ভারতের ফৌজদারি আইন

(ভারতীয় সাক্ষ্য আইন থেকে পুনর্নির্দেশিত)

ভারতের ফৌজদারি আইন বলতে ভারতে অপরাধ সম্পর্কিত বিভিন্ন আইনদের বোঝায়। ২০২৩ সালে ভারতীয় সংসদে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতাভারতীয় সাক্ষ্য আইন, ২০২৩ এই তিন ফৌজদারি আইন পাস হয়েছিল, যা ভারতীয় দণ্ড বিধি (আইপিসি), দণ্ড প্রক্রিয়া বিধি (সিআরপিসি) ও ভারতীয় সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ এই তিন ফৌজদারি আইনদের প্রতিস্থাপিত করেছিল।[১] এছাড়া সংসদ বেশ কিছু ফৌজদারি আইন পাস করেছিল, যেমন চেতনানাশক ড্রাগ ও সাইকোট্রপিক দ্রব্য আইন, ১৯৮৫, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৮ ইত্যাদি।

বর্তমান ফৌজদারি আইন সম্পাদনা

ভারতীয় ন্যায় সংহিতা সম্পাদনা

ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের দণ্ড বিধি,[১] যা ১৮৬০ সালে চালু হওয়া ভারতীয় দণ্ড বিধিকে প্রতিস্থাপিত করেছে। দণ্ড বিধি হিসাবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় অপরাধ, শাস্তি, প্রতিরক্ষা ও দণ্ড প্রক্রিয়া অন্তর্গত।[২]

ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা সম্পাদনা

ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (সাধারণত বিএনএসএস বা ভানাসুসং নামে পরিচিত), হল ভারতে প্রকৃত ফৌজদারি আইন পরিচালনার পদ্ধতির প্রধান আইন।[৩][৪][৫]

ভারতীয় সাক্ষ্য আইন, ২০২৩ সম্পাদনা

প্রাক্তন ফৌজদারি আইন সম্পাদনা

ভারতীয় দণ্ড বিধি সম্পাদনা

ভারতীয় দণ্ড বিধি (English: The Indian Penal Code (IPC)) হল ভারতের মাটিতে সংঘটনীয় বিবিধ অপরাধের বিবরণ ও সংশ্লিষ্ট শাস্তি বা দণ্ডের বিধান সংবলিত প্রধান আইন। ১৮৩৩ সালের চার্টার আইনের নির্দেশে ১৮৩৪ খ্রিষ্টাব্দে থমাস ব্যাবিংটন মেকলের সভাপতিত্বে গঠিত প্রথম ভারতীয় আইন কমিশনের সুপারিশে ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে এই দণ্ড বিধির খসড়া তৈরী হয়।[৬][৭][৮] ভারতে ব্রিটিশ রাজের শুরুর দিকে ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে ভারতে এই আইন বলবৎ হয়। তবে, দেশীয় রাজ্যগুলিতে নিজস্ব আইন-আদালত থাকার জন্য এই আইন ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত চালু হয়নি। চালু হবার পর থেকে এই বিধির অনেক সংশোধন ও সম্প্রসারণ হয়েছে।

দণ্ড প্রক্রিয়া বিধি সম্পাদনা

ভারতীয় সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ সম্পাদনা

ভারতীয় সাক্ষ্য আইন - ১৮৭২ ( ইংরেজি: Indian Evidence Act -1872) প্রবর্তিত হয় ব্রিটিশ শাসনামলে। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনাবসান ও ভারতবর্ষ বিভাগের মাধ্যমে ভারত নামক স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার পরও এই আইন বলবৎ থাকে। ভারতীয় উপমহাদেশীয় বিভিন্ন দেশের বর্তমান সাক্ষ্যপ্রণালী এই আইনের ভিত্তিতে কার্যকর হয়। [৯]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "3 new Bills introduced in Lok Sabha to replace criminal laws; sedition law to be scrapped"। আগস্ট ১১, ২০২৩ – www.thehindu.com-এর মাধ্যমে। 
  2. Trend, Law (২০২৩-১২-৩১)। "India's Historical Legal Reform: The Introduction of Bharatiya Nyaya Sanhita- Major Changes"Law Trend (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-০৩ 
  3. "3 new Bills introduced in Lok Sabha to replace criminal laws; sedition law to be scrapped"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আগস্ট ১১, ২০২৩। 
  4. "'Sedition law to be repealed': Amit Shah introduces 3 bills to replace IPC, CrPC, Indian Evidence Act in Lok Sabha"The Times of India। ১১ আগস্ট ২০২৩। 
  5. ""Acts of Secession" Replaces Sedition: New Bills To Overhaul Criminal Laws"NDTV (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ আগস্ট ২০২৩। 
  6. (ইংরেজি) Universal's Guide to Judicial Service Examination। Universal Law Publishing। পৃষ্ঠা 2। আইএসবিএন 9350350297 
  7. Lal Kalla, Krishan। The Literary Heritage of Kashmir। Jammu and Kashmir: Mittal Publications। পৃষ্ঠা 75। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  8. "Law Commission of India - Early Beginnings"Law Commission of India। ২ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  9. The Law of Evidence, Batuk Lal (২০০৪)। Preliminary। Allahabad: Central Law Agency। পৃষ্ঠা 3।