বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম সম্পাদনা

ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পাদনা

            ধর্মনিরপেক্ষতা

ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ হল- ধর্মকে রাষ্ট্র এবং জীবন থেকে পৃথক করা। ভিন্ন শব্দে বললে ধর্মনিরপেক্ষতা মানে হল ধর্মহীনতা। ধর্মনিরপেক্ষতার সূচনা ইউরোপে ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলনের পরে হয়েছে। ইউরোপ দেখল- খ্রিস্টধর্মের অযৌক্তিক শিক্ষা- জীবনে বাস্তবতার সাথে সাংঘর্ষিক। এজন্য তারা ধর্ম এবং রাষ্ট্রকে পৃথক করে ফেলেছে। অনুরূপভাবে হিন্দু, বৌদ্ধসহ অন্যান্য ধর্মগুলোর অনুসারীগণও বুঝে ফেলল যে- তাদের ধর্ম আধুনিক যুগের সমস্যার সমাধান এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে ব্যর্থ। এজন্য তারাও ধর্মনিরপেক্ষতার স্বপক্ষে আওয়াজ উঠালো। বিপরীত হল ইসলাম। ইসলাম মানুষের জীবন থেকে পৃথক হওয়ার নয় কখনও। বরং ব্যক্তি জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবন পর্যন্ত সকল সমস্যার সমাধান এবং সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিতে সক্ষম। এমনকি পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে এটি বাস্তবায়নযোগ্য। এজন্য পাশ্চাত্য চিন্তাবিদরা ইসলামী রাষ্ট্রসমূহে সেকুলারিজম প্রতিষ্ঠার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ধর্মনিরপেক্ষতার দাবি মুসলমানদের চিন্তা-চেতনা এভাবে ভুল ব্যাখ্যা করে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে- ধর্ম এবং রাষ্ট্র দু'টি পৃথক বস্তু। অন্যান্য ধর্মের মতো ইসলামও জীবনের সকল চাহিদা পূরণে ব্যর্থ। এর জন্য পশ্চিমারা প্রচ্যবিদদের শিষ্যদেরকে বিশেষভাবে ব্যবহার করছে। যারা ইসলামী শরীয়ত, সাীরাত, ইতাহাসকে বিকৃত করে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ অনুযায়ী করার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

ধর্মনিরপেক্ষবাদের প্রধান লক্ষ্যসূহ:

ইসলামী রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পৃক্ত ধর্মনিরপেক্ষবাদের প্রধান লক্ষ্য হল- ১. মুসলমাদের আকিদা-বিশ্বাসে সংশয় সৃষ্টি করা। ১. পাশ্চাত্যের নিস্তিক্যবাদী ধারণ এবং বস্তবদী চিন্তার প্রচালন করা। ২. ইসলামকে রাষ্ট্র, রাজনীতা এবং অর্থনীতি থেকে দূর করে পশ্চিমা মূল্যবোধ অনুযায়ী ধর্মহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।

ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের তিনটি বিপজ্জনক কৌশল: ১. ইসলামপূর্ব জাহেলী ধর্মান্ধতা উস্কে দেওয়া। ২. মুসলমাদের মাঝে ধর্মীয় নেতৃত্বের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করা। ৩. নারী স্বাধীনতা। Anisur Rahman Salehe (আলাপ) ০৮:৪৫, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন