ভারতীয় গ্রামীণ মহিলা সংঘ

সংস্থা

ভারতীয় গ্রামীণ মহিলা সংঘ বা বিজিএমএস (ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ রুরাল উইমেন ইণ্ডিয়া), ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত, একটি অরাজনৈতিক এবং অসাম্প্রদায়িক জাতীয় সংগঠন যার শাখা সমগ্র ভারতে রয়েছে, ১৪টি রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে।[১][২][৩] গ্রামীণ মহিলাদের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড কান্ট্রি উইমেন অফ দ্য ওয়ার্ল্ড (এসিডব্লিউডব্লিউ) এর সাথে এটি অনুমোদিত। এসিডব্লিউডব্লিউ ইউএনও, ইউনেস্কো, ডব্লিউএইচও এবং আইএলও- এর জন্য একটি পরামর্শমূলক সংস্থা।

ভারতীয় গ্রামীণ মহিলা সংঘ-(কর্ণাটক), বেঙ্গালুরু
প্রতিষ্ঠাতাপ্রয়াত পদ্মভূষণ শ্রীমতী যশোধরা দাসপ্পা এবং প্রয়াত শ্রীমতী সি শারদা
ধরননাগরিক সেবা প্রদান
যে অঞ্চলে
দুর্দশাগ্রস্ত মহিলাদের জন্য আশ্রয় ও পুনর্বাসন, অনাথ ও নিঃস্ব শিশুদের জন্য আশ্রম, মহিলাদের জন্য বৃদ্ধাশ্রম

বিজিএমএস-এর লক্ষ্য হল নারী, শিশু, বয়স্ক এবং আংশিকভাবে প্রতিবন্ধীদের কল্যাণ, উন্নতি এবং ক্ষমতায়ন। এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের বিষয়ে একটি সচেতনতামূলক কর্মসূচী পরিচালনায় জাতিসংঘ মাদক ও অপরাধবিষয়ক সংস্থার সাথে কাজ করে।[৪] এরা নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষার জন্য নিজ নিজ এলাকার গ্রাম জুড়ে মহিলা মণ্ডল (মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী) তৈরির জন্য পরিচিত।[৫][৬]

বিজিএমএস সুবিধা সম্পাদনা

শিশুরা সম্পাদনা

শিশুদের চিকিৎসা ও দাঁতের যত্ন দেওয়া হয়, খাদ্য, পোশাক, পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম এবং শিক্ষা প্রদান করা হয়। তাদের স্নানাগার এবং শৌচাগারের সুবিধাসহ ছাত্রাবাসে রাখা হয় এবং তাদের নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। ২০০৯ সালে, বিজিএমএস-এর ব্যাঙ্গালোর শাখা শিশুদের জন্য একটি ইংরেজি-মাধ্যম স্কুল (কর্নাটক স্টেট বোর্ড) শুরু করে। বিজিএমএস শিশুকুঞ্জ বিদ্যালয় নামে পরিচিত এই বিদ্যালয়ে আঠারোজন শিক্ষকের পাশাপাশি একজন প্রধান শিক্ষিকা রয়েছেন। শিশুদের ১ থেকে ১০ শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থী গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান, সামাজিক অধ্যয়ন, কন্নড় ও হিন্দি এবং আরও অনেক কিছুতে শিক্ষিত হয়।[৭]

বিজিএমএসের গল্প সম্পাদনা

বিজিএমএস-এর বেশির ভাগ শিশুই আর্থিক সমস্যা, সঠিক শিক্ষার অভাব বা পারিবারিক সমস্যার কারণে তাদের পরিবার থেকে দূরে থাকে। অনেক শিশু আগে বড় পরিবারের সাথে গ্রামে বাস করত, কিন্তু তাদের অভিভাবকদের পুরো পরিবারকে সমর্থন করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না। গ্রামে যে শিক্ষা পাওয়া যায় তা পর্যাপ্ত ছিল না। সেইজন্য অভিভাবকরা নিজেদের সন্তানদের বিজিএমএস-এ পাঠাতেন যাতে উন্নত শিক্ষা লাভ করা যায়।

নিঃস্ব নারী সম্পাদনা

যেসব মহিলারা তাদের স্বামী, শ্বশুরবাড়ি বা অন্য কারও দ্বারা নির্যাতিত ও মানসিক আঘাতের শিকার হয়েছে এবং ঘর থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে, সেই সব নিঃস্ব মহিলাদের জন্য স্বল্প সময় থাকার ঘর আছে। বিজিএমএস-এ তাদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং চাকরি দেওয়া হয় নিজেদের ভরণপোষণের জন্য।

বয়স্ক মহিলা সম্পাদনা

বয়স্ক মহিলা, যাদের দেখাশোনা করার জন্য কেউ নেই, তারা বিজিএমএসে থাকতে পারেন। তাঁদের খাবার, চিকিৎসা ও বিনোদনের সুবিধা দেওয়া হয়।

শাখা সম্পাদনা

  • ভারতীয় গ্রামীণ মহিলা সংঘ, হরিয়ানা (চণ্ডীগড়)[৪]
  • ভারতীয় গ্রামীণ মহিলা সংঘ, দিল্লি
  • ভারতীয় গ্রামীণ মহিলা সংঘ, কর্ণাটক (বেঙ্গালুরু)
  • ভারতীয় গ্রামীণ মহিলা সংঘ, মধ্যপ্রদেশ, (ইন্দোর)[১]
  • ভারতীয় গ্রামীণ মহিলা সংঘ, পাঞ্জাব (চণ্ডীগড়)[৮]
  • ভারতীয় গ্রামীণ মহিলা সংঘ, পশ্চিমবঙ্গ

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Bhartiya Grameen Mahila Sangh, Madhya Pradesh, Indore"। ২০১৫-০৫-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-০৯ 
  2. Encyclopedia of social work in India, by Ministry of Welfare India. Publications Division, Ministry of Information and Broadcasting, 1987. Page 120.
  3. Gramin mahila chetna sammelan, organised by the haryana branch of bhartiya gramin mahila sangh (bgms) Times of India, September 13, 2001.
  4. Haryana secondary school principals take the lead with the awareness programme on drug abuse amongst young people. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত মার্চ ৮, ২০১২ তারিখে UNODC report, Chandigarh, October 07.
  5. Economic bulletin for Asia and the Pacific, by United Nations Economic and Social Commission for Asia and the Pacific (UNESCAP). United Nations, 1978. Page 100.
  6. Women Education in Twenty First Century', by B. D. Usmani. Anmol Publications, 2004. আইএসবিএন ৮১২৬১২০২৪X. Page 59.
  7. "Shishukunj International Projects"। ২০১২-০২-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-০৯ 
  8. "Bhartiya Grameen Mahila Sangh, Punjab"। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-০৯ 
  • শিশু ও মহিলাদের জন্য কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা: কিছু প্রোফাইল, মীনাক্ষী সুদ, নীনা স্বরূপ, অলকা বাত্রা। রিসোর্স সেন্টার অন চিলড্রেন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক কোঅপারেশন অ্যান্ড চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট, 1992। পৃষ্ঠা 64