ভৌত নিরাপত্তা বলতে কোন সুযোগ-সুবিধা, যন্ত্রপাতি, উপকরণ সামগ্রী এবং সম্পদে কারও অননুমোদিত ব্যবহার তথা প্রবেশাধিকার ও হস্তক্ষেপ রোধে এবং গুপ্তচরবৃত্তি, চুরি, অগ্নি সুরক্ষা অথবা সন্ত্রাসী হামলার মতো ক্ষতি বা ধ্বংসসাধনের হাত থেকে কর্মী এবং সম্পত্তির সুরক্ষার্থে প্রণীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়ে থাকে।[১] আন্তঃনির্ভর ব্যবস্থাদির একাধিক স্তরের ব্যবহার ভৌত নিরাপত্তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত; এদের মধ্যে থাকতে পারে সিসিটিভি নজরদারি, নিরাপত্তা রক্ষী, সুরক্ষা প্রাচীর, তালা, অ্যাক্সেস কন্ট্রোল, সীমান্তে অনুপ্রবেশ সনাক্তকরণ, প্রতিবন্ধকতা তৈরিকারী বিভিন্ন ব্যবস্থা, অগ্নি সুরক্ষাব্যবস্থাসহ ব্যক্তি এবং সম্পত্তি সুরক্ষার্থে পরিকল্পিত বিবিধ ব্যবস্থা।

আধুনিক কারাগারগুলো সর্বাধিক ভৌত নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলোর মধ্য একটি যেখানে প্রায় প্রতিটি এলাকা কঠোর প্রবেশাধিকার এবং নজরদারির অধীন। চিত্রে ইসরায়েলের শাটা কারাগারের বাইরের অংশ দেখানো হয়েছে – উঁচু দেয়াল, ব্লেডযুক্ত তার, সুরক্ষা প্রাচীর, প্রহরী টাওয়ার এবং আলো ব্যবহারের মাধ্যমে এটি নিরাপদ রাখা হয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Chapter 1: Physical Security Challenges"। Field Manual 3-19.30: Physical Security। Headquarters, United States Department of Army। ২০০১। ২০১৩-০৩-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।