনদপত্র (সার্টিফিকেট অব অ্যাপ্রিসিয়েশন) প্রদান করেন।[২৯][৩০]
২০১৫ সালে, লরেন্সকে স্যাটেলাইট অ্যাপ্লিকেশন ক্যাটাপল্ট লিমিটেডের অ-নির্বাহী পরিচালক,[৩১] বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ভূ-স্থানিক সংক্রান্ত তথ্যের জন্য বৈশ্বিক উপদেষ্টা,[৩২][৩৩] লোকেশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক[৩৪] এবং আরবান বিগ ডাটা সেন্টারের উপদেষ্টা গ্রুপের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
এছাড়াও তিনি ১৩৫ স্কোয়াড্রন রয়েল ইঞ্জিনিয়ার্সের সম্মানসূচক (অনারারি) কর্নেল,[৩৫][৩৬] সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত (অ্যাডজাঙ্ক্ট) অধ্যাপক,[৩৭] কিংস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শন অধ্যাপক,[৩৮] ভূগোল সঙ্ঘের (অ্যাসোসিয়েশন) সম্মানসূচক ভাইস-প্রেসিডেন্ট,[৩৯] রয়েল জিওগ্রাফিকাল সমিতি [৪০][৪১] ও উইনচেস্টার বিজ্ঞান কেন্দ্রের ট্রাস্টি[৪২] এবং কুরি পার্কিনসন ট্রাস্ট [৪১] ও ম্যাপঅ্যাকশনের একজন পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।[৪৩]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ England & Wales, Civil Registration Birth Index, 1916–2007
- ↑ 1 2008 New Year Honours: The London Gazette: (Supplement) no. 58557. pp. 1–26. 29 December 2007.
- ↑ "Lawrence to leave Ordnance Survey after 14 years - Civil Service World"। www.civilserviceworld.com। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Major chief executive to step down"। Daily Echo। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ Hipwell, Deirdre (২ এপ্রিল ২০১৪)। "Ordnance Survey chief plots surprise departure"। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮ – www.thetimes.co.uk-এর মাধ্যমে।
- ↑ 2008 New Year Honours: The London Gazette: (Supplement) no. 58557. pp. 1–26. 29 December 2007.
- ↑ http://www.raeng.org.uk/about-us/the-fellowship
- ↑ 6 http://www.managementtoday.co.uk/news/831161/Chartered-Management-Institute-Opinion/?DCMP=ILC-SEARCH
- ↑ "Honorary Fellowship (FRSGS) - RSGS"। rsgs.org। ১৯ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ 8 https://www.rgs.org/NR/rdonlyres/5F21828E-806B-4613-AFE8-6FE11CAA4985/0/RegisterofCharteredGeographers_June2014.pdf ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে
- ↑ 9 http://www.wired-gov.net/wg/wg-news-1.nsf/54e6de9e0c383719802572b9005141ed/5edca28099d46018802572ab004bd10f?OpenDocument
- ↑ "[geo-discuss] [Fwd: UK GI Strategy Workshop 23 June]"। Lists.okfn.org। ২০০৬-০৬-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-৩০।
- ↑ "UK Location Strategy: Ordnance Survey: 9 Jan 2008: Hansard Written Answers - TheyWorkForYou"। TheyWorkForYou। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Place matters: the Location Strategy for the United Kingdom" (PDF)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-৩০।
- ↑ http://webarchive.nationalarchives.gov.uk/20060502043818/odpm.gov.uk/pub/450/ODPMorganisationchart_id1165450.pdf
- ↑ "The OGC Elects Directors"। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৭ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ 16 https://books.google.com/books?id=u0tb0W0-rK4C&pg=PA62&lpg=PA62&dq=Vanessa+Lawrence+Longman&source=bl&ots=QioLC7fgu9&sig=wPzey4RhsTLn8aOwpg-TX_CjKFQ&hl=en&sa=X&ved=0ahUKEwjwv4nuhcXNAhXHJsAKHTusBJMQ6AEIRjAK#v=onepage&q=Vanessa%20Lawrence%20Longman&f=false
- ↑ 17 https://books.google.com/books?id=SHp_BAAAQBAJ&pg=PT12&lpg=PT12&dq=Vanessa+Lawrence+Longman&source=bl&ots=JqHq8oMoAQ&sig=9MIB8U2Ncyiy2Q9a54OTo7c1LCI&hl=en&sa=X&ved=0ahUKEwjwv4nuhcXNAhXHJsAKHTusBJMQ6AEIUjAN#v=onepage&q=Vanessa%20Lawrence%20Longman&f=false
- ↑ "Scottish Geographical Medal - RSGS"। rsgs.org। ১৭ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Ordnance Survey Boss Director of the Year"। www.hydro-international.com। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Geospatial World forum 2011"। geospatialworldforum.org। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Two new external members appointed to Council"। ৫ জানুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Dr Vanessa Lawrence opens new university research hub"। Ordnance Survey। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "Dr Vanessa Lawrence, Co-Chair UN-GGIM: Exclusive Interview"। ২৮ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ Division, United Nations Statistics। "UNSD — UN-GGIM"। ggim.un.org। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "YouTube"। www.youtube.com। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Talking GI at UN-GGIM - Ordnance Survey Blog"। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Award of Certificate of Appreciation: UN-GGIM Co-Chair Dr. Vanessa Lawrence"। United Nations Committee of Experts on Global Geospatial Information Management। ২১ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "Vanessa Lawrence honoured for her contribution to UN-GGIM - UNGGIM: Europe"। un-ggim-europe.org। ৩০ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Dr Vanessa Lawrence CB - Non-Executive Director - Catapult"। ৩০ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Geodesy on the World Bank's agenda"। Kartverket। ৯ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "Session Overview"। Conftool। ১৫ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "LOCATION INTERNATIONAL LTD - Officers (free information from Companies House)"। beta.companieshouse.gov.uk। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Colonel inspects her squadron"। Surrey Comet। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Colonel inspects her squadron"। This Is Local London। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Professor Vanessa Lawrence - Geography and Environmental Science - University of Southampton"। www.southampton.ac.uk। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Centre for Engineering, Environment and Society Research - Faculty of Science, Engineering and Computing - Kingston University"। sec.kingston.ac.uk। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ GA Introducing The Geographical Association.pdf
- ↑ http://charities.findthecompany.co.uk/l/203297/Royal-Geographical-Society-With-The-Institute-Of-British-Geographers-in-London-England[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "Patrons"। ৩০ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "About Us - Winchester Science Centre & Planetarium"। www.winchestersciencecentre.org। ২৯ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Our supporters – MapAction"। www.mapaction.org। ১১ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- অধ্যাদেশ জরিপের মহাপরিচালকের তালিকা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ জুলাই ২০২০ তারিখে