ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) লিবারেশন
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) লিবারেশন সংক্ষেপে সিপিআইএমএল; যা হল ভারতের একটি কমিউনিস্ট পার্টি। ১৯৭৪ সালের ২২ শে এপ্রিল কলকাতায় এই দলের গঠন হয়। বর্তমানে ভারতের বামপন্থী আন্দোলনের অন্যতম একটি দল হলো সিপিআইএমএল লিবারেশন। ভারতের বুকে যখন অন্যান্য বামপন্থী দল দুর্বল হচ্ছে, এই সময় এই দলটি ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করছে। যদিও দলটির সারা ভারতে সাংগঠনিক অবস্থা সমান নয়। বিহার, ঝাড়খণ্ড,অসমে এই দলটির সংগঠন বেশ শক্তিশালী।[২]
সিপিআইএমএল লিবারেশন | |
---|---|
মহাসচিব | দীপঙ্কর ভট্টাচার্য |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৭৪ |
বিভক্তি | সিপিআইএমএল |
সদর দপ্তর | চারু ভবন, নতুন দিল্লি, ভারত |
ছাত্র শাখা | আইসা |
যুব শাখা | বিপ্লবী যুব আসোসিয়েশন |
মহিলা শাখা | সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতি |
শ্রমিক শাখা | অল ইন্ডিয়া সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব ট্রেড ইউনিয়ন |
কৃষক শাখা | সারা ভারত কৃষক মহাসভা |
ভাবাদর্শ | মার্কসবাদ-লেনিনবাদ মাও সেতুং-র চিন্তাধারা |
রাজনৈতিক অবস্থান | বামপন্থী |
আনুষ্ঠানিক রঙ | Red |
স্বীকৃতি | রাজ্য দল[১] |
-এ আসন | ১২ / ২৪৫ বিহার বিধানসভা (২০২০)
১ / ১৮১ ঝাড়খণ্ড বিধানসভা (২০১৯)
|
নির্বাচনী প্রতীক | |
দলীয় পতাকা | |
ওয়েবসাইট | |
www | |
ভারতের রাজনীতি রাজনৈতিক দল নির্বাচন |
সিপিআইএমএল -র সাংগাঠনিক ভিত্তি হল ভ্লাদিমির লেনিন প্রবর্তিত গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতাবাদ। এই মতবাদ অনুসারে, দলের নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক ও মুক্ত চিন্তা আলোচনার পদ্ধতি স্বীকৃত। দলটির সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব হলো ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) দলটির পলিটব্যুরো। পলিটব্যুরো, কেন্দ্রীয় কমিটি, রাজ্য কমিটি, জেলা কমিটি, লোকাল ও ব্রাঞ্চ কমিটি প্রভৃতি ক্রমবিন্যাসে দলটির সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত এবং কার্যাবলী বিভক্ত।
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৬৯ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী - লেনিনবাদী) গঠনের ইতিহাস
সম্পাদনাভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) (সিপিআইএম) বিভাজনের পর "ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)"-র উদ্ভব হয়েছিল। নকশালবাড়ি সশস্ত্র কৃষক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সিপিআইএম পার্টি থেকে বিভক্তির মাধ্যমে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) গঠিত হয়। ১৯৬৯ সালে পার্টি গঠনের পর থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত সিপিআইএম ও কংগ্রেসের চরম রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কবলে পরে অসংখ্য সিপিআইএমএল নেতা-কর্মী মৃত্যুবরণ করেন। সরোজ দত্ত, চারু মজুমদার, জঙ্গল সান্তাল প্রমুখ যাদের মধ্যে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য ছিলেন।
১৯৭৪ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) লিবারেশন গঠন
সম্পাদনা১৯৭৪ সালে সিপিআইএমএল পার্টি পুনঃ গঠনের মাধ্যমে সিপিআইএমএল লিবারেশন পার্টি গঠিত হয়। চারু মজুমদারের পর পার্টির দ্বিতীয় সর্বভারতীয় সম্পাদক হন সুব্রত দত্ত। যিনিও ভোজপুর সশস্ত্র কৃষক আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে দীর্ঘ ৭২ ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধে শহীদ হন।
১৯৭৫ সালে সুব্রত দত্তের মৃত্যুর পর নতুন সর্বভারতীয় সম্পাদক হন বিনোদ মিশ্র। ১৯৯৪ সালে কোলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশের মাধ্যমে তিনি পার্টিকে নির্বাচনে লড়ার জন্য উন্মুক্ত করেন। ১৯৯৮ সালে সিপিআইএমএল পার্টির পার্টি কংগ্রেস চলাকালীন বিনোদ মিশ্র মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৯৮ সালে পার্টির নতুন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হন দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। যিনি ১৯৯৮ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত সিপিআইএমএল লিবারেশন পার্টির সর্বভারতীয় সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। তার সময়েই পার্টির সাংগঠনিক বৃদ্ধি ও নির্বাচনিক ফলাফল সর্বাধিক আকার নিয়েছে।
সর্বভারতীয় সম্পাদক
সম্পাদনা- চারু মজুমদার (১৯৬৯-১৯৭২)
- সুব্রত দত্ত (১৯৭৪-১৯৭৫)
- বিনোদ মিশ্র (১৯৭৫-১৯৯৮)
- দীপঙ্কর ভট্টাচার্য (১৯৯৮-বর্তমান)
আরও দেখুন
সম্পাদনাreferences
সম্পাদনা- ↑ "List of Political Parties and Election Symbols main Notification Dated 18.01.2013" (পিডিএফ)। India: Election Commission of India। ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৩।
- ↑ https://bengali.abplive.com/topic/cpiml-liberation