নুরুন্নবী চৌধুরী হাছিবআলাপ ১০:০১, ২৪ ডিসেম্বর ২০১২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

== কাঠালিয়া == 'KATHALIA'

== == কাঠালিয়া == ==


অবস্থান-- কাঠালিয়া,আমতলী উপজেলার অর্ন্তগত বরগুনা জেলার সুন্দর গ্রাম একটি। ভৌগোলিকভাবে কাঠালিয়া প্রায় ২১০৫১ ও ২২০১৭ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০০০২ ও ৯০০২৩ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত।

জলবায়ুঃ

কাঠালিয়াতে ষড়ঋতুর মধ্যে প্রধানত তিনটি মৌসুম জোরালোভাবে পরিলক্ষিত হয়। গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত। মার্চ ও এপ্রিল মাস গ্রীষ্মকাল। এ সময় বাতাস খুবই উত্তপ্ত হয় এবং জলীয় বাসেপর পরিমাণ কম থাকে। চরম উষ্ণতায় (এপ্রিল মাসে) তাপমাত্রা ৪১.১০ সেঃ পর্যন্ত হয়। বর্ষা মৌসুম সাধারণত মে হতে অক্টোবর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। শতকরা ৯০% বর্ষণ এ সময়ে হয়। শীতকাল আরম্ভ হয় নভেম্বর আর শেষ হয় ফেব্রুয়ারী মাসে। এ মৌসুম অত্যন্ত শুষ্ক ও শীতল। বৃষ্টিপাতের মাসিক হার ৭৫ মি.লি. কম বলে এ সময়কে শুষ্ক মাস বলা চলে। চরম শীতে তাপমাত্রা ৫.৬০ সেঃ এ নেমে আসে।

ভূ-প্রকৃতিঃ

কাঠালিয়া গ্রাম ভূ-প্রকৃতি প্রায় সমতল কটাল পললভূমি দিয়ে গঠিত এবং এ এলাকা বর্ষাকালে সল্পগভীরভাবে প্লাবিত হয়। এখানে নদীর পার্শ্ববর্তী সংকীর্ণ ডাঙ্গ জমি অপেক্ষাকৃত উঁচু ও দোঁ-আশ জাতীয় পলি দিয়ে গঠিত এবং পার্শ্ববর্তী প্রায় সমতল বিল জমি অপেক্ষাকৃত নীচু ও এটেল পলি দিয়ে গঠিত। এ পলল ভূমির সমূদয় পলি গঙ্গা নদীর উতস হতে আগত। কাঠালিয়ার

লোকচরিত্রঃ

কাঠালিয়া গ্রামের আয়তনের অনুপাতে জনসংখ্যার পরিমাণ কম। ফলে এক একটি বাড়ী বেশ খোলামেলা জায়গা নিয়ে তৈরী হয়। সাধারণত কাঠালিয়া গ্রামে গ্রামে এ চিত্রই চোখে পড়ে। অধিকাংশ পরিবার অনেক ভুমি নিয়ে বসবাস করেন। ঘন গাছ-পালা আচ্ছাদিত ও পরিখাবেষ্টিত এসব বাড়ী সাধারণত বিচ্ছ্‌িন অবস্থায় থাকে। প্রতিটি পরিবারের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ ও সাতনত্র্যবোধ পরিলক্ষিত হয়। এদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান প্রবণতার অভাব দেখা যায়।কাঠালিয়া গ্রামের লোকচরিত্র অনেক ভদ্র, ও পরিশীলিত। তাঁরা অতিথিপরায়ণ, নম্র এবং ইতিবাচক মানসিকতার অধিকারী।

কৃষিঃ

এখানকার কৃষি ব্যবস্থা মান্ধাতা আমলের। বর্তমানে কিছুক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। কাঠালিয়া গ্রামের মোট কৃষি পরিবারঃ ৪০৩ আছে নীট ফসলী জমিঃ ৫০০ হেক্টর। খাদ্যশস্য উতপাদনঃ২৮৭ মেট্রিক টন। প্রধান ফসলঃ ধান, খৈসারী, মুশুরী, মুগ, আলু, মরিচ, কুমড়া, তরমুজ, ইত্যাদি।

ধর্ম বিশ্বাসঃ কাঠালিয়া গ্রামে মুসলিম, হিন্দু সমপ্রদায়ের লোকের বসবাস। মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। মুসলমান সমপ্রদায় ধর্মভীরু, নিরাকারবাদী ও পরলোকে আস্থাশীল। হিন্দুগণ সাকারবাদী এবং কোন না কোন দেব দেবীর উপাসক,শান্তিপ্রিয় ও নিরীহ বলে পরিচি.

শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানঃ

কলেজ : ১ টি . মাধ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ১ টি সিনিয়র মাদ্রাসাঃ ১ টি। । সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ১টি । কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ১টি ।

বক্তিত্ব :

১. ডাক্তার আলহাজ তাজেম আলী তালুকদার ( দাতা ও প্রতিস্থতা দক্ষিণ কাঠালিয়া তাজেম আলী মাধমিক বিদালয় ) ২. মোহাম্মদ মাহাতাব হোসাইন তালুকদার (সাবেক প্রধান শিক্ষক , দক্ষিণ কাঠালিয়া তাজেম আলী মাধমিক বিদালয়, সভাপতি ম্যানেজিং কমিটি : দক্ষিণ কাঠালিয়া তাজেম আলী মাধমিক বিদালয় , প্রতিস্থতা: টেপুরা আদর্শ প্রাথমিক বিদালয়, প্রতিস্থতা: দক্ষিণ কাঠালিয়া ডাকঘর ,) ৩. গোলাম মোস্তফা তালুকদার (প্রধান শিক্ষক , দক্ষিণ কাঠালিয়া তাজেম আলী মাধমিক বিদালয়,)

এক নজরে ৪নং হলদিয়া ইউনিয়ন

উনিয়ন পরিষদের অনুমোদন- ১৯২৬ সাল . বর্তমান চেয়ারম্যান- জনাব শহিদুল ইসলাম মৃধা যোগাযোগ- ইউপি সচিব- মোঃ আবদুল খালেক, ০১৭১৯৮৩৫২৫৮

নামকরণ- হলুদ (হরিদ্রা) প্রজাতির উদ্ভিদের নামানুসারে একটি গ্রামের নাম হলদিয়া। গ্রামের নাম থেকে ইউনিয়নের নাম। আয়তন- ৭০.৬০ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা- ২৯,৩৬৪ জন। মৌজা- ১১ টি। গ্রাম- ১৩ টি। হাট- ১০ টি। কলেজ ১ টি। মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬ টি। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়- ১৬ টি। রেজিষ্টার প্রাথমিক বিদ্যালয়- ১৬ টি। কমিউনিটি বিদ্যালয়- ০২ টি। মাদ্রাসা- ০৭ টি। মসজিদ - ৯৪ টি। মন্দির- ২১ টি। ডাকঘর-০৬ টি। শিক্ষার হার- ৩১.২%। দর্শনীয় স্থান-টেপুরার গাজী-কালুর দরগাহ। ইউপি কমপ্লেক্স-২০০২ সালে দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া ওস্তারহাট বা অফিসের হাট নামক স্থানে ০.৬৭ একর জমিতে ইউপি কমপ্লেক্স নির্মিত। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের নামের তালিকা, এলাকা - শিউলী ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড মোসাঃ নাজমুন নাহার ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড মোসাঃ কহিনুর বেগম ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড মোঃ সিদদিকুর রহমান ১নং ওয়ার্ড মোঃ কালু মৃধা ২নং ওয়ার্ড মোঃ সাইফুল ইসলাম সপন ৩নং ওয়ার্ড একেএম মাসুদ ৪নং ওয়ার্ড মোঃ আবু সালেহ ৫নং ওয়ার্ড কামরুল হাসান সেতু মললিক ৬নং ওয়ার্ড মোঃ জাহাঙ্গীর মৃধা ৭নং ওয়ার্ড মোঃ ফারুক বিশ্বাস ৮নং ওয়ার্ড মোঃ হারুন অর রশিদ খান ৯নং ওয়ার্ড

আমতলী উপজেলা পরিষদ

১৯৮২ সালের ২৩ অক্টোবর আমতলী থানাকে আমতলী উপজেলায় রূপান্তরিত করা হয় । এ অধ্যাদেশ অনুযায়ী একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান, প্রতিনিধি সদস্য, অফিসিয়াল সদস্য এবং মনোনীত সদস্য নিয়ে উপজেলা পরিষদ গঠন করা হয় । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা পরিষদের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করবেন । উপজেলা পরিষদই হল বেসামরিক প্রশাসনের প্রাথমিক স্তর ।

বর্তমান উপজেলা চেয়্যারম্যানঃ জনাব সালাহ উদ্দিন আহমেদ । ১৯৯১ সালে উপজেলা পরিষদের বিলুপ্তি ঘটে এবং ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পুনরায় উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম শুরু হয় । বর্তমানে উপজেলা পরিষদ ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত একজন চেয়ারম্যান, একজন ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ), একজন ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা), উপজেলার আওতাভুক্ত পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং নির্ধারিত-সংখ্যক মহিলা সদস্য নিয়ে গঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য পরিষদের উপদেষ্টা হবেন ।

১৯৮৫ সালে সর্বপ্রথম আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় । প্রথম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানঃ জনাব মোঃ সামসুল আলম তালুকদার । ২৫.০৫.১৯৯০ সালে প্রথম উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হলে সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত মামলার কারণে আমতলী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এ সময় হলদিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জনাব মাহাবুব-উল-আলম ঝন্টু তালুকদার সরকার মনোনীত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে ২ মাস দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সরকার উক্ত আদেশ বাতিল করে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মতিয়ার রহমানকে প্রশাসনের দায়িত্ব প্রদান করেন । উপজেলা পরিষদ বিলুপ্ত হওয়া পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেন । উপজেলা পরিষদের নির্বাচন- পরবর্তী সময়ে আমতলীর ইউএনও জনাব ইকবাল হোসেন খান, শামসুল হক মিয়া, আনওয়ারুল হক, মিহির কান্তি মজুমদার ও মতিয়ার রহমান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ।

২২ জানুয়ারী ২০০৯ তারিখ দীর্ঘ ৯ বছর পর পূনরায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ।