ভোলানাথ বড়ুয়া

(ভোলানাথ বরুয়া থেকে পুনর্নির্দেশিত)

ভোলানাথ বরুয়া একজন অসমীয়া উদ্যোগী এবং ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তাঁকে সাধারণত শিক্ষা এবং বাণিজ্যের অগ্রদূত বলে অভিহিত করা হয়৷ তাঁকে প্রায়শই সাউদ ভোলানাথ বরুয়া অথবা সদাগর ভোলানাথ বরুয়া হিসাবে সম্বোধন করা হয়৷ উনিশ শতকের অন্তিমে এবং বিশ শতকের প্রথমার্ধে এই ব্যক্তি ভারতবর্ষের একাধিক স্থানে বাণিজ্য তথা ব্যবসায়িক কেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন এবং ব্যবসায়ের লভ্যাংশের এক শকে ধন আসাম এবং বাইরের নানান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ভাষা-সাহিত্যের উন্নতির হকে ব্যয় করেছিলেন৷ ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, কাশী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শকে অবদান রাখা ছাড়াও যোরহাটের বিখ্যাত কারিগরী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এইচ আর এইচ প্রিন্স অব বেলস্ ইনষ্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজী (পাবেট) প্রতিষ্ঠার জন্য ভোলানাথ বরুয়া ১৯২২ সালেই এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দেন৷ উল্লেখযোগ্য যে, বরুয়া চিরকুমার ছিলেন। [১] [২]

ভোলানাথ বরুয়া
জন্ম১৮৫৩(১৭৭৫ শক ১৩ আশন)
পুরানোগুদাম, নগাঁও জেলা
মৃত্যু৩০ মে', ১৯২৩
হাওড়া, কলকাতা
জাতীয়তাভারতীয়
নাগরিকত্ব ভারত
পেশাব্যবসায়ী
পরিচিতির কারণশিক্ষা এবং বাণিজ্যের অগ্রদূত,

জন্ম,পরিবার এবং শিক্ষা সম্পাদনা

ভোলানাথ বরুয়ার জন্ম হয়েছিল নগাঁও জেলার পুরানোগুদামে (ইংরাজী ১৮৫৩ সালে)। তাঁর বাবা ছিলেন নাওশলীয়া বরুয়ার ঘরের ঘনশ্যাম বরুয়া এবং মাতার নাম ছিল ভোগদৈ বরুয়ানী। ১২ বছর বয়সে অর্থাৎ ১৮৬৫ সালে বরুয়াদেবকে নগাঁওয়ের জেলা স্কুলে নাম দেওয়া হল। তিনি খোজ কাঢ়িয়েই পড়াশালিতে আসা-যাওয়া করতেন। প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করার সময়ই তাঁর বাবা মারা যায়। বাবা মারা যাবারপর আর্থিক অবস্থা পূর্বের থেকে শোচনীয় হয়ে যায়৷ সেজন্য শিশু ভোলানাথ নগাঁও থেকে গুয়াহাটিতে থাকা ভিনিহি দত্তনারায়ণ বরার বাড়ি আসেন। এখানেই তাঁর ভবিষ্যতের ব্যবসার সতীর্থ এবং ভাগিনেয় শ্রী মহীনারায়ণ বরার সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন হয়। গুয়াহাটিতে আসার আগে তাঁর অন্য একজন ভিনিহি নগাঁওয়ের রুদ্ররাম বরদলৈর সাথে একপ্রকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে আসেন যে বরদলৈ ভোলানাথ বরুয়ার কাছ থেকে মাসে ৫ টাকা করে পড়ার খরচ হিসাবে পাঠাবেন। গুয়াহাটিতে বিদ্যারম্ভ করার কালেই বরুয়া রাধানাথ বরুয়া, রায় বাহাদুর ভুবন রাম দাস, লক্ষ্মীপ্রসাদ বরুয়া ইত্যাদি অসমীয়ার সান্নিধ্যে আসেন। এরা বরুয়ার সহপাঠী ছিলেন। এইমত দুটিবছর ভিনিহি দত্তনারায়ণ বরার ঘরে কাটানোর পর তাঁর পরিচয় হয় হেমচন্দ্র বরুয়ার সাথে। দুইজমের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায় এবং ঘন ঘন বরুয়া হেমচন্দ্র বরুয়ার বাড়ি আসা-যাওয়া করতে থাকেন। হেম বরুয়ার বাড়িতে সময়ে-সময়ে গোষ্ঠী খোয়া নানান লোকের সান্নিধ্য পাওয়ার উদ্দেশ্যে ভোলানাথ বরুয়া একদিন এসে হেম বরুয়ার ঘরে থাকার সময়ও ভিনিহি যথেষ্ট সহায়তা করেছিলেন। প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার সময়েই বরুয়া একটি শক্ত রোগে ভোগেন এবং তখন ভাগিনেয় মহীনারায়ণ বরা তাঁর পরিচর্যা করেন।[৩]

