Tr Rafsan Forazi যিনি TruckBD 71 ™ এর প্রতিষ্ঠাতা।

বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম সম্পাদনা

History of my life সম্পাদনা

Tr Rafsan Firazi

ঠিকানা_________________________

জন্ম :- ২৫/৫/১৯৯৮ বিভাগ :- বরিশাল। জেলা :- ভোলা। থানা :- বোরহানউদ্দিন। গ্রাম :- বড় মানিকা। পোস্ট :- মানিকা। ওয়ার্ড নং :- ৩ বাড়ি :- চাঁন মিয়া মেস্ত্রী বাড়ি।

যোগাযোগ_______________________

মোবাইল :- ০১৭৭১৫৩৬৯৯৯৯ ইমেইল :- rafsanforazi.tr@gmail.com ফেসবুক :- www.fb.com/rafsanforazi.tr ওয়েব :- www.rafsan-forazi.blogspot.com ওয়েব ২ :- www.truckbd71.blogspot.com


বিস্তারিত তথ্য____________________

আমি মোহাম্মদ টি আর রাফসান ফরাজী। ২৫/৫/১৯৯৮ সালে রোজ সোমবার আমার জন্ম। আমার পিতা মাতার কাছ থেকে আমি যতটুকু শুনেছি এবং জ্ঞান হওয়ার পরে যতটুকু দেখেছি তা হল :- আমার জন্মের প্রথম সময়টাতে আমাদের আর্থিক অবস্থা তেমন একটা ভালো ছিল না। অন্যের জায়গায় আমরা থাকতাম। কিন্তু আমার জন্মের বেশ কিছুদিন পরেই আমাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটে। মহান আল্লাহ তায়ালার কৃপায় আমার বাবার হাত ধরে ধীরে ধীরে আর্থিক সচ্ছলতার দেখা পাই আমার বাবা। একটা সময় বড় মানিকার হাট বাজারের ঠিক পূর্ব পাশে আমার বাবা কিছু জমি কেনে, জমিদার ছিল খালপাড়ে যার আশে পাশে ছিল প্রচুর পানি যখন খালে জোয়ার আসতো তখন পানিতে আশপাশে জায়গাগুলো ভরে যেত কেননা ওই জায়গা গুলো নীচু ছিল। আমার বড় ভাই আমার বড় আপু এবং আমার মা বাবা একটু একটু করে ওই নিচু জায়গাটি ভরাট করে একপর্যায়ে সেখানে আমাদের ঘর ভিটা তৈরি হয়। তারপর আমরা আগের জায়গা থেকে আমাদের নিজেদের জায়গায় চলে আসি এখানে আমাদের ঘর তৈরী হয়। এরপর আমার বাবা ব্যবসা শুরু করে, আমার বাবা তখন কাঁচা তরকারি বিক্রি করত। আমি হয়তোবা তখন ক্লাস ওয়ানে পড়ি।আমার মনে আছে অন্ধকার রাতে যখন আমি বাজারে যেতাম সন্ধায় আসার সময় অন্ধকারের জন্য বাসায় আসতে পারতাম না। তখন ছোটবেলা আমরা দুষ্টামি করে একটা হ্যান্ড লাইট তৈরি করি। আর তা হল দুধের পট (যে পথের দুধের ধারা চা তৈরি হয়) দিয়ে তার পিছনে তার কাটা দিয়ে ছিদ্র ছিদ্র করে উপরে গুনা দিয়ে লটকিয়ে ভিতরে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে নিতাম। আর এভাবেই তৈরি হয়ে যেত আমাদের রাতের হ্যান্ড লাইট। সে লাইট দিয়ে আমি দিব্যি চলতে পারতাম আমার এখনো মনে আছে সেই দিনগুলোর কথা। ও আর একটা কথা ভুলে গেছি তা হল - আমার দাদা জালাল আহমেদ। তিনি পেশায় ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রি (wood engineer) আমার দাদা লাঙ্গল (যা ধারা আগের কার লোকেরা মাটি আগলা করার জন্য ব্যবহার করত). তৈরি করতেন। আমার দাদার সেই কাজটি ধরে রাখে আমার পিতা। আমার