ভার্গবী রাও
ভার্গবী প্রভঞ্জন রাও (১৪ই আগস্ট ১৯৪৪ - ২৩শে মে ২০০৮), একজন সাহিত্য একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক। তিনি তেলুগু সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট অনুবাদক ছিলেন। তিনি লেখক ও নাট্যকার গিরিশ কারনাডের বিভিন্ন রচনা অনুবাদে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কাজের মধ্যে রয়েছে নুরেলা পান্তা, এটি বিংশ শতাব্দীর নারী লেখকদের একশত ছোট গল্পের সংকলন। ২০০৮ সালের ২৩শে মে হায়দ্রাবাদে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।
ভার্গবী প্রভঞ্জন রাও | |
---|---|
জন্ম | বেল্লারী, মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (এখন কর্নাটক, ভারতে) | ১৪ আগস্ট ১৯৪৪
মৃত্যু | ২৩ মে ২০০৮ হায়দ্রাবাদ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ভারত (এখন তেলেঙ্গানা, ভারতে) | (বয়স ৬৩)
পেশা | লেখক, অধ্যাপক, অনুবাদক, কবি |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
ধরন | কথাসাহিত্য |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাভার্গবী রাও কর্ণাটকের বেল্লারীতে শান্তি এবং নরহরি রাও তাগাতের কাছে একটি কন্নডিগা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ৫ ভাইবোনের মধ্যে বড় ছিলেন। তাঁর দুই ভাই এবং দুই বোন হলেন যথাক্রমে ভেঙ্কটেশ ও প্রসাদ এবং গায়ত্রী ও পদ্মজা। তিনি দুটি আঞ্চলিক চলচ্চিত্রে শিশু অভিনেত্রী হিসেবেও উপস্থিত হয়েছিলেন এবং রেডিওতেও তাঁর কণ্ঠ দিয়েছেন। তারপরে তিনি প্রভঞ্জন রাওকে বিয়ে করেন এবং ইংরেজি সাহিত্যের ক্ষেত্রে তাঁর পড়াশোনা চালিয়ে যান। এরপর তিনি ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করেন। এরপর তিনি ২০০৪ সালে অবসর নেওয়া পর্যন্ত ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (প্রথমে মহিলা কলেজ, কোটি এবং তারপর নিজাম কলেজে) ইংরেজি পড়ান। অবসর গ্রহণের পর, তিনি হায়দ্রাবাদের পোট্টি শ্রীরামুলু তেলুগু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনারারি অধ্যাপক নিযুক্ত হন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাভার্গবী রাও ১৯৬০ সালের জুন মাসে তিরুপতিতে প্রভঞ্জন রাওকে বিয়ে করেন। তাঁদের ৩টি কন্যা রয়েছে: মিত্রবিন্দা, সর্বাণী এবং সুস্মিতা। তাঁর ৬জন নাতি-নাতনি হলো: বৈষ্ণবী, প্রদ্যুম্ন, মায়া, মুকুন্দ, বৈকুন্ঠ এবং সাকেত। তিনি ১৯৭৭ সাল থেকে হায়দ্রাবাদের সন্তোষনগরে বসবাস করছেন।
সাহিত্যিক কাজ
সম্পাদনাতেলুগু ভাষায় তাঁর প্রকাশনাগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যালবাম এবং নিদালা গোদালু (কবিতা), গুন্দেলো থাডি, চুক্কা নববিন্দি এবং নাপেরু (ছোটগল্প), অভিসারিকা, থুরপু গালি (উপন্যাস), প্রণব গঙ্গা (নৃত্যনাট্য), এবং সৌগন্ধিকা (একক নাটক)। তিনি বারাণসী নাগলক্ষ্মীর সাথে একটি কুচিপুডি নৃত্যনাট্য উর্বসী-র সহ-লেখন করেছেন। গিরিশ কারনাডের কন্নড় ভাষায় রচিত নাটকগুলির তাঁর অনুবাদগুলি হল: নাগমণ্ডলা, হায়াবদনা, তালদণ্ডম, তুঘলক এবং অগ্নি বর্ষম। তাঁর অন্যান্য অনুবাদগুলি হল সিরি সাম্পেঙ্গা এবং কাথাগা মারিনা আম্মায়ি। নুরেলা পান্তা ছাড়া তাঁর সংকলনগুলির মধ্যে রয়েছে মুদ্রা (মহিলা কবি), নুরু ভারাহালু (ছোটগল্প), ইনকানা! ইকাপাই সাগাদু (দলিতদের গল্প), আহা! ওহো! (হাস্যকর গল্প)।[১] তাঁর বিভিন্ন অনুদিত নাটক অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে।
ভার্গবী রাওয়ের সাথে সহযোগিতায় ছিলেন পি জয়লক্ষ্মী, তাঁরা ২০০৩ সালের মার্চ মাসে শীলা সুভদ্রা দেবীর পূর্ণ দৈর্ঘ্যের কবিতা যুধাম ওকা গুণ্ডে কথা ইংরেজিতে ওয়ার এ হার্ট'স র্যাভেজ হিসাবে অনুবাদ করে প্রকাশ করেন। [২]
ইংরেজিতে ভার্গবী রাওয়ের প্রকাশনাগুলির মধ্যে রয়েছে পেবলস অন দ্য সি শোর (ছোটগল্প), হিকাপস (কবিতা), এবং মেরু কাঞ্চনা (উপন্যাস)। তিনি টি. বিজয় কুমারের সাথে কালার অ্যাণ্ড ক্যাডেন্সেস: পোয়েমস ফ্রম দ্য রোমান্টিক এজ সহ-সম্পাদনা করেন। তিনি বেশ কিছু কাজ ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন এবং তাঁর কৃতিত্বের মধ্যে কিছু শিক্ষাগত কাজও রয়েছে। তিনি একটি সাহিত্য ই-জার্নাল, মিউজ ইণ্ডিয়াতে অবদান রাখার জন্য সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।[৩]
তাঁর শেষ কাজটি ছিল "পুত্র কামেষ্টি"। এই লেখাটি স্বাতী পত্রিকা দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিযোগিতায় রানার-আপ পুরস্কার জিতেছিল।
পুরস্কার এবং স্বীকৃতি
সম্পাদনাগিরিশ কারনাডের নাটক, তালেদণ্ড অনুবাদ করে তিনি ১৯৯৫ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন।[৪] এছাড়াও তিনি পিএস তেলুগু বিশ্ববিদ্যালয় পুরস্কার (১৯৯৯), সখ্য সাহিত্য পুরস্কার (২০০০) এবং গৃহলক্ষ্মী পুরস্কার (২০০১) অর্জন করেছেন।[৫] ভার্গবী রাও উত্তর আমেরিকার তেলুগু অ্যাসোসিয়েশন (টিএএনএ) এবং তেলুগু সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সমিতির সদস্য ছিলেন।[৬]
আরও দেখুন
সম্পাদনাপাদটীকা
সম্পাদনা- ↑ "Prism Books - Literary Works of Bhargavi Rao"। Prism Books Co.। ২৯ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০০৮।
- ↑ "Translating Poems"। Anukriti.net। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০০৮।
- ↑ "Muse India"। Muse India। ৯ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০০৮।
- ↑ "Sahitya Akademi Awards"। Central Sahitya Akademi। ২০ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০০৮।
- ↑ "TLCA Awards"। TLCA। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০০৮।
- ↑ "Meet and Greet Bhargavi and Sudha - TLCA Article"। TLCA। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০০৮।