ভান্দন দুর্গ

(ভান্দন কেল্লা থেকে পুনর্নির্দেশিত)

ভান্দন দুর্গ বা কেল্লা (মারাঠি: वंदन किल्ला) মহারাষ্ট্রে অবস্থিত একটি দুর্গ। এটি সাতারা জেলার সহ্যাদ্রির মূল পর্বতশৃঙ্গ থেকে সৃষ্ট একটি পাহাড়ের উপর অবস্থিত। পর্বতারোহী এবং তীর্থযাত্রীরা প্রায়শই দুর্গটিকে পরিদর্শন করে থাকেন। পর্বতের পাদদেশের গ্রামগুলি আখ ও অন্যান্য চাষাবাদে খুবই সমৃদ্ধ। চন্দনভান্দন হল একে অপরের সংলগ্ন দুটি দুর্গ। একইদিনে সহজেই উভয় দুর্গেই আরোহন ও ভ্রমণ করা সম্ভব।

ভান্দন দুর্গ
ভান্দন দুর্গ মহারাষ্ট্র-এ অবস্থিত
ভান্দন দুর্গ
ভান্দন দুর্গ
মহারাষ্ট্রে ভান্দন দুর্গের অবস্থান
সর্বোচ্চ বিন্দু
উচ্চতা৩,৮০০ ফুট (১,২০০ মিটার)
স্থানাঙ্ক১৭°৫০′২০.৭″ উত্তর ৭৪°০২′০৫.৩″ পূর্ব / ১৭.৮৩৯০৮৩° উত্তর ৭৪.০৩৪৮০৬° পূর্ব / 17.839083; 74.034806
ভূগোল
অবস্থানমহারাষ্ট্র, ভারত
মূল পরিসীমাপশ্চিমঘাট পর্বতমালা
আরোহণ
সহজ পথহাঁটাপথ
ভান্দন দুর্গ
দরগাহ
প্রবেশদ্বার

আগ্রহের জায়গাসমূহ সম্পাদনা

মূল দুর্গ এবং দুর্গের মূল প্রবেশদ্বারের অবস্থাও বেশ ভালো। দুর্গের মধ্যে দরগাহ, জলের কুন্ড এবং একটি বুরুজ রয়েছে। দুর্গের পথটির চারপাশ জংলা গাছপালা দিয়ে ঘেরা। এছাড়াও, দুর্গের প্রবেশদ্বারে প্রহরীদের জন্য কয়েকটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। দুর্গের দক্ষিণাংশে রয়েছে পাথর দ্বারা নির্মিত আরেকটি দরগাহ। দরগার দ্বারে আরবি ভাষায় লেখা একটি শিলালিপি এবং "সরকারওয়াদা" নামক তিনকক্ষ বিশিষ্ট একটি কাঠামো রয়েছে।[১]

ইতিহাস সম্পাদনা

তাম্রপাতে লেখা পাণ্ডুলিপি থেকে প্রাপ্ত প্রমাণ অনুসারে, চন্দন ও ভান্দন দুর্গগুলি ১১৯১-১১৯২ খ্রীষ্টাব্দে শিলাহার রাজবংশর রাজা দ্বিতীয় ভোজ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। রাজা ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ ১৬৭৩ খ্রীষ্টাব্দে বিজাপুরের রাজা আদিলশাহকে পরাজিত করে এই দুর্গগুলি অধিকার করেন। মোগলদের হাতে চলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত অর্থাৎ ১৬৮৯ সাল পর্যন্ত এগুলি মারাঠাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ১৭০৭ সালে চন্দ্র সাহু মহারাজ[১] এই দুর্গদ্বয় জয় করেন।

কীভাবে পৌঁছাবেন সম্পাদনা

পুনে থেকে ৮৭ কিমি দূরে জাতীয় সড়ক ৪ (ভারত) এ অবস্থিত ভূইঞ্জ হল দুর্গের নিকটতম শহর। দুর্গের কাছাকাছি কোন ভাল যাত্রাবাস কিংবা সরাইখানা নেই। এই দুর্গে পৌঁছানোর দুটি পথ রয়েছে। দুধনওয়াড়ি গ্রাম থেকে শুরু হওয়া পথটি হল সবচেয়ে সহজপথ এবং অন্য পথটি বেলমাছি গ্রাম থেকে শুরু হয়েছে। ভূইঞ্জ থেকে রাস্তাটি পাহাড়সংলগ্ন দুর্গের চারপাশে ঘুরে দুধনওয়াড়িতে পৌঁছায়। পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত দুটি গ্রামেই যানবাহন রেখে আরও এক ঘন্টার খাড়াই হাঁটাপথ চন্দন দুর্গে নিয়ে যায়। মূল পথ থেকে বিভাজিত একটি সরু পথ ভান্দন দুর্গের দিকে চলে গেছে। দুর্গে কোন ভাল পানীয় জলের ব্যবস্থা না থাকলেও দরগার কাছে দুর্গে রাত্রিযাপন একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতার সমান।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Pathak, Arunchandra S. (২৫ ডিসেম্বর ২০০৬)। Satara District gazetteer। Mumbai: Govt. of Maharashtra। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০২১