পিতা মোহাম্মদ চাঁন মিয়া ফরাজী। তিনিও কিন্তু একজন কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। আমার বাবা ব্যবসার পাশাপাশি লাঙ্গল তৈরি করতেন। যার কারণে আমরা আগের থেকে দ্বিগুণ তাড়াতাড়ি সচ্ছল ও তার দিকে ফিরে আসি। একটা সময় আমার বাবা কাঁচা তরকারির ব্যবসা টা ছেড়ে দেন। তা ছেড়ে দেওয়াতে অবশ্য ভালোই হয়েছে কারণ এর পরেই আমার বাবা মুড়ির মোয়া তৈরির কাজ শুরু করেন।যেখানে আমরা এই ছিলাম পরের জায়গায় সেখানে এখন আমাদের ঘরে দুই থেকে তিনজন কাজের লোক প্রয়োজন হয়। আমার মা তাতে কি খুব ভালবাসতো আমি দেখে খুব আনন্দ পেতাম। আমি আমার মায়ের থেকে শুনেছি একটা সময় আমার বাবা আমাদের চার ভাইয়ের জন্য চার জায়গায় জমি কিনে রেখেছিল। কিন্তু একজন দুষ্টু প্রকৃতির লোক ছিল আমার বাবার বন্ধু। যদিও কথায় আছে মূর্খ বন্ধুর চেয়ে শিক্ষিত শত্রু উত্তম। কিন্তু আমার বাবার ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য হয় নি। ওই লোকটির নাম ছিল মহাশিন। তিনি ছিলেন একজন হাই স্কুল টিচার যার সঙ্গে আমার বাবার ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তার ফাঁদে পা দিয়ে একে একে আমার বাবা সব জমে গুলো হারিয়ে ফেলে শুধুমাত্র বাকি থাকে আমাদের ঘরটা আর ঘরের আশে পাশের জমিটুকু।আমি শুনেছি আমার বড় ভাই মোঃ কালাম ফরাজী।তিনি আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে তেমন একটা লেখাপড়া করতে পারেনি। এরপর ২০০৩ সালে আমি ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হই। আমার স্কুলের নাম ছিল বড় মানিকা কমিউনিটি প্রাইমারি স্কুল। যেটা পরবর্তীতে পরিপূর্ণভাবে সহযোগিতা পেয়ে বড় মানিকা সর্কারি প্রাইমারি স্কুল নামে পরিচিতি লাভ করেছে। এবং সেখান থেকে 2007 সালে আমি পঞ্চম বা পি এস সি পাস করি। আমার পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় আমাকে আরবিক লাইনে পড়ালেখা করাবে। তখন আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার মত অতটা জ্ঞান ছিল না। তুই আমার পরিবারের কথা অনুযায়ী আমি 2007 সালে বড় মানিকা হাফেজ বাড়ি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হই। আমার সাথে আমাদের বাসার পাশের একটা ছেলে যে আমার বন্ধু ছিল। যার নাম ছিল মোহাম্মদ মাসুম পাটোয়ারী। সেও আমার সাথে ভর্তি হয় এরপর শুরু হলো আমাদের জীবনের নতুন পর্ব। আসলে যারা মনে করে যে হাফেজ্জী পড়াটা কঠিন তারা ঠিকই ভেবেছেন। আসলে আপনি যতটা ভেবেছেন ঠিক তার থেকেও কঠিন। কেননা ওইখানে নিয়ম-কানুন সম্পূর্ণ আলাদা। যাই হোক এভাবেই কেটে গেল আমার কয়েকটি বছর এরপর একবার ভাবলাম যে, আমি আর এখানে পড়াশোনা করবো না; কারণ এই জেলখানার মতো বন্ধি অবস্থায় থাকতে আমার ভালো লাগে না। Rafsan (আলাপ) ০৬:৫৯, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন