ভৃঙ্গেশ্বর শিবমন্দির
ভৃঙ্গেশ্বর শিবমন্দির হচ্ছে ভুবনেশ্বরের[১] দক্ষিণ-পশ্চিমে দয়া নদীর তীরে খাটুয়াপাড়া গ্রামে ধাউলি পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। পশ্চিমমুখী মন্দিরটির অধিষ্ঠাতা দেবতা একটি চক্রাকার যোনী পিঠ যা কেন্দ্রে একটা ছিদ্র। মন্দিরটি হালকা ধূসর চুনাপাথরে নির্মিত যা বর্তমানে ওড়িষা রাজ্য প্রত্নতত্ত্ব দপ্তরের অধীনে আছে। মন্দিরটিই আগাগোড়া সংস্কার করা হয়েছে।
ভৃঙ্গেশ্বর শিবমন্দির | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | হিন্দুধর্ম |
ঈশ্বর | শিব |
অবস্থান | |
অবস্থান | ভুবনেশ্বর |
রাজ্য | ওড়িষা |
দেশ | ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২২°১১′৫৭″ উত্তর ৮৫°৫০′১৬″ পূর্ব / ২২.১৯৯১৭° উত্তর ৮৫.৮৩৭৭৮° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
সম্পূর্ণ হয় | ৮ম শতক |
বর্ণনাসম্পাদনা
পশ্চিমমুখী মন্দিরের পশ্চিম দিকে রাস্তা রয়েছে যা গ্রামের দিকে চলে গেছে, অপর তিন পাশে ঢাউলি পাহাড়।
মন্দিরটি একটি উঁচু ভিত্তির উপরে অবস্থিত যার দৈর্ঘ্য ২৬.৫০ মিটার, প্রস্থ ২২.১০ মিটার এবং ২ মিটার উঁচু। মন্দিরটির একটি বর্গাকার বিমান আছে যার দৈর্ঘ্য ৭.১০ মিটার।
মন্দিরটির উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ এই তিন অংশে পার্শ্বদেবতাদের স্থান দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণে গণেশ এবং উত্তরে মহিষমর্দিনীর মূর্তি রয়েছে। পদ্মপাতার উপর গণেশ ত্রিভঙ্গ মুদ্রায় দাঁড়িয়ে আছে। তার উপরের হাত দুটি ভাঙা। মূর্তিটি জটামুকুট এবং নাগাউপবীতধারী। উত্তরে মহিষ মর্দিনী পার্বতীর স্থান নিয়েছে। সম্ভবত এটা পরে স্থাপন করা হয়েছে। দানবের মাথাটি মহিষের কিন্তু দেহটি মানবের। চার হাত যুক্ত দেবী তার প্রধান বাম হাত দিয়ে অসুরের মাথা ধরে আছে, ডান পায়ে অসুরকে চেপে ধরে আছেন। মূর্তিটি ৮ম শতকের স্থাপত্যশৈলীর সম্পর্ক তুলে ধরে।
দরজার পাল্লাটি আংশিক সংস্কারকৃত। এটা ২.৩৮ মি. উঁচু এবং ১.১০মি. চওড়া। পাল্লার নিচে মেঝের উপর চন্দ্রশিলা আছে যার উভয়প্রান্তে নান্দনিক নকশা করা। দরজার দুইপাশে দুটি দ্বারপাল ভিত্তি আছে যা ০.৫৫ মি. উঁচু, ০.৩৬ মি. চওড়া এবং ০.১০ মি. পুরু। ভিত্তি দুটিতে ত্রিশুল হাতে দ্বারপাল এবং নদীদেবী গঙ্গা ত্রিভঙ্গী দশায় ডান পাশে এবং একই ভঙ্গীতে যমুনা বাম পাশে দাঁড়িয়ে আছে। দরজার উপরে ১.৫০ মিটার স্থান কার্ভ আকারে আছে যেখানে নবগ্রহ পদ্মাসনে বসে আছে। রবি দুই হাতে পদ্ম ধরে আছেন, রাহুর বিশাল মাথায় জটামুকুট হাতে অর্ধচন্দ্র ধরা এবং সাপের লেজযুক্ত কেতু হাত তুলে আছে ও মাথার উপরে তিনমাথাওয়ালা সাপের ছাতা মেলে আছে।
বৈশিষ্ট্যসম্পাদনা
মন্দিরটিতে বিভিন্ন ধর্মীয় পূজা ও উৎসব যেমন শিবরাত্রি, কার্তিক পূর্ণিমা, রাজাসংক্রান্তি, জলাশয় পূজ ইত্যাদি পালিত হয়ে থাকে। এছাড়া পৈতা দান, মুনদানা, বিয়ে ইত্যাদি সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। মন্দির চত্ত্বরে গ্রামের বিভিন্ন জমায়েত অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ Lesser Known Monuments of Bhubaneswar by Dr. Sadasiba Pradhan
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- Pradhan, Sadasiba (২০০৯)। Lesser Known Monuments Of Bhubaneswar। Bhubaneswar: Lark Books। আইএসবিএন 81-7375-164-1।