ব্রংকাইটিস

শ্বাসনালীর একটি রোগ

ব্রংকাইটিস (bronchitis)শ্বাসনালীর ভিতরে আবৃত ঝিল্লিতে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণকে ব্রংকাইটিস বলে। ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমনে ঝিল্লিগাত্রে প্রদাহ হয়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে,স্যাঁতস্যাতে ধুলিকনা মিশ্রিত আবহাওয়া,ঠান্ডা লাগা ও ধূমপান থেকে এই রোগ হতে পারে। সাধারণত শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা এই রোগে বেশি ভোগে।একবার ব্রংকাইটিস হলে বারবার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ধুম্পান,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশকে এই রোগের কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়।যেমনঃ কলকারখানার ধুলাবালি ও ধোয়াময় পরিবেশ।

ব্রংকাইটিস Bronchitis
শ্বাসনালীর ভিতরে আবৃত ঝিল্লিতে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ
উচ্চারণ
  • bron-kye-tis
বিশেষত্বসংক্রামক রোগ, ফুসফুস
লক্ষণকাশি mucus, wheezing, শ্বাসকষ্ট, chest discomfort[১]
প্রকারভেদতীব্র ব্রংকাইটিস(Acute), খ্রুনিক(chronic)[১]
কারণধুলাবালি ও ধোয়াময় পরিবেশ। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে,স্যাঁতস্যাতে ধুলিকনা মিশ্রিত আবহাওয়া,ঠান্ডা লাগা ও ধুম্পান থেকে এই রোগ হয়ে থাকে।
সংঘটনের হারতীব্র ব্রংকাইটিস: ~৫% লোক প্রতিবছর[২][৩]
খ্রুনিক: ~৫% লোক[৩]

কারণ

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে,স্যাঁতস্যাতে ধুলিকনা মিশ্রিত আবহাওয়া,ঠান্ডা লাগা ও ধুম্পান থেকে এই রোগ হয়ে থাকে। ধূমপান,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশকে এই রোগের কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়।

লক্ষণ সম্পাদনা

  1. কাশি, বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হয়।
  2. শ্বাসকষ্ট হওয়ায় মাথা ব্যথা হতে পারে।
  3. কাশির সময় রোগী বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে।
  4. জ্বর হয়,রোগী ক্রমান্বয়ে দূর্বল হয়ে পরে।
  5. শক্ত খাবার খেতে পারে না।
  6. কাশির সাথে অনেক সময় কফ বের হয়।(যদি একটানা ৩ মাস কাশির সাথে কফ থাকে এবং এরকম অসুস্থতা পরপর ২ বছর দেখা যায় তাহলে রোগীর ক্রনিক ব্রংকাইটিস হয়ে থাকতে পারে।)

ধরন সম্পাদনা

তীব্র ব্রঙ্কাইটিস (acute Bronchitis) সম্পাদনা

চিকিৎসা সম্পাদনা

প্রতিকার সম্পাদনা

  1. ধূমপান,মদ্যপান,তামাক বা আয়াদা পাতা খাওয়া বন্ধ করা।
  2. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীর চিকিৎসা করানো।
  3. রোগী কে উষ্ণতা ও শুষ্ক পরিবেশে রাখা।
  4. পুষ্টিকর তরল ও গরম খাবার খাওয়ানো। যেমনঃ গরম দুধ,স্যুপ ইত্যাদি।
  5. রোগীর পুর্ন বিশ্রাম নেওয়া।

প্রতিরোধ সম্পাদনা

  1. ধূমপান,মদ্যপান ও তামাক সেবনের মতো খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করা।
  2. ধুলাবালি ও ধোয়াপুর্ন পরিবেশে কাজ করা থেকে বিরত থাকা।
  3. শিশু ও বয়স্কদের যেন মাথায় ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে নজর রাখা।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; NIH2011Def নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  2. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Wen২০০৬ নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  3. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; YLD২০১২ নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি