ভেড়ামারা সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়

কুষ্টিয়া জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়

ভেড়ামারা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (পূর্বনামঃ বি সি জে কে ইনষ্টিটিউশন) বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভেড়ামারা উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ৩ একর জমির উপর বিদ্যালয়টি অবস্থিত। ১৯১৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়।[]

ভেড়ামারা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
Bheramara Pilot High School
ভেড়ামারা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক।
অবস্থান
মানচিত্র

বাংলাদেশ
তথ্য
বিদ্যালয়ের ধরনবেসরকারি বিদ্যালয় মাধ্যমিক
প্রতিষ্ঠিত১৯১৮
বিদ্যালয় বোর্ডমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর
বিদ্যালয় জেলাকুষ্টিয়া জেলা
প্রধান শিক্ষকমোঃ আব্দুল জব্বার
ভাষাবাংলা
আয়তন৩ একর
ক্যাম্পাসের ধরনঅনাবাসিক

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

সম্পাদনা

অত্র এলাকার জ্ঞানী বিদ্যুৎসাহী ব্যক্তিদের উদ্যোগে এবং নদীয়া জেলার জেলা ম্যাজিষ্টেটের সহায়তায় বাবু জিতেন্দ্রনাথ ভাদুড়ী ,নরপতি বিশ্বাস,মাখন লাল জমিদার,গৌরগোপাল বিশ্বাস জমিদার,প্রসন্ন কুমার সরকার, নন্দগোপাল গোস্বামী, প্রথম বাঙালী জজ জগদুর্লভ মজুমদার, ভেড়ামারা ইউনিয়নের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফতেহ্ আলী পণ্ডিত প্রমুখ ব্যক্তিবর্গের প্রচেষ্টায় ৫ম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণী নিয়ে সর্বপ্রথম এই বিদ্যালয়টি ০১/০১/১৯১৮ খ্রীঃ এ জুনিয়র স্কুল হিসেবে এ্যাফিলিয়েশন পেয়ে এম ই স্কুল হিসেবে চন্ডিপুর চন্দনা নদীর তীরে স্থাপিত হয়। তৎকালীন নদীয়া জেলার জেলা ম্যাজিষ্টেটের নাম অনুসারে স্কুলটির নাম রাখা হয় ভেড়ামারা চন্ডিপুর যোগেন্দ্র কুমার ইনষ্টিটিউশন সংক্ষেপে বি সি জে কে ইনষ্টিটিউশন। তৎকালীন প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন বাবু জিতেন্দ্রনাথ ভাদুড়ী।

এঅবস্থায় কিছুকাল অতিবাহিত হওয়ার পর ১৯১২ সালে পদ্মা নদীর উপর হার্ডিঞ্জ ব্রীজ স্থাপিত হলে ভেড়ামারা এলাকার গুরুত্ব আগের তুলনায় আরো বৃদ্ধি পায় এবং সেইসাথে পদ্মা নদীর ভাঙা গড়ার খেলায় ভেড়ামারার অবস্থান দৃঢ় হলে ভেড়ামারা ও চন্দিপুরবাসী সকলে মিলেমিশে বি সি জে কে ইনষ্টিটিউশন কে ভেড়মারায় স্থানান্তর করেন। তৎকালীন জানকী ভূষন সাহার দানকৃত জমির উপর স্টেশন মাষ্টার নুরুজ্জামান চৌধূরীর আর্থিক সহায়তায় লাল ভবনে শুরু হয় ভেড়ামারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম তারপর ০১/০২/১৯২১ খ্রীঃ এ মাধ্যমিক স্কুল হিসেবে এ্যাফিলিয়েশন পায়। কালের গতিধারা অনুসারে স্কুলটি চলছিল অন্যান্ন স্কুলের ন্যায়। ১৯৪৭ সালে অধিকাংশ হিন্দু শিক্ষক ভারতে চলে গেলে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক শুন্যতা সৃষ্টি হয়।

সে সময়ে ঘন ঘন প্রধান শিক্ষক পরিবর্তন ও বিজ্ঞান শিক্ষকের অভাবে বিদ্যালয়টির সূনাম হারিয়ে ফেলার উপক্রম হয়।বিদ্যালয়টির এমন দুঃসময়ে আগমন ঘটে মোহাঃ রুহুল ইসলাম এম এ বি এড ১৯৬২ সালে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং একটানা ৩৮ বছর দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯৯ সালে একটি সুন্দর সাজানো গোছানো মনোরম পরিবেশের প্রতিষ্ঠান রেখে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।এরমধ্যে ১৯৮৫ সালে তৎকালীন আমলে ভেড়ামরা উচ্চ বিদ্যালয় ফলাফল সহ সার্বিক খ্যাতির জন্যই পাইলট প্রকল্পের অর্ন্তভুক্ত হয়ে পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের নাম হয় “ভেড়ামারা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়” । অদ্যাবধি প্রধান শিক্ষক হিসেবে ২৪ জন প্রধান শিক্ষকবৃন্দের নাম ও কার্যকাল লিপিবদ্ধ আছে।

প্রতিষ্ঠাকাল

সম্পাদনা

০১/০১/১৯১৮ খ্রীঃ

বিদ্যালয়ে ১টি পুরাতন তিনতলা ভবন, আরো একটি নতুন তিনতলা মডেল ভবন, একটি দ্বিতল ভবন, একটি একতলা ভবন ও একটি আধাপাকা ভবনে মোট ২৯টি কক্ষ আছে। ছাত্রদের কোলাহলে প্রায় ৩ একর বিশিষ্ট ক্যাম্পাসটিকে করে তুলেছে সজীব ও প্রাণবন্ত।[]

শিক্ষক-শিক্ষার্থী

সম্পাদনা

ভেড়ামারা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট ২৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। এবং প্রায় ১০০০ এর বেশি ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।[]

বিদ্যালয়ের সম্পদ

সম্পাদনা
  • মোট বিল্ডিং--৫টি
  • মোট জমির পরিমাণ--৪.৪৯একর
  • মোট পাকা কক্ষ—২৫টি
  • কমন রুম(ছাত্রী)--০২টি
  • পাঠাগার--১টি (বই সংখ্যা-৭৪৬০ টি)
  • বিজ্ঞানাগার--২টি
  • কম্পিউটার ল্যাব--১টি
  • চেয়ার--৮৭টি
  • টেবিল--২৯টি
  • বেঞ্চ (জোড়া)--৩৫৭ টি
  • আলমারী (স্টিল)--১১টি
  • টেলিভিশন—১টি
  • আলমারী(কাঠের)--৫টি
  • টিওবয়েল--২টি
  • কম্পিউটার--২০ টি
  • প্রোজেক্টার--০১ টি
  • শোকেস--২টি
  • সাউন্ড বকস—২টি
  • পানির মটর—১টি
  • ফ্যান--১১৮ টি
  • ঘড়ি--১৮টি

প্রকাশনা

সম্পাদনা

ভেড়ামারা পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত বার্ষিক ম্যাগাজিন "চেতনা"

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "বিদ্যালয়ের ইতিহাস"http://bheramarahighschool.jessoreboard.gov.bd। ৪ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৫  |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)