ব্যবহারকারী আলাপ:Professor Dr. Md. Shaik Ahmed
বাংলা উইকিপিডিয়ায় আপনাকে স্বাগতম সম্পাদনা
সুপ্রিয় Professor Dr. Md. Shaik Ahmed! উইকিপিডিয়ায় আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করছি এ পরিবেশটি আপনার ভাল লাগবে এবং উইকিপিডিয়াকে সমৃদ্ধ করার কাজে আপনি সহায়তা করবেন। এখানে কিছু পৃষ্ঠা আছে যা আপনাকে উইকিপিডিয়া ব্যবহার এবং সমৃদ্ধ করার কাজে সাহায্য করবে:
আশা করি আপনি বাংলা উইকিপিডিয়া সম্প্রদায়ের একজন হয়ে সম্পাদনা করে আনন্দ পাবেন! আবারও স্বাগতম এবং শুভেচ্ছা!
|
আযান সম্পাদনা
আযান প্রফেসর ডাঃ মোঃ শেখ আহমেদ
নিশিত রাতে ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদ পড়ে কোরআন তেলাওয়াত করে তসবীহ-তা’লিল করছি। নিঃশব্দ নিরবতা ভঙ্গ করে আকাশের বুক চিরে বিভিন্ন মসজিদের মিনার থেকে ভেসে আসছে সুমধুর আজানের ধ্বনি। একই শব্দ, একই অর্থ, বিভিন্ন সুরে, বিভিন্ন কন্ঠে। সুউচ্ছ দালানের ১৪ তলায় বসে মুগ্ধ হয়ে শুনছি, সাথে নিজেও উচ্ছারন করছি। ইসলামের প্রথম যুগে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) মদীনায় স্থিত পরে দুইজন সাহাবির স্বপ্ন প্রাপ্ত আজান প্রথম উচ্ছারন করেন হযরত বেলাল (রাঃ)। সেই থেকে আজ পর্যন্ত দিন পাঁচবার সারা পৃথিবীর সব মসজিদেই ধ্বনিত হয়। বিশেষ করে ফজরের আজানটা হৃদয় কাড়া। আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন প্রভু নাই, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন প্রভু নাই আমি স্বাক্ষ দিচ্ছিমেুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর প্রেরিত রসুল, আমি স্বাক্ষ দিচ্ছিমেুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর প্রেরিত রসুল, নামাজের জন্য এসো, নামাজের জন্য এসো কল্যানের জন্য এসো, কল্যানের জন্য এসো ঘুম হতে নামাজ উত্তম, ঘুম হতে নামাজ উত্তম আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান আল্লাহ ছাড়া কোন প্রভু নাই।
ইসলামের আগেও মসজিদ-মন্দির-গীর্জা-প্যাগোডা-সিনাগগ ইত্যাদিতে মহান প্রভুর প্রার্থনার জন্য ঘন্টা-ধ্বনি সহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে মানুষকে আহবান করা হত। মানুষ সমবেত হত এখনও হয়, প্রভুর প্রার্থনা করে, কৃপা কামনা করে, বিশ্বমানবের কল্যান কামনা করে। প্রকৃত অর্থে পৃথিবীতে ধর্মহীন কোন মানুষ নেই। যে ধর্ম মানেনা, তার ধর্ম হল প্রচলিত ধর্ম না মানা। সৃষ্টির কোন বস্তুই ধর্মহীন নয়। প্রত্যেক বস্তুর নিজস্ব ধর্ম আছে এবং সে ধর্ম সে মেনে চলে। সকল মৌলিক উপাদান, সকল জীবিত প্রানি, সকল উদ্ভিদ, পাহাড়-পর্বত, সাগর-মহাসাগর সব কিছুই নিজস্ব ধর্ম মেনে চলে। মানূষই শুধু বিশ্ব প্রভুর ধর্মে ভিন্নতা সৃষ্টি করেছে এবং মেনেও চলেনা। তাই বিশ্ব-পিতা মানব জাতিকে বারবার অকৃতজ্ঞ বলে আখ্যায়িত করেছেন। সারা পৃথিবীর সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানইতো মানব কল্যানে। তা হলে এত অকল্যান কোথা হতে আসে। শয়তানকে আল্লাহ মানুষের প্রধান শত্রু বলেছেন, আর মানুষের মাঝেই তিনি শয়তান সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, ‘আমি মানুষের মধ্যে সবাইকে মানুষ বানাইনি, মানুষের মধ্যে আমি শয়তান ও সৃষ্টি করেছি। সব মানূষেই যদি মানুষ হত তাহলে পৃথিবীতে এত অকল্যান হতোনা।