ভেরা রুবিন
ভেরা ফ্লোরেন্স কুপার রুবিন (ইংরেজি: Vera Florence Cooper Rubin; ২৩শে জুলাই, ১৯২৮- ২৫শে ডিসেম্বর, ২০১৬) একজন মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ছিলেন যিনি ছায়াপথসমূহের ঘূর্ণনের হারের উপরে সর্বাগ্রগামী গবেষণাকর্মের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছে।[১] তিনি ছায়াপথের ঘূর্ণন বক্ররেখাগুলি অধ্যয়ন করে ছায়াপথগুলির পূর্বাভাসকৃত কৌণিক গতি এবং পর্যবেক্ষণকৃত গতির মধ্যকার বিচ্যুতি বের করেন। এই ঘটনাটি ছায়াপথ ঘূর্ণন সমস্যা নামে পরিচিতি লাভ করে, এবং এটি ছিল তমোবস্তু-র অস্তিত্বের একটি প্রমাণ।[২] যদিও রুবিনের গবেষণার ফলাফল প্রথমে সন্দেহের চোখে দেখা হয়েছিল, এর পরবর্তী দশকগুলিতে সেগুলি নিশ্চিত করে প্রমাণিত হয়। মার্কিন দৈনিক দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর মতে ভেরা বিশ্বতত্ত্ব ক্ষেত্রে নিকোলাউস কোপের্নিকুস মাপের একটি পরিবর্তন এনেছিলেন।[১][৩]
ভেরা রুবিন | |
---|---|
জন্ম | ভেরা কুপার ২৩ জুলাই ১৯২৮ ফিলাডেলফিয়া, পেনসিলভেনিয়া |
মৃত্যু | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ | (বয়স ৮৮)
জাতীয়তা | মার্কিন |
মাতৃশিক্ষায়তন | ভ্যাসার কলেজ, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়, জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | ছায়াপথ ঘূর্ণন সমস্যা, তমোপদার্থ, রুবিন-ফোর্ড ক্রিয়া |
পুরস্কার | ব্রুস পদক, বিজ্ঞানে ডিকসন পুরস্কার, রাজকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান সমিতির স্বর্ণপদক, জাতীয় বিজ্ঞান পদক |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | জ্যোতির্বিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়, কার্নেগি ইনস্টিটিউট অভ ওয়াশিংটন |
অভিসন্দর্ভের শিরোনাম | ফ্লাকচুয়েশন্স ইন দ্য স্পেস ডিস্ট্রিবিউশন অভ দ্য গ্যালাক্সিজ (Fluctuations in the Space Distribution of the Galaxies, "ছায়াপথসমূহের স্থানিক বিতরণে দোদুল্যমানতা") (১৯৫৪) |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | জর্জ গ্যামভ |
অন্যান্য উচ্চশিক্ষায়তনিক উপদেষ্টা | উইলিয়াম শ', মার্থা কার্পেন্টার |
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী | স্যান্ড্রা ফাবার, রেবেকা অপেনহাইমার |
শিক্ষার্থী-জীবনে রুবিন ভ্যাসার কলেজে একমাত্র ছাত্রী হিসেবে জ্যোতির্বিজ্ঞান অধ্যয়ন করেন। এরপর তিনি কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় ও জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা ও গবেষণা করেন, যেখানে হাবল প্রবাহ থেকে বিচ্যুতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং ছায়াপথ মহাস্তবকগুলির অস্তিত্বের পক্ষে প্রমাণ দেন।[১][৩]
রুবিনের উপাত্তগুলি ছিল তমোপদার্থের সবচেয়ে প্রথমদিককার কিছু প্রমাণ। এর আগে ১৯৩০-এর দশকে ফ্রিৎস জভিকি এটির ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী দিয়েছিলেন। রুবিন সমগ্র কর্মজীবন জুড়ে তাঁর কৃতিত্বের জন্য সম্মাননা লাভ করেন। তিনি ব্রুস পদক, রাজকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান সমিতির স্বর্ণপদক ও জাতীয় বিজ্ঞান পদক বিজয় করেন।[৩][৪] তিনি সারা জীবন বিজ্ঞানে নারীদের অংশগ্রহণের সরব প্রবক্তা ছিলেন। তিনি উচ্চাকাঙ্খী নারী জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞ পরামর্শদাত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনিই প্রথম নারী যার নামে একটি বৃহৎ মানমন্দিরের নামকরণ করা হয়: এটি হল চিলিতে অবস্থিত ভেরা সি. রুবিন মানমন্দির।[৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ Overbye, Dennis (ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬)। "Vera Rubin, 88, Dies; Opened Doors in Astronomy, and for Women"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬।
- ↑ de Swart, Jaco; Bertone, Gianfranco; van Dongen, Jeroen (২০১৭)। "How dark matter came to matter"। Nature Astronomy। 1 (59): 0059। arXiv:1703.00013 । এসটুসিআইডি 119092226। ডিওআই:10.1038/s41550-017-0059। বিবকোড:2017NatAs...1E..59D।
- ↑ ক খ গ "1996 November 8 meeting of the Royal Astronomical Society"। The Observatory। 117: 129–135। জুন ১৯৯৭। বিবকোড:1997Obs...117..129.।
- ↑ Domonoske, Camila (ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬)। "Vera Rubin, Who Confirmed Existence Of Dark Matter, Dies At 88"। NPR News। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬।
- ↑ Overbye, Dennis (২০২০-০১-১১)। "Vera Rubin Gets a Telescope of Her Own"। The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৭।