ehasan ahamed study 2.0 পড়তে বসতে ইচ্ছে করে না?

~করবে। এই তুমি ই পড়তে বসবে। কেন বসবে জানো? তুমি পড়তে বসবে তোমার দিকে তাকিয়ে থাকা স্বপ্নগুলোকে পূরণ করতে। কারন, তুমি হয়ত কখনো ভেবেই দেখো নি কেন তোমার বাবা-মা, বা কোন আত্মীয়, বা অন্য কোন মানুষ কেন তোমার পড়াশুনার জন্য টাকা ফেলছে। কেন ব্যয় করছে তাদের কষ্টের উপার্জন? কেন তোমার বাবা-মা এত খোঁজ নিচ্ছে তোমার? কেন আত্মীয়-স্বজন কিংবা আশে পাশের মানুষ তোমাকে দেখলেই তোমার পড়াশুনার অবস্থা জানতে চাচ্ছে?

★একটু স্বার্থপরের মত কিছুটা হয়ে চিন্তা করো, ঋণ হিসেবে ধরো শিক্ষা জীবনে আজ পর্যন্ত যত জনের কাছ থেকে যা যা পেয়েছ। হতে পারে বাবার টাকায় কেনা পাঁচ টাকার কলম টা হতে আত্মীয় স্বজনের বাড়ি থেকে ফেরার সময়ে ওনাদের দেয়া ঐ ২০০/ ৪০০টাকা। এই ঋণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করো আশে পাশে চাচা, জ্যাঠা, ভাই, বোনদের থেকে পাওয়া আদর, যত্ন, সাপোর্ট, ভালোবাসা।

এসব ঋণ নিয়েই তুমি বড় হয়েছো, এগুলো ছাড়া তুমি এতটুক ও আসতে পারতে না, বিশ্বাস করো আর নাই করো। এসব ঋণ দেয়া মানুষগুলো কিন্তু তোমাকে একটু মনের আশা থেকেই ঋণটা দিয়েছে যে, তুমি বড় কিছু করলে, তুমি তাদের পরিচয় দিবে, তাদের ভালো জানবে, তারা গর্ব করে তোমার কথা সবাইকে বলতে পারবে। দেখো, এত বড়বড় ঋণ কিভাবে তুমি অস্বীকার করতে পার?

কিভাবে তুমি ভেঙে ফেলতে পারো এত এত চোখের স্বপ্ন? যে চোখ গুলো তাকিয়ে আছে তোমার একটু ভালো কোনো খবর শুনার জন্য। সম্ভব এই স্বপ্নগুলোকে পূর্ণ করা, এই বৃষ্টির পানির আশায় থাকা চাতক পাখির মত মানুষ গুলোর চোখে খুশির ঝিলিক তোলা। সেটা শুধু তোমার দু-এক ঘন্টা বেশি পড়াশুনায়, ভালো একটা প্লাটফর্মে এনে নিজের যোগ্যতা দেখিয়ে দেয়ার:

"যে হ্যাঁ, আপনারা আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে ভুল কিছু করেননি।" মায়ের চোখে পানি মুছে দিয়ে, "হ্যাঁ মা, তোমার কষ্ট বিফলে যায় নি, তোমার এই অপদার্থ ও কিছু করেছে দেখো।" মায়ের সে উজ্জ্বল মুখ তোমার চিরদিন মনে থাকবে, হুমম আমি পেরেছি কিছু স্বপ্নকে তাদের পূর্ণতা দিতে।

★পড়াশুনা করে কী হবে? পড়াশুনা ছাড়া কি কিছু করা যায় না নাকি?

~পড়াশুনা জানা, আর পড়াশুনা না জানা মানুষের প্রতি সমাজের ব্যবহার কেমন সেটা দেখলেই তুমি কিছুটা টের পেয়ে যাবা। পড়াশুনা ছাড়া কোন যোগ্যতায় তুমি এত বড় বড় পদে, ডিসি, ওসি, ব্যাংকের সি.ই.ও পদে চাকরির কথা ভাববে?

★ওসব চাকরি ছাড়া কী কিছু নেই নাকি? ~আছে অবশ্যই। কিন্তু বর্তমানে প্রাইমারি স্কুলের টিচারের জন্য চাকরী পরীক্ষায় আবেদনের জন্যে ও বি.এ পাস লাগবে। তো এর চেয়েও নিচে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে তো তুমি এতদূর আসো নি। চোখ বন্ধ করে ভাবো তো, মনে মনে তুমিও কি বড় পদে চাকরির স্বপ্ন দেখ না? অবশ্যই দেখো। তুমিও চাও তোমার নাম ছড়াক আত্মীয়-স্বজনের গর্ব করার মত কিছুর তালিকায়।

সবই তো হবে, শুধু একটু পড়ার টেবিলে বেশি সময় দিলে। একটু কৌশলী পড়াশুনা করলে, একটু নিয়ম মানলে। তুমিও পারবে ঠিকই এত এত স্বাপ্নিক চোখের তৃষ্ণা মেটাতে। সাফল্য আসবেই, শুধু দরকার মুখ বুজে একটু পরিশ্রম।

ইনশাআল্লাহ দেখা হবে বিজয়ে, স্বপ্নের ক্যাম্পাসে। ❤️

✒️ জোবায়ের উল হক সিলসা সেন্ট্রাল উইং এক্সিকিউটিভ, বি.বি.এ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ehasan ahamed shakil study 2.0

সম্পাদনা

পড়তে বসতে ইচ্ছে করে না?

~করবে। এই তুমি ই পড়তে বসবে। কেন বসবে জানো? তুমি পড়তে বসবে তোমার দিকে তাকিয়ে থাকা স্বপ্নগুলোকে পূরণ করতে। কারন, তুমি হয়ত কখনো ভেবেই দেখো নি কেন তোমার বাবা-মা, বা কোন আত্মীয়, বা অন্য কোন মানুষ কেন তোমার পড়াশুনার জন্য টাকা ফেলছে। কেন ব্যয় করছে তাদের কষ্টের উপার্জন? কেন তোমার বাবা-মা এত খোঁজ নিচ্ছে তোমার? কেন আত্মীয়-স্বজন কিংবা আশে পাশের মানুষ তোমাকে দেখলেই তোমার পড়াশুনার অবস্থা জানতে চাচ্ছে?

★একটু স্বার্থপরের মত কিছুটা হয়ে চিন্তা করো, ঋণ হিসেবে ধরো শিক্ষা জীবনে আজ পর্যন্ত যত জনের কাছ থেকে যা যা পেয়েছ। হতে পারে বাবার টাকায় কেনা পাঁচ টাকার কলম টা হতে আত্মীয় স্বজনের বাড়ি থেকে ফেরার সময়ে ওনাদের দেয়া ঐ ২০০/ ৪০০টাকা। এই ঋণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করো আশে পাশে চাচা, জ্যাঠা, ভাই, বোনদের থেকে পাওয়া আদর, যত্ন, সাপোর্ট, ভালোবাসা।

এসব ঋণ নিয়েই তুমি বড় হয়েছো, এগুলো ছাড়া তুমি এতটুক ও আসতে পারতে না, বিশ্বাস করো আর নাই করো। এসব ঋণ দেয়া মানুষগুলো কিন্তু তোমাকে একটু মনের আশা থেকেই ঋণটা দিয়েছে যে, তুমি বড় কিছু করলে, তুমি তাদের পরিচয় দিবে, তাদের ভালো জানবে, তারা গর্ব করে তোমার কথা সবাইকে বলতে পারবে। দেখো, এত বড়বড় ঋণ কিভাবে তুমি অস্বীকার করতে পার?

কিভাবে তুমি ভেঙে ফেলতে পারো এত এত চোখের স্বপ্ন? যে চোখ গুলো তাকিয়ে আছে তোমার একটু ভালো কোনো খবর শুনার জন্য। সম্ভব এই স্বপ্নগুলোকে পূর্ণ করা, এই বৃষ্টির পানির আশায় থাকা চাতক পাখির মত মানুষ গুলোর চোখে খুশির ঝিলিক তোলা। সেটা শুধু তোমার দু-এক ঘন্টা বেশি পড়াশুনায়, ভালো একটা প্লাটফর্মে এনে নিজের যোগ্যতা দেখিয়ে দেয়ার:

"যে হ্যাঁ, আপনারা আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে ভুল কিছু করেননি।" মায়ের চোখে পানি মুছে দিয়ে, "হ্যাঁ মা, তোমার কষ্ট বিফলে যায় নি, তোমার এই অপদার্থ ও কিছু করেছে দেখো।" মায়ের সে উজ্জ্বল মুখ তোমার চিরদিন মনে থাকবে, হুমম আমি পেরেছি কিছু স্বপ্নকে তাদের পূর্ণতা দিতে।

★পড়াশুনা করে কী হবে? পড়াশুনা ছাড়া কি কিছু করা যায় না নাকি?

~পড়াশুনা জানা, আর পড়াশুনা না জানা মানুষের প্রতি সমাজের ব্যবহার কেমন সেটা দেখলেই তুমি কিছুটা টের পেয়ে যাবা। পড়াশুনা ছাড়া কোন যোগ্যতায় তুমি এত বড় বড় পদে, ডিসি, ওসি, ব্যাংকের সি.ই.ও পদে চাকরির কথা ভাববে?

★ওসব চাকরি ছাড়া কী কিছু নেই নাকি? ~আছে অবশ্যই। কিন্তু বর্তমানে প্রাইমারি স্কুলের টিচারের জন্য চাকরী পরীক্ষায় আবেদনের জন্যে ও বি.এ পাস লাগবে। তো এর চেয়েও নিচে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে তো তুমি এতদূর আসো নি। চোখ বন্ধ করে ভাবো তো, মনে মনে তুমিও কি বড় পদে চাকরির স্বপ্ন দেখ না? অবশ্যই দেখো। তুমিও চাও তোমার নাম ছড়াক আত্মীয়-স্বজনের গর্ব করার মত কিছুর তালিকায়।

সবই তো হবে, শুধু একটু পড়ার টেবিলে বেশি সময় দিলে। একটু কৌশলী পড়াশুনা করলে, একটু নিয়ম মানলে। তুমিও পারবে ঠিকই এত এত স্বাপ্নিক চোখের তৃষ্ণা মেটাতে। সাফল্য আসবেই, শুধু দরকার মুখ বুজে একটু পরিশ্রম।

ইনশাআল্লাহ দেখা হবে বিজয়ে, স্বপ্নের ক্যাম্পাসে। ❤️

✒️ জোবায়ের উল হক সিলসা সেন্ট্রাল উইং এক্সিকিউটিভ, বি.বি.এ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। Ehasan ahamed shakil (আলাপ) ১৬:৪৮, ৩ নভেম্বর ২০২১ (ইউটিসি)উত্তর দিন