কর্মজীবন সম্পাদনা

প্রারম্ভিক কাল সম্পাদনা

হেমচন্দ্র বরুয়ার ঘরে থাকার সময়ে ভোলানাথ বরুয়ার ফটিক চন্দ্র বরুয়ার সাথে পরিচয় ঘটে। গুয়াহাটির হাবিরাম বরুয়ার ঘৈণী ছিল ভোলানাথ বরুয়ার পেহীয়েক। আবার তাঁদের দুই পুত্র ফটিক চন্দ্র বরুয়া এবং মাণিক চন্দ্র বরুয়া ভোলানাথ বরুয়ার সম্বন্ধীয় ককা ছিল। সেই সময়ে মাণিক চন্দ্র বরুয়া এবং অন্নদারাম ফুকন সাথে মিশে বরুয়া-ফুকন কোম্পানী নামের একটি চার ব্যবসায় আরম্ভ করেছিলেন। তাঁদের কোম্পানী প্রথমে ভোলানাথ বরুয়া ৩০ টাকা রূপার দরমহাত ভর্তি হল। ভোলানাথ বরুয়া ইতিমধ্যে রোগ থেকে আরোগ্য হয়ে জীবিকার সন্ধানে ছিল। আবার এই কাজটি পাওয়ার পর তিনি হেমচন্দ্র বরুয়ার ঘর ছেড়ে তাঁদের বাড়ি যান৷ ভোলানাথ বরুয়ার কর্মদক্ষতায় সন্তুষ্ট হয়ে কোম্পানী বরুয়াকে একটি কাঠের কারবারের ম্যানেজার তৈরি করেন। বরুয়া কামরূপের রাণীগুদাম, কুকুরমারা, বরদুয়ার ইত্যাদি স্থানে ব্যবসায় বিস্তার করেন। কাঠের ব্যবসায়ে তিনি নিজেদের ভাগিনেয় মহীনারায়ণ বরাকে ধরে আনেন। ভোলানাথ বরুয়ার কর্মমুখিতা এবং উদ্যমের জন্য কাঠের ব্যবসায় কোম্পানী লাভার্জন করতে থাকে। কিন্তু গারো পাহাড়ে ব্যবসায় সচল করতে তৈরি করে ফেলা সেতু একটি ভাঙি যাওয়ায় তাঁদের যথেষ্ট লোকসান হয় এবং সেইসময়ে কোম্পানী অন্যতম গুড়িয়াল অন্নদারাম ফুকনর অকাল মৃত্যু হয়। এই দুটি কারণে কোম্পানীর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে৷ আবার কোম্পানী ভোলানাথ বরুয়ার রাখতে পারল না। নিরাশ না হয়ে নিজেদের ভবিষ্যত নিজেই গড়বেন বলে ১৮৯০ সালে ভোলানাথ বরুয়া কলকাতায় রাওনা হন।[৩]

কলকাতায় সম্পাদনা

ভোলানাথ বরুয়া কলকাতায় এসে কাঠের ব্যবসায় কালীকৃষ্ট পরামাণিকের সাথে পরিচিত হয়ে তাঁর সাথে ব্যবসায়িক সংযোগ স্থাপন করলে এবং শোভারাম বসাক ষ্ট্রীটের কাছে একটি ঘর নেন।[৪] পরামাণিকের থেকে অল্প কমিশন নিয়ে তিনি কাঠের ব্যবসায়ে যোগ দিলেন। শোভারাম ষ্ট্রীটে থাকার সময়ই তিনি শারীরিক অসুস্থতায় ভোগেন এবং গুয়াহাটি থেকে ভাগিনেয় মহীনারায়ণ বরাকে আনেন যাতে তাঁকে ব্যবসায়ে সহায়তা করতে পারেন। ব্যবসায় ক্রমান্বয়ে বেড়ে গল এবং তাঁরা পুরানো দাফ কলেজের কাছে অফিস খুলিলেন। এই সময়ে সাহিত্যরথী লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া বরুয়ার কাছাকাছি হন। ব্যবসায়ে কিছু মন্দা ঘটলে বরুয়া ১৮৯৪ সালে সিংভূম জেলার একটি জঙ্গলে কাঠের ব্যবসায় আরম্ভ করেন। সেখানে গুইলকোরা বলে একটি স্থানে তাঁরা একটি ঘর নিলেন এবং এই ব্যবসায়ে যোগ দিতে তাঁর ভাই গোপীনাথ বরুয়াও নগাঁও থেকে আসলেন। [৩]

ব্যবসায়িক প্রসার সম্পাদনা

ধীরে ধীরে ভোলানাথ বরুয়া ব্যবসায়ে উন্নতি লাভ করেন। বেঙ্গল টিম্বার কোম্পানীর মিষ্টার জুইফিন সাহেবের সাথে প্রীতিপূর্বক তিনি বেঙ্গল-নাগপুর রেলওয়ে কোম্পানী থেকে পনেরো হাজার শ্লিপারের ঠিকা পান। সেই ঠিকার মাধ্যমেই বরুয়া আসানসোলে বাড়ি এবং অফিস করলে এবং একবছরের মধ্যে ত্রিশ হাজার টাকা লাভ করেন। তারপর সেই স্থান থেকে অফিস তুলে এনে চক্রধরপুরে করলে এবং তার পরের বছর প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা লাভ করেন। ১৮৯৮ সালে ঝাড়খণ্ডে নিজেই ঘর তৈরি করেন। সেই সময়ে মধ্য ভারত-এর গাঙ্গপুর নামের করদ রাজ্যে প্রজাদের দ্বারা সংঘটিত হওয়া এক বিদ্রোহ দমন করতে ভোলানাথ বরুয়াকে সেই রাজ্যের রাজা নিয়োগ করেন। বরুয়া বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণে এনে রাজ্যে শান্তি স্থাপন করেন। এই কার্যে তাঁকে ব্রিটিশ সরকারে সহায়তা করে এবং এই সুযোগে বরুয়ারও কর্মচারীদের সাথে চেনা-জানা হয়। কাঠের ব্যবসায়ের জন্য বড়ো-বড়ো জঙ্গল তাঁর হাতে আসে। ১৯০০ সালে বরুয়া রেওয়ার মহারাজের থেকে একটি বড়ো জঙ্গল পান। এই জঙ্গলে কাজ করতে তিনি মহীনারায়ণ বরাকে নিয়ে আসেন। সমান্তরালভাবে বরুয়া হাওড়াতে বাড়ি কেনেন এবং সেখানে অফিস খোলেন। লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া এবং ফটিক চন্দ্র বরুয়ার দ্বিতীয় পুত্র বিশ্বনাথ বরুয়াকে সেই অফিস চালানোর ভার দেন। ১৯০৬ সালে বরুয়া ময়ূরভঞ্জ থেকে একটি জঙ্গল নেন।[৩]

বিদেশে বরুয়া সম্পাদনা

১৯০৮ সালে ভোলানাথ বরুয়া বিদেশে যান। যাবার সময় তিনি বিশ্বনাথ বরুয়াকে একটি কয়লার কোম্পানী আরম্ভ করতে অনুমতি দেন। বিদেশে থাকার সময়ই সেই কোম্পানীর কাজ আরম্ভ হয়৷ পরে কয়লার কোম্পানীর সম্পন্ন স্থানে কয়লার কোনো চিহ্ন পাওয়া যায় না এবং কয়লা আছে বলা কয়লা-পরীক্ষকরাও পালিয়ে যান। ১৯০৮-১০ সালে বরুয়ার প্রায় ১৪ লাখ টাকা লোকসান হয় এবং সেই লোকসান ব্যবসায় বড় আঘাত হানে। [৩]

ব্যবসায়িক ক্ষতি এবং পুনরুত্থান সম্পাদনা

১৯০৯ সালে বরুয়া বিদেশ থেকে ফিরে আসেন এবং ১৯০৬ সালে ময়ূরভঞ্জের রাজার থেকে নিয়ে রাখা জঙ্গলটিতে ভালকরে ব্যবসায় করতে মনস্থ করেন৷ কিন্তু এই প্রস্তাবনায় গভর্ণমেন্ট বাধা আরোপ করে৷ ১৯১২ সালে মহারাজের মৃত্যু হয়৷ মহারাজের সমস্ত সম্পত্তি গভর্ণমেন্টের হাতে যায়। বরুয়া অনেক চেষ্টা করে ময়ূরভঞ্জের জঙ্গল বন্দোবস্ত করে ৩০ বছরের জন্য নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ব্যবসায়িক লোকসান পূরণ করতে চেষ্টা করেন। এই সময়ে তাঁর ভাগ্নে এবং তাঁর ব্যবসায়িক সঙ্গী বিশ্বনাথ বরুয়ার অকাল মৃত্যু হয়৷ ময়ূরভঞ্জের জঙ্গলে কাজ করতে মহীনারায়ণ বরা আসেন এবং কলকাতার অফিসে বসেন তরুণচন্দ্র বরুয়া৷ এরা ধার-ঋণ পরিশোধ করতে থাকেন। ধীরে-ধীরে অনেকগুলি ধার শোধ হয় এবং ব্যবসায়ে পুনরায় উন্নতি লাভ করেন৷ ক্রমবর্ধমান কাঠের ব্যবসায় সামলাতে ১৯১৯ সালে তিনি কাঠের কারবারকে একটি লিমিটেড কোম্পানীর মর্যাদা দিলেন এবং কোম্পানীর এক অংশীদারিত্ব দিলেন কলকাতার প্রখ্যাত মার্টিন কোম্পানীকে৷ জীবিত থাকাকালে বরুয়া সেই কোম্পানীর একজন সঞ্চালক ছিলেন৷ [৩]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

১৯০৫ সালে বরুয়া ফটিকচন্দ্র বরুয়ার গোটা পরিবারকে গুয়াহাটি থেকে কলকাতায় নিয়ে আসেন। কারণ, তিনি বরুয়া-ফুকন কোম্পানী চাকরিতে ঢুকেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলেন যে তাঁদের তিনি কখনও ছাড়বেন না। ভোলানাথ বরুয়া আজীবন অবিবাহিত ছিলেন। ভাগ্নে এবং ফটিক চন্দ্র বরুয়ার দ্বিতীয় পুত্র বিশ্বনাথ বরুয়াকে হিন্দুশাস্ত্র মতে পোষ্য-পুত্র করে নেন।[৩]

শিক্ষাক্ষেত্রে অনুদান-অবদান সম্পাদনা

শুধু ব্যবসায়িক শ্রীবৃদ্ধিতে সন্তুষ্ট না থেকে বরুয়া সেইসময়ের শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখ্য অবদান রেখে গিয়েছিলেন। তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অবদান অথবা সাহায্য হচ্ছে:

  • কাশীর হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
  • আসাম সরকারের কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে এক লাখ টাকা। সেই ধনের সহায়তায়ই ১৯২৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বরে আসাম সরকার প্রিন্স অব বেলস্ টেকনিকাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[১]
  • বিবিভাগপট্টনমের কিং জর্জ হাসপাতালে ১০ হাজার টাকা।
  • কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ হাজার টাকা।
  • বালিগঞ্জের বালিকা বিদ্যালয়ে ৫ হাজার টাকা।[৩]

মৃত্যুর প্রাক-মুহূর্তে বরুয়া সমস্ত সম্পত্তি "বিল" করে রেখে গিয়েছিলেন। সেই পত্র মতে, মহীনারায়ণ বরা, তরুণচন্দ্র বরুয়া এবং দাদুর নাতনী কেশবকান্ত বরুয়ার কন্যা থাকায় সম্পত্তির আয় ভোগ করবেন এবং তাঁদের অবর্তমানে সমস্ত সম্পত্তি আসাম সরকার পর্যন্ত প্রদান করা হবে। সেই সম্পত্তি আসাম সরকার প্রাথমিক শিক্ষার উন্নতিতে খাটাবেন।[৩]

১৯২২ সালের মার্চ মাসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আশুতোষ মুর্খাজী ভোলানাথ বরুয়ার অনুদানের কথা নিয়ে বলেন-
"Mr. Bholanath Baruah, one of the most enlightened sons of Assam, had offered a handsome donation of rupees ten thousand to meet the cost of publication of the Assamese Selection."[৫]
উল্লেখযোগ্য যে, হেমচন্দ্র গোস্বামী সংকলিত "অসমীয়া সাহিত্যের চানেকী"টি প্রকাশের জন্য ভোলানাথ বরুয়া সেই অর্থসাহায্য প্রদান করেছিলেন। [৬]

স্বীকৃতি এবং সম্মান সম্পাদনা

আসামের প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বি.বরুয়া মহাবিদ্যালয় এই অসমীয়াকে উৎসর্গ করে স্থাপন করা হয়েছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়কালে ১৯৪৩ সালে স্থাপন করা হয়েছিল। [৭]

মৃত্যু সম্পাদনা

১৯১৮ সালে বরুয়া মাথার এক ব্যাধিতে ভোগেন। ১৯২২ সাল থেকে তাঁর শারিরীক অবস্থা অধিক দুর্বল হয়৷ অবশেষে ১৯২৩ সালের ৩০ মে'তে কলকাতার হাওড়ার বাসভবনে এই কৃতী আসাম-সন্তান শেষনিশ্বাগ ত্যাগ করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল ৭০ বছর। [৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সম্পাদনা-ইছমাইল হোছেইন (২০১৯)। শিক্ষা এবং বাণিজ্যের অগ্রদূত সদাগর ভোলানাথ বরুয়া। গুয়াহাটি: নন্দন প্রকাশন। 
  2. গোস্বামী,যুগল কুমার (২২ জুলাই ২০১৯)। "ভোলানাথ বরুয়া"। জনমভূমি। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০ 
  3. বরুয়া, কেশবকান্ত (২০১৯)। শিক্ষা এবং বাণিজ্যের অগ্রদূত সদাগর ভোলানাথ বরুয়া। গুয়াহাটি: নন্দন প্রকাশন। পৃষ্ঠা ২৪–২৯। 
  4. বরা, দেবেন্দ্র নাথ (২০১৯)। শিক্ষা এবং বাণিজ্যের অগ্রদূত সদাগর ভোলানাথ বরুয়া। গুয়াহাটি: নন্দন প্রকাশন। পৃষ্ঠা ২০–২৩। 
  5. বরুয়া,ভুবনচন্দ্র বরুয়া (২০১৯)। শিক্ষা এবং বাণিজ্যের অগ্রদূত সদাগর ভোলানাথ বরুয়া। গুয়াহাটি: নন্দন প্রকাশন। পৃষ্ঠা ৫০–৬২। 
  6. শর্মা কটকী,সর্বেশ্বর (২০১৯)। শিক্ষা এবং বাণিজ্যের অগ্রদূত সদাগর ভোলানাথ বরুয়া। গুয়াহাটি: নন্দন প্রকাশন। পৃষ্ঠা ৩০–৩৩। 
  7. https://www.bborooahcollege.ac.in/about.php