শহিদুল ইসলাম বাবুল (জন্ম: ২০ এপ্রিল, ১৯৭১) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক মেধাবী ছাত্রনেতা ও একজন দক্ষ সাংগঠনিক হিসেবেও তিনি বহুল পরিচিত। টিভি টকশোতে সমসাময়িক রাজনৈতিক ঘটনাবলী বিশ্লেষণ করেও তিনি খ্যাতি অর্জন করেছেন। প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা শহিদুল ইসলাম বাবুল ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের কোনাগ্রাম গ্রামের খান বাড়িতে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম সিরাজুল ইসলাম খান একজন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ছিলেন ও মাতা মোসাঃ মরিয়ম বেগম একজন গৃহিণী। তিনি স্থানীয় কেশবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক পাঠ শেষ করে ১৯৮৭ সালে বিলনালিয়া ময়েজউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৮৯ সালে ঐতিহ্যবাহী সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ফরিদপুর থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। রাজনৈতিক জীবন শহিদুল ইসলাম বাবুল ১৯৮৭ সালে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে পড়ার সময়েই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি ১৯৮৯ সালে রুকসুর ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। একই বছর ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সদস্যপদ লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর কবি জসিমউদদীন হল ছাত্রদল প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৩-৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের (মোশাররফ-মনির কমিটি) দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পান। শহিদুল ইসলাম বাবুল ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির (সোহেল-পিন্টু কমিটি) সহ দপ্তর সম্পাদক ও ২০০০ সালে ছাত্রদলের (পিন্টু-লাল্টু কমিটি) দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালে জনাব শাহাবুদ্দিন লাল্টুর নেতৃত্বে ছাত্রদলের ৩১ সদস্যবিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির সদস্য হন। এরপর ২০০৪ সালে (লাল্টু-হেলাল কমিটি) ও ২০০৬ সালে (হেলাল-বাবু কমিটি) দুই মেয়াদে ছাত্রদলের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এবং ২০০৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (টুকু-আলীম কমিটি) সিনিয়র সহ সভাপতি ও দুই মেয়াদে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে ঘোষিত বর্তমান জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে তিনি সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড শহিদুল ইসলাম বাবুল সেবামূলক প্রতিষ্ঠান 'সিরাজুল ইসলাম খান ফাউন্ডেশনের' প্রতিষ্ঠাতা। তিনি একটি মসজিদ ও একটি কবরস্থান প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি ফরিদপুর ডাঃ জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতাল ও ফরিদপুর ডায়বেটিক এসোসিয়েশন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আজীবন সদস্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ডাকসুর সাংস্কৃতিক দলের আবৃতি শাখার সদস্য ও একজন সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন। এই শাখার সদস্য হিসেবে তিনি একাধিকবার মঞ্চ রেডিও ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। ব্যাক্তিগত জীবন শহিদুল ইসলাম বাবুল ২০০১ সালে নাজনীন রিনার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার স্ত্রী নাজনীন রিনা বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে কর্মরত আছেন। এই দম্পত্তির একমাত্র সন্তান খান রিহিন সাজিদ।

শহিদুল ইসলাম বাবুল নিবন্ধের দ্রুত অপসারণ প্রস্তাবনা সম্পাদনা

 

এটি যদি উইকিপিডিয়াতে আপনার তৈরি করা প্রথম নিবন্ধ হয়ে থাকে, তবে আপনি উইকিপিডিয়াতে প্রথম নিবন্ধের দিক-নির্দেশনা অবশ্যই পাঠ করে নিন।

আমরা আপনাকে নিবন্ধ উইজার্ড ব্যবহার করে নিবন্ধ তৈরি করতে উৎসাহিত করছি।

উইকিপিডিয়া থেকে দ্রুত অপসারণের জন্য শহিদুল ইসলাম বাবুল নামক নিবন্ধটিতে একটি ট্যাগ লাগানো হয়েছে। দ্রুত অপসারণের বিচারধারার নি৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই ট্যাগ লাগানো হয়েছে। কারণ নিবন্ধটি একজন ব্যক্তি অথবা দল বা গোষ্ঠি সম্পর্কিত। কিন্তু নিবন্ধের কোথাও উল্লেখ করা হয়নি নির্দিষ্ট কি কারণে এই নিবন্ধটি গুরুত্বপূর্ণ বা উল্লেখযোগ্য, যে কারণে এটি বিশ্বকোষে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। দ্রুত অপসারণের বিচারধারা অনুযায়ী এই নিবন্ধটি যে কোনো সময় অপসারণ করা হতে পারে। অনুগ্রহ করে উইকিপিডিয়ার উল্লেখযোগ্যতার নীতিমালা দেখুন

আপনি যদি মনে করেন যে এই কারণে এই পাতাটি অপসারণ করা উচিত নয়, তবে এই অপসারণে আপত্তি জানাতে নিবন্ধটিতে যেয়ে "দ্রুত অপসারণের আপত্তি করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন" লেখার উপর ক্লিক করুন ও সেখানে কারণ ব্যাখ্যা করুন কেন নিবন্ধটি দ্রুত অপসারণ করা উচিত নয়। মনে রাখবেন, কোনো নিবন্ধে দ্রুত অপসারণ ট্যাগ করা হলে, কোনো দেরি না করে নিবন্ধটি অপসারণ করা হয় যদি নিবন্ধটি দ্রুত অপসারণের বিচারাধারার সাথে মিলে যায়। অনুগ্রহপূর্বক আপনার নিজের তৈরি করা নিবন্ধ থেকে এ নোটিশটি সরিয়ে ফেলবেন না, তবে আমরা আপনাকে নিবন্ধটি সম্প্রসারণ করতে উৎসাহিত করছি। আরও মনে রাখবেন যে, নিবন্ধের বিষয় অবশ্যই উল্লেখযোগ্য হতে হবে ও নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্যসূত্রগুলো যাচাইযোগ্য হওয়া উচিত। যদি ইতিমধ্যে নিবন্ধটি অপসারিত হয়ে থাকে, ও আপনি ভবিষ্যতে এটির উন্নতি করতে এর বিষয়বস্তু ফেরত পেতে চান, তবে দয়া করে যে প্রশাসক এটি অপসারণ করেছেন তার সাথে যোগাযোগ করুন। —শাকিল (আলাপ · অবদান) ১৪:৫৪, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন