নামঃ শামীম,নিমু৷ জন্মঃ ১৯৮৩-ইংরেজী সাল,বাংলাদেশ৷ পেশাঃ বিদ্যুত্‌,পানি,কম্পিউটার,মোবাইল এবং লেখক..৷

বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম সম্পাদনা

উইকিপিডিয়া সম্পাদনা

আমাকে এমন একটি পেজ্ খোলার সুযোগ দেওয়ায়,এই পেজ্ এর সকল কর্তৃপক্ষে জানাই অনাবিল শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ৷ শামীম,নিমু (আলাপ) ১০:০৪, ১৮ মার্চ ২০১৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন

আমার নিজস্ব লেখা কয়েকটি কবিতা ________________________________

অনুভব __নিমু

অসুখে আমাকে ছাড়তে চাইছে না! আরো দুদিন বাঁচবো কিনা তাও জানিনা, হয়তোবা দুইদিন পরেই জীবনের সব কিছু শান্ত হয়ে যাবে- তোমার নরম হাতের ছোঁয়ায় স্পর্শ করে বুঝে নিবে-আমার শরিরের সমস্ত রক্ত মাংস বরফের মত ঠান্ডা হয়ে গেছে, তুমি বুঝতে পারবে-দুইদিন আগেই আমি মরেছি, আরো দুদিন আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম? আরো কিছু তোমার স্