Toronggo
সুপ্রিয় Toronggo! উইকিপিডিয়ায় আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করছি এ পরিবেশটি আপনার ভাল লাগবে এবং উইকিপিডিয়াকে সমৃদ্ধ করার কাজে আপনি সহায়তা করবেন। এখানে কিছু পৃষ্ঠা আছে যা আপনাকে উইকিপিডিয়া ব্যবহার এবং সমৃদ্ধ করার কাজে সাহায্য করবে:
কাজে নেমে পড়বার সহজ উপায় হলো নিচের যে-কোনো একটি পদ্ধতি অনুসরণ করা:
অনুগ্রহপূর্বক আলাপের পাতায় বার্তা রাখার পর সম্পাদনা টুলবারের চিহ্নে ক্লিক করার মাধ্যমে অথবা চারটি টিল্ডা ( আশা করি আপনি বাংলা উইকিপিডিয়া সম্প্রদায়ের একজন হয়ে সম্পাদনা করে আনন্দ পাবেন! আবারও স্বাগতম এবং শুভেচ্ছা! বাংলা উইকিপিডিয়া অভ্যর্থনা কমিটি, ১০:০৭, ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ (ইউটিসি) |
নাসা’য় কতজন বাংলাদেশী কাজ করেন ? -নাসায় বাংলাদেশি মহাকাশ গবেষক! সম্পাদনা
নাসা’য় কতজন বাংলাদেশী কাজ করেন ?
আমার জানামতে একজন। তার নাম আসিফ আজম সিদ্দিকী। তিনি একজন বাংলাদেশি আমেরিকান মহাকাশ গবেষক ও ইতিহাসবিদ। আসিফ সিদ্দিকী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইতিহাসের একজন বিশেষজ্ঞ। মূলত মহাকাশ নিয়ে মানুষের আদ্যোপান্ত গবেষণা নিয়ে কাজ করেন তিনি। এছাড়াও বিজ্ঞানি ডঃ আনিস রহমান এবংআবেদ চৌধুরি বাঙ্গালী জিনবিঙ্গানী, লুলু ফেরদৌস(যিনি রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে আছেন এবং মঙ্গল গ্রহে যাবার প্রজেক্টে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন)এবং এছাড়াও আমার জানা মতে ৮০’র দশকে বাংলাদেশ সেনা অথবা বিমান বাহিনীর এক অফিসার একটি জ্বালানি বিষয়ক আবিস্কার করার পর নাসা তাঁকে রীতিমত দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যায় এবং সেই থেকে তিনি নাসাতেই আছেন । তারপরেও প্রশ্ন থেকে যায়, বাঙ্গালী নেই কোথায়?
আসিফ আজম সিদ্দিকীঃ
সৌরজগতের বাইরে মানুষের তৈরি একটি মহাকাশযান আছে। এই যানে আছে একটা রেকর্ড, তাতে ধারণ করা আছে পৃথিবীর বিভিন্ন আওয়াজ। পাখির ডাক, বৃষ্টির শব্দ, ছোট শিশুর হাসির শব্দ, বিভিন্ন বিখ্যাতজনের বক্তব্য, গান, বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত সম্ভাষণ আরও নানা কিছু।
কোনও মহাজাগতিক প্রাণীর মুখোমুখি হলেই রেকর্ডটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাজতে শুরু করবে।’ মজার এই তথ্যটি যিনি দিলেন, তার নাম আসিফ আজম সিদ্দিকী। তিনি একজন বাংলাদেশি আমেরিকান মহাকাশ গবেষক ও ইতিহাসবিদ। আসিফ সিদ্দিকী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইতিহাসের একজন বিশেষজ্ঞ। মূলত মহাকাশ নিয়ে মানুষের আদ্যোপান্ত গবেষণা নিয়ে কাজ করেন তিনি।
বর্তমানে তিনি নিউইয়র্কের ফোর্ডহ্যাম ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার সঙ্গে কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসের ওপর তার বিশেষ দখল রয়েছে।
নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকের কথা। নাসার প্রধান ইতিহাসবিদ ড. রজার ডি লনিয়াস একটা কনফারেন্স শেষে বেরিয়ে আসছিলেন। এমন সময় এক তরুণ তার কাছে এলেন। বললেন, ‘আমার নাম আসিফ আজম সিদ্দিকী। আমি আপনাকে বেশ কিছু চিঠি পাঠিয়েছিলাম। জানি না, আমি কতটুকু পারব, কিন্তু আমি নাসার সঙ্গে কাজ করতে চাই।’ রজার ভীষণ ব্যস্ত মানুষ। চিঠিগুলোর কথা তিনি মনে করতে পারলেন না। তবে নিরাশও করলেন না। হাসিমুখেই তাকে সাধুবাদ জানালেন। তার দুসপ্তাহ পর আসিফকে দুটি চিঠি পাঠাল রজার। রজার যা লিখেছেন, তার ভাবার্থ অনেকটা এ রকম— ‘নিশ্চয়ই বুঝতে পারছ, তুমি একেবারেই তরুণ। আমি জানি না, তুমি আমাদের কোনও কাজে আসবে কি না। কিন্তু আমরা নিশ্চয়ই যোগাযোগ রাখতে পারি। এরপর আর পিছু ফিরতে হয়নি।
রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণার ইতিহাস সম্পর্কে জানার আগ্রহ ছিল নাসার। এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে একটি বই লেখার দায়িত্ব বর্তাল আসিফ সিদ্দিকীর ওপর। সময় দেওয়া হল ৫ বছর। ২০০০ সালে নাসার ইতিহাস অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত হল, চ্যালেঞ্জ টু অ্যাপোলো : দ্য সোভিয়েত ইউনিয়ন অ্যান্ড দ্য স্পেস রেইস (১৯৪৫-১৯৭৪)। এটি মহাকাশ গবেষণা নিয়ে আসিফ সিদ্দিকীর লেখা প্রথম বই, যেটি রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা নিয়ে ইংরেজি ছাপার হরফে লেখা সেরা ইতিহাস সংকলনের মর্যাদা পেয়েছে।
শুধু তা-ই নয়, মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতে, মহাকাশ গবেষণাবিষয়ক সেরা ৫টি বইয়ের মধ্যে এটি অন্যতম! এরপর একের পর এক চলেছে বই সম্পাদনার কাজ। দ্য রকেটস রেড গ্লেয়ার : স্পেস ফ্লাইট অ্যান্ড দ্য সোভিয়েত ইমাজিনেশন (১৮৫৭-১৯৫৭)। এই বইটি ছাপানোর পর হিস্ট্রি চ্যানেল, বিবিসিসহ বেশ কয়েকটি চ্যানেলে মহাকাশ গবেষণার ইতিহাস নিয়ে কথা বলতে-বলতে তাকে মুখোমুখি হতে হয়েছে ক্যামেরার। পুরস্কারে পূর্ণ তার ঝুলি।
ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড, আমেরিকান ফাউন্ডেশন অব অ্যারোনেটিকম, হিস্ট্রি ম্যানুসক্রিপ্ট অ্যাওয়ার্ডের মতো আরও অনেক পুরস্কার। আসিফের বাবা ড. হাফিজ জি এ সিদ্দিকী নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে অবসর নিয়েছেন। মা নাজমা সিদ্দিকী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। সেন্ট জোসেফে পড়ার সময়ই মহাকাশ টানত আসিফকে। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে নটর ডেমের পর ইলেকট্রনিক প্রকৌশল নিয়ে পড়তে পাড়ি জমান তিনি আমেরিকার টেক্সাসে। মহাকাশ নিয়ে বাংলাদেশি তরুণদের আইকন হতে পারেন আসিফ।
সম্পাদনাঃ মোহাম্মদ শামসাদ। http://toronggo.com/?p=1016
ডিসেম্বর, ২০১৪ সম্পাদনা
উইকিপিডিয়ায় আপনাকে স্বাগতম। যদিও যে-কেউ এখানে গঠনমূলক সম্পাদনা করতে পারেন, কিন্তু কমপক্ষে আপনার সাম্প্রতিক একটি সম্পাদনা তা গঠনমূলক হিসেবে বিবেচিত হয়নি এবং বাতিল করা হয়েছে। অনুগ্রহপূর্বক যে-কোনো প্রকারের পরীক্ষামূলক সম্পাদনার জন্য খেলাঘর ব্যবহার করুন। সেই সাথে বিশ্বকোষীয় ও কোনো গঠনমূলক সম্পাদনার জন্য আমাদের স্বাগত পাতাটিও পড়ে নিন। ধন্যবাদ। — মাসুম ইবনে মুসা কথোপকথন ১৪:০২, ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ (ইউটিসি)