ভির্গিনিউস শিক্‌শনিস

লিথুয়ানীয় প্রাণরসায়নবিদ ও ক্রিস্পার প্রযুক্তির অগ্রদূত

ভির্গিনিউস শিক্‌শনিস (লিথুয়ানীয় ভাষায় Virginijus Šikšnys; জন্ম ২৬শে জানুয়ারি ১৯৫৬) একজন লিথুয়ানীয় প্রাণরসায়নবিদ। তিনি বংশাণু সম্পাদনার জন্য ক্রিস্পার প্রযুক্তি ব্যবহারে মৌলিক গবেষণার জন্য খ্যাতিলাভ করেছেন ও পুরস্কৃত হয়েছেন।

ভির্গিনিউস শিক্‌শনিস
জন্ম (1956-01-26) ২৬ জানুয়ারি ১৯৫৬ (বয়স ৬৮)
জাতীয়তালিথুয়ানিয়া
শিক্ষাভিলনিউস বিশ্ববিদ্যালয়
লমনোসভ মস্কো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণ
পুরস্কার
  • লিথুয়ানীয় সরকারি বিজ্ঞান পুরস্কার (২০০১)
  • ভিলনিউস নগর পরিষদের পক্ষ থেকে বিজ্ঞানে উৎকর্ষের জন্য সাধু ক্রিস্টোফার পুরস্কার (২০১৫)
  • নভোজাইমস পুরস্কার (২০১৭)
  • ন্যানোবিজ্ঞানে কাভলি পুরস্কার (২০১৮)
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রপ্রাণরসায়ন
প্রতিষ্ঠানসমূহভিলনিউস বিশ্ববিদ্যালয় জৈবপ্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান

জীবনী সম্পাদনা

শিক্‌শনিস ভিলনিউস বিশ্ববিদ্যালয়ে জৈব রসায়ন অধ্যয়ন করেন ও ১৯৭৮ সালে স্নাতকোত্তর উপাধি লাভ করেন। সেখান থেকে তিনি মস্কোর লমোনোসভ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সেখানে উৎসেচক সঞ্চরণবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করে ১৯৮৩ সালে ডক্টরেটের সমতুল্য একটি উপাধি লাভ করেন।[১] ১৯৮২ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত তিনি ভিলনিউসের ফলিত উৎসেচকবিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি জার্মানির মার্টিন্সরিডে অবস্থিত মাক্স প্লাংক প্রাণরসায়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অতিথি বিজ্ঞানী হিসেবে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক রোবের্ট হুবারের পরীক্ষাগারে কাজ করেন। ১৯৯৫ সাল থেকে শিক্‌শনিস ভিলনিউস বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব প্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বিজ্ঞানী ও প্রোটিন-ডিএনএ আন্তঃক্রিয়াসমূহ বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৬ সাল থেকে তিনি ভিলনিউস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও লিথুয়ানীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির একজন সদস্য। ২০০৭ সাল থেকে তিনি ভিলনিউস বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব প্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিষদ প্রধান।[২][৩]

গবেষণা সম্পাদনা

শিক্‌সনিসের গবেষণার আগ্রহের বিষয়গুলির মধ্যে আছে নিউক্লিয়িক অ্যাসিডের বিপাকের সাথে সংশ্লিষ্ট উৎসেচকগুলির গাঠনিক-কার্যগত সম্পর্ক। তিনি তাঁর পরীক্ষাগারের সদস্যদের সাথে ব্যাকটেরিয়াজনিত ভাইরাসরোধী প্রতিরক্ষার সাথে সম্পর্কিত প্রোটিনসমূহের উপরে প্রাণরাসায়নিক, জৈবপদার্থবৈজ্ঞানিক ও গাঠনিক গবেষণা সম্পাদন করেন। এদের মধ্যে সীমায়িতকরণ এন্ডোনিউক্লিয়েজসমূহ এবং ক্রিস্পার-ক্যাস ব্যবস্থাগুলি উল্লেখযোগ্য। শিক্‌শনিস ৯০টিরও বেশি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন এবং ৫টি কৃতিসত্ত্বের জন্য আবেদনপত্র পূরণ করেছেন।

ক্রিস্পার-ক্যাসের প্রকাশনা সম্পাদনা

শিক্‌শনিস ২০০৭ সাল থেকে ক্রিস্পার-ক্যাস প্রযুক্তির উপরে যান্ত্রিক গবেষণা সম্পাদন করেন। ক্রিস্পার-ক্যাস ছিল নব্য আবিষ্কৃত একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত ভাইরাসরোধী ব্যবস্থা। তিনি ক্যাস৯ প্রোটিন অণুর মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে ডিএনএ অণুর ভাঙন প্রদর্শনকারী প্রথম কয়েকজন বিজ্ঞানীদের একজন।[৪][৫][৬][৭] শিক্‌শনিসের মতে তাঁর গবেষণাপত্রটি সংশ্লিষ্ট গবেষণা সাময়িকীর সম্পাদক-মণ্ডলীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি বিধায় এটি পর্যালোকদের কাছে পাঠানো হয়নি, ফলে তিনি ক্রিস্পার প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিএনএ সম্পাদনা আবিষ্কারকারী প্রথম বিজ্ঞানী হিসেবে মর্যাদা অর্জনে সক্ষম হননি।[৮] মার্টিন শ্লাক প্রতিবেদনে লেখেন যে শিক্‌শনিস ক্যাস৯-এর দ্বারা ডিএনএ ভাঙন সংক্রান্ত গবেষণা নিবন্ধটি সেল রিপোর্ট্‌স গবেষণা সাময়িকীর কাছে ২০১২ সালের ১৮ই এপ্রিল জমা দেন। কিন্তু সহকর্মীদের পর্যালোচনা ছাড়াই এটিকে প্রত্যাখ্যান করা হলে তিনি নিবন্ধটিকে এক মাস পরে প্রোসিডিংস অভ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস অফ দ্য ইউনাইটেড স্টেটস অভ অ্যামেরিকা]] নামক গবেষণা সাময়িকীর বরাবর জমা দেন, এবং এর বেশ কয়েক মাস পরে পর্যালোচনার পর নিবন্ধটি সেখানে প্রকাশিত হয়। একই সময়ে জেনিফার ডাউডনাএমানুয়েল শারপঁতিয়ে তাদের গবেষণার ফলাফল সায়েন্স নামক বিজ্ঞান গবেষণা সাময়িকীতে জমা দিলে মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে পর্যালোচিত হয়ে সেটি প্রকাশিত হয়েছিল। [৯]

ক্যাস৯-ভিত্তিক বংশাণুসমগ্র সম্পাদনা প্রযুক্তিটির একচেটিয়া অনুমতিপত্র দ্যুপোঁ-কে প্রদান করা হয়।[১০][১১]

সম্মাননা ও পুরস্কার সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. His thesis is: Шикшнис, Виргиниюс. Термостабильность ферментов, ковалентно иммобилизованных в полимерных гелях: Спец. № 02.00.15—хим. кинетика и катализ.—М.:[МГУ], 1983—23 с.,граф.
  2. "Šikšnys Virginijus"। Lietuva, T. IV (Biografijos R-Ž, Papildymai A-Ž) [Lithuania, vol. IV (Biographies R-Z)] (Lithuanian ভাষায়)। Vilnius: Mokslo ir enciklopedijų leidybos centras। ২০১৫। পৃষ্ঠা 483। আইএসবিএন 978-5-420-01758-6 
  3. "Šikšnys Virginijus"। "Asmenybės. 1990–2015 m. "Lietuvos pasiekimai": apžvalgų ir biografijų rinkinys, T. II [Personalitties. 1990–2015."Lithuania achievements": reviews and biographies set, vol. II] (Lithuanian ভাষায়)। Vilnius: Leidybos idėjų centras। ২০১৫। পৃষ্ঠা 1036। আইএসবিএন 9786099557847 
  4. Sarah Zhang (২০১৫-১০-০৪)। "The Battle Over Genome Editing Gets Science All Wrong"। wired.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০১-১৯ 
  5. Lander ES: The Heroes of CRISPR. Cell 2015, 164:18–28. doi:10.1016/j.cell.2015.12.041
  6. Gasiunas G, Barrangou R, Horvath P, Siksnys V: Cas9-crRNA ribonucleoprotein complex mediates specific DNA cleavage for adaptive immunity in bacteria. Proc Natl Acad Sci U S A 2012, 109:E2579–2586. doi: 10.1073/pnas.1208507109
  7. "Science Rewards Eureka Moments, Except When It Doesn't"NPR.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-০২ 
  8. Šikšnys, Virginijus (২০১৮-০৬-১৬)। "Imam genų žirkles, iškerpam klaidą, ligos nelieka"Laisvės TV / Freedom TV। <...>Tai mes tą savo straipsnį išsiuntėm į redakciją pirmieji, bet laimės ten daug nebuvo. Viena redakcija pasakė, kad mes net recenzentam nesiųsim. Nusiuntėm į kitą redakciją - tai jis (straipsnis) pragulėjo kažkur ant redaktoriaus stalo labai ilgai. Na ir taip galų gale išsiuntėm į trečią žurnalą ir trečias žurnalas po kelių mėnesių jį išspausdino. Bet, aišku, Berklio universiteto mokslininkams sekėsi geriau - jie išsiuntė straipsnį į žurnalą Science - jį priėmė ir išspausdino per 2 savaites. Nors iš tikro jie tą straispnį išsiuntė pora mėnesių vėliau nei mes. (লিথুয়েনীয় ভাষায়)। 12:22 minutes in। LaisvėsTV। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৬-৩০<...>Well, we were who had sent the article first, but had not much of luck. One editorial office told us they would not send the article to the reviewers. We had sent the article to another journal - and the article was kept too long, maybe on some desk of the editor. So finally we sent it to the third journal and it was published few months later. Meanwhile the scientists from the University of Berkeley had a better luck - they have sent the article later than we and it was accepted and published in 2 weeks. But actually they have sent the article few months later than we. 
  9. Martin Schlak (অক্টোবর ১৮, ২০১৯)। "Der wahre Mister Crispr" (German ভাষায়)। Spiegel online। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৩, ২০১৯ 
  10. "DuPont Pioneer Gains Exclusive License for Genome-Editing Technology from Vilnius University"। ২০১৫-০৬-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০১-১৯ 
  11. Grushkin D: DuPont in CRISPR-Cas patent land grab. Nat Biotechnol 2016, 34:13–13. doi: 10.1038/nbt0116-13.

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

টেমপ্লেট:কাভলি পুরস্কার বিজয়ীদের তালিকা