গরু খুবই উপকারী প্রাণী। চারটি পা ও একটি লেজ থাকলেও গরু পশু নয়, সম্মাননীয় ব্যক্তি। এ জন্য অনেকে আবার গরুকে ‘মাতা’ বলে ডাকে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও লিখেছেন, ‘মা-গো আমায় ছুটি দিতে বল।’ কিন্তু গুরুদেব বললেও কথাটা সম্পূর্ণ ঠিক নয়, গরু আসলে মায়ের চেয়েও বড়। গরুর গোবর হয়, মায়ের হয় না। মায়ের দুধে ছানা হয় না, গরুর দুধে হয়। মায়ের হাগু কোনও কাজে লাগে না, কিন্তু গোবর খুব উপকারী খাবার। প্রায়শ্চিত্তের সময় কাঁচা খেলে শরীরের উপকার হয়। রান্নার সময় ঘুঁটে বানিয়ে এবং চাষবাসে সার হিসেবে দিয়ে খাদ্যসমস্যার সমাধান হয়। https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BFতে গোবর দিলে তা থেকে ধান আমড়া রজনীগন্ধা ইত্যাদি নানা ফল ও ফুল ফলে। এই কারণে ফলের রাজার অন্য নাম ম্যাং-গো এবং ফুলের রানিকে গো-লাপ বলে। গরু গোবর ছড়িয়ে এবং শিং দিয়ে গুঁতিয়ে https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%83%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%80কে ফুলে ফলে ভর্তি করে রাখে। এখান থেকেই সংস্কৃতে ‘জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গো-রিয়সী’ কথাটি এসেছে। এর অর্থ হল, জননীরা জন্মভূমিতে থাকে, আর গরুরা স্বর্গে দাপাদাপি করে। এই জন্য ভগবানের অন্য নাম গো-বিন্দ। এ নিয়ে বাংলায় হাজার হাজার গান-কবিতা লেখা হয়েছে। তাদের একটির নাম গীত-গো-বিন্দ। গরুর স্ত্রীলিঙ্গ ‘গাই’। একটি বিখ্যাত বাংলা ভক্তিগীতির প্রথম লাইন ‘আমি বাংলায় গান গাই।’ পুজোকে ভক্তিমার-গো বলে, তাই গরুকে আমরা বিশেষ সম্মান দিই। ভাল লোকেদের আমরা বং-গো-ভূষণ বলে থাকি। ফর্সা মেয়েদের গো-রি বলা হয়, তাদের ভাল ভাল পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়। পছন্দের জিনিস হারানোকে ‘গরু হারানো’ এবং প্রাণপণ খোঁজাকে ‘গরু খোঁজা’ বলা হয়। আমাদের জন্মভূমিকে প্রায়ই কেটেকুটে পিস পিস করা হয়, একে দেশভাগ বলে। পাহাড়-জঙ্গল নরখাদকে ভর্তি, তারা মানুষ পেলেই কেটে খায়। জিম করবেট এই নিয়ে তাঁর বিখ্যাত গা-ছমছমে বই ‘ম্যানইটার্স অব কুমায়ুন’ লিখেছেন। নিজের মাতাকেও অনেকেই আহার করে, জাপানি ভাষায় এদের ‘মাতাহারি’ বলা হয়। কিন্তু মা এবং জন্মভূমির চেয়েও বড় বলে, উত্তর প্রদেশ ও মহারাষ্ট্র সহ পৃথিবীর কোথাও কোথাও গরুকে হত্যা করা এবং খাওয়া হয় না। এই ধরনের ভয়ানক খারাপ কাজকে গো-খুরি বলা হয়। আইন এই বাজে লোকেদের কঠোর শাস্তি দেয়।

আগে এদেরকে পাহাড়ে জঙ্গলে নির্বাসন দেওয়া হত, যে জন্য সুদূর উত্তরবঙ্গের এক গভীর জঙ্গলের নাম হল ‘গরুমারা’। এখন অবশ্য শাস্তির নতুন পদ্ধতি বেরিয়েছে, ধরা পড়লেই বেধড়ক পিটিয়ে একেবারে মেরে ফেলা হয়, কারণ গরুর চেয়ে মানুষের দাম অনেক কম।

এই জন্য সব মানুষই গরু হতে চেষ্টা করে। কেউ এঁড়ে হয়, আর কেউ বকনা। কেউ বলদ হয়, কেউ ষাঁড়। কবি বলেছেন, ‘সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপরে গাই।’ এ কারণে ভূ-ভারতকে অং-গো, বং-গো, কলিং-গো, আর পৃথিবীভর্তি ভালমানুষকে গো-বেচারা বলা হয়।Saeed habib680 (আলাপ)Unus

গরুর রচনা 680 সম্পাদনা

গরু খুবই উপকারী প্রাণী। চারটি পা ও একটি লেজ থাকলেও গরু পশু নয়, সম্মাননীয় ব্যক্তি। এ জন্য অনেকে আবার গরুকে ‘মাতা’ বলে ডাকে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও লিখেছেন, ‘মা-গো আমায় ছুটি দিতে বল।’ কিন্তু গুরুদেব বললেও কথাটা সম্পূর্ণ ঠিক নয়, গরু আসলে মায়ের চেয়েও বড়। গরুর গোবর হয়, মায়ের হয় না। মায়ের দুধে ছানা হয় না, গরুর দুধে হয়। মায়ের হাগু কোনও কাজে লাগে না, কিন্তু গোবর খুব উপকারী খাবার। প্রায়শ্চিত্তের সময় কাঁচা খেলে শরীরের উপকার হয়। রান্নার সময় ঘুঁটে বানিয়ে এবং চাষবাসে সার হিসেবে দিয়ে খাদ্যসমস্যার সমাধান হয়। https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BF==তথ্যসূত্র====তথ্যসূত্র==তে গোবর দিলে তা থেকে ধান আমড়া রজনীগন্ধা ইত্যাদি নানা ফল ও ফুল ফলে। এই কারণে ফলের রাজার অন্য নাম ম্যাং-গো এবং ফুলের রানিকে গো-লাপ বলে। গরু গোবর ছড়িয়ে এবং শিং দিয়ে গুঁতিয়ে https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%83%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%80কে ফুলে ফলে ভর্তি করে রাখে। এখান থেকেই সংস্কৃতে ‘জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গো-রিয়সী’ কথাটি এসেছে। এর অর্থ হল, জননীরা জন্মভূমিতে থাকে, আর গরুরা স্বর্গে দাপাদাপি করে। এই জন্য ভগবানের অন্য নাম গো-বিন্দ। এ নিয়ে বাংলায় হাজার হাজার গান-কবিতা লেখা হয়েছে। তাদের একটির নাম গীত-গো-বিন্দ। গরুর স্ত্রীলিঙ্গ ‘গাই’। একটি বিখ্যাত বাংলা ভক্তিগীতির প্রথম লাইন ‘আমি বাংলায় গান গাই।’ পুজোকে ভক্তিমার-গো বলে, তাই গরুকে আমরা বিশেষ সম্মান দিই। ভাল লোকেদের আমরা বং-গো-ভূষণ বলে থাকি। ফর্সা মেয়েদের গো-রি বলা হয়, তাদের ভাল ভাল পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়। পছন্দের জিনিস হারানোকে ‘গরু হারানো’ এবং প্রাণপণ খোঁজাকে ‘গরু খোঁজা’ বলা হয়। আমাদের জন্মভূমিকে প্রায়ই কেটেকুটে পিস পিস করা হয়, একে দেশভাগ বলে। পাহাড়-জঙ্গল নরখাদকে ভর্তি, তারা মানুষ পেলেই কেটে খায়। জিম করবেট এই নিয়ে তাঁর বিখ্যাত গা-ছমছমে বই ‘ম্যানইটার্স অব কুমায়ুন’ লিখেছেন। নিজের মাতাকেও অনেকেই আহার করে, জাপানি ভাষায় এদের ‘মাতাহারি’ বলা হয়। কিন্তু মা এবং জন্মভূমির চেয়েও বড় বলে, উত্তর প্রদেশ ও মহারাষ্ট্র সহ পৃথিবীর কোথাও কোথাও গরুকে হত্যা করা এবং খাওয়া হয় না। এই ধরনের ভয়ানক খারাপ কাজকে গো-খুরি বলা হয়। আইন এই বাজে লোকেদের কঠোর শাস্তি দেয়।

