ভবানীপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা
ভবানীপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা দিনাজপুর জেলার একটি উল্লেখযোগ্য আলিয়া মাদ্রাসা। এটি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নে অবস্থিত একটি কামিল মাদ্রাসা।[১][২] এটি ১৯৭২ সালে মাওলানা মনির উদ্দীন মন্ডল ও মো. গোলাম মোরতুজা নামের দুই ইসলামি ব্যক্তিত্ব কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়।[৩] মাদ্রাসাটি ভবানীপুর রেলস্টেশনের পূর্ব দিকে কয়াটার কিলো অদুরে পলাশ বাড়ি ইউপির সিমান্তে অবস্থিত।[৪] মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষের নাম মাওলানা হাসান মাসুদ এবং উপাধ্যক্ষের নাম মাওলানা মোস্তফা খালেদ। মাদরাসাটি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যাল কর্তৃক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান।
![]() মাদ্রাসার মূলগেট | |
ধরন | মাদ্রাসা |
---|---|
স্থাপিত | ২৫ ডিসেম্বর ১৯৭২ |
প্রতিষ্ঠাতা | মোঃ মনির উদ্দীন মন্ডল ও মোঃ গোলাম মোরতুজা |
অধিভুক্তি | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (২০০৬ – ২০১৬) ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৬ – বর্তমান) |
অধ্যক্ষ | মাওলানা মো হাসান মাসুদ |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৬০ জন |
শিক্ষার্থী | ২৬০০+ |
ঠিকানা | , , বাংলাদেশ |
ইআইআইএন | ১২১০২৪, মাদ্রাসা কোড-১৫১৩৬ |
ক্রীড়া | ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
![]() |
ইতিহাস
সম্পাদনাপার্বতীপুর উপজেলার ভবানীপুরের বাসিন্দা মেহের উদ্দীন মন্ডল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হবার পরে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শহীদ পরিবারকে ২০০০ টাকা প্রদান করেন। উক্ত টাকায় শহীদ মেহের উদ্দীন মন্ডলের দুই সন্তান মো. মনির উদ্দীন মন্ডল ও মোঃ গোলাম মোরতুজা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রথমে ফোরকানিয়া মাদ্রাসা চালু করেন। পরে এলাকাবাসির সহযোগিতায় মাদ্রাসাটি ২৫ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে পর্যায়ক্রমে দাখিল (১৯৭৬), আলিম (১৯৭৯) (বিজ্ঞান), ফাযিল, কামিল স্নাতকোত্তর (হাদিস, তাফসির, ফিকহ) ২০০১, ফাযিল স্নাতক (সম্মান) আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে।[৩] এখানে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা এর অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল), এইচএসসি (বিএম) চালু আছে।[৩][৫]
শিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনাএই মাদ্রাসায় আলিয়া মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখা থেকে কামিল শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। মাদরাসায় ৬০ জন শিক্ষক-কর্মচারী এবং ২৮০০+ জন ছাত্র-ছাত্রী আছে।[৩] প্রতিবছর মাদরাসাটি বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় প্রায় শতভাগ পাশ করে।[৩] মাদ্রাসায় একটি বিজ্ঞানাগার, একটি কম্পিউটার ল্যাব এবং একটি পাঠাগার রয়েছে।[৩] মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর জন্য পোশাক নির্ধারণ করা হয়েছে, ছাত্রের জন্য সাদা পায়জামা, আকাশি পাঞ্জাবি, টুপি ও জুতা এবং মেয়েদের আকাশি রঙের বোরখা ও সাদা ওড়না। এছাড়াও মাদাসার অনেক ছাত্র-ছাত্রী জাতীয় পর্যায়ে রচনা, ইসলামি সংগিত, কেরাত ও খেলাধুলা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে বিজয়ী হয়েছে।
মাদরাসাটির ক্যাম্পাস ৫১৪ একর এবং অন্যত্র ২০০ একর জমি আছে।[৩] মাদরাসাটিতে ৬টি ভবন আছে-
- প্রশাসনিক ভবন- ১ টি চারতলা।
- একাডেমিক ভবন- ২ টি তিন তলা,
- একাডেমিক ভবন - ১ টি চার তলা।
- ছাত্রাবাস ভবন - ১টি
- মসজিদ - ১ টি দুতলা।[৩]
গ্যালারি
সম্পাদনা-
মাদ্রাসার পূর্ব দিকে ৩ তলা ১নং একাডেমিক ভবন
-
মাদ্রাসার ৪ তলা ২নং একাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবন
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ কামিল মাদ্রাসা, ভবানীপুর ইসলামিয়া (৩১ জানুয়ারি ২০২২)। "ভবানীপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা"। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ "Bhabanipur Islamia Kamil Madrasah - Sohopathi | সহপাঠী" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৭-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-৩১।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ "BHABANIPUR ISLAMIA KAMIL MADRASAH"। 121024.ebmeb.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-৩১।
- ↑ কামিল-মাদ্রাসা, ভবানীপুর-ইসলামিয়া (৩১ জানুয়ারি ২০২২)। "ভবানীপুর-ইসলামিয়া-কামিল-মাদ্রাসা"। হাবরা ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ "পার্বতীপুরের ভবানীপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা সরকারী হচ্ছে"। birganjpratidin.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০১-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-৩১।