আগে এদেরকে পাহাড়ে জঙ্গলে নির্বাসন দেওয়া হত, যে জন্য সুদূর উত্তরবঙ্গের এক গভীর জঙ্গলের নাম হল ‘গরুমারা’। এখন অবশ্য শাস্তির নতুন পদ্ধতি বেরিয়েছে, ধরা পড়লেই বেধড়ক পিটিয়ে একেবারে মেরে ফেলা হয়, কারণ গরুর চেয়ে মানুষের দাম অনেক কম।

এই জন্য সব মানুষই গরু হতে চেষ্টা করে। কেউ এঁড়ে হয়, আর কেউ বকনা। কেউ বলদ হয়, কেউ ষাঁড়। কবি বলেছেন, ‘সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপরে গাই।’ এ কারণে ভূ-ভারতকে অং-গো, বং-গো, কলিং-গো, আর পৃথিবীভর্তি ভালমানুষকে গো-বেচারা বলা হয়।

গরুর রচনা 680 সম্পাদনা

Saeed habib680 (আলাপ)

মাওলানা মুহাম্মাদ হেমায়েত উদ্দীন সাহেব নিবন্ধের দ্রুত অপসারণ প্রস্তাবনা সম্পাদনা

 

এটি যদি উইকিপিডিয়াতে আপনার তৈরি করা প্রথম নিবন্ধ হয়ে থাকে, তবে আপনি উইকিপিডিয়াতে প্রথম নিবন্ধের দিক-নির্দেশনা অবশ্যই পাঠ করে নিন।

আমরা আপনাকে নিবন্ধ উইজার্ড ব্যবহার করে নিবন্ধ তৈরি করতে উৎসাহিত করছি।

উইকিপিডিয়া থেকে দ্রুত অপসারণের জন্য মাওলানা মুহাম্মাদ হেমায়েত উদ্দীন সাহেব নামক নিবন্ধটিতে একটি ট্যাগ লাগানো হয়েছে। দ্রুত অপসারণের বিচারধারার নি৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই ট্যাগ লাগানো হয়েছে। কারণ নিবন্ধটি একজন ব্যক্তি অথবা দল বা গোষ্ঠি সম্পর্কিত। কিন্তু নিবন্ধের কোথাও উল্লেখ করা হয়নি নির্দিষ্ট কি কারণে এই নিবন্ধটি গুরুত্বপূর্ণ বা উল্লেখযোগ্য, যে কারণে এটি বিশ্বকোষে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। দ্রুত অপসারণের বিচারধারা অনুযায়ী এই নিবন্ধটি যে কোনো সময় অপসারণ করা হতে পারে। অনুগ্রহ করে উইকিপিডিয়ার উল্লেখযোগ্যতার নীতিমালা দেখুন

আপনি যদি মনে করেন যে এই কারণে এই পাতাটি অপসারণ করা উচিত নয়, তবে এই অপসারণে আপত্তি জানাতে নিবন্ধটিতে যেয়ে "দ্রুত অপসারণের আপত্তি করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন" লেখার উপর ক্লিক করুন ও সেখানে কারণ ব্যাখ্যা করুন কেন নিবন্ধটি দ্রুত অপসারণ করা উচিত নয়। মনে রাখবেন, কোনো নিবন্ধে দ্রুত অপসারণ ট্যাগ করা হলে, কোনো দেরি না করে নিবন্ধটি অপসারণ করা হয় যদি নিবন্ধটি দ্রুত অপসারণের বিচারাধারার সাথে মিলে যায়। অনুগ্রহপূর্বক আপনার নিজের তৈরি করা নিবন্ধ থেকে এ নোটিশটি সরিয়ে ফেলবেন না, তবে আমরা আপনাকে নিবন্ধটি সম্প্রসারণ করতে উৎসাহিত করছি। আরও মনে রাখবেন যে, নিবন্ধের বিষয় অবশ্যই উল্লেখযোগ্য হতে হবে ও নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্যসূত্রগুলো যাচাইযোগ্য হওয়া উচিত। যদি ইতিমধ্যে নিবন্ধটি অপসারিত হয়ে থাকে, ও আপনি ভবিষ্যতে এটির উন্নতি করতে এর বিষয়বস্তু ফেরত পেতে চান, তবে দয়া করে যে প্রশাসক এটি অপসারণ করেছেন তার সাথে যোগাযোগ করুন। —শাকিল (আলাপ · অবদান) ১৪:৫৫, ১ মার্চ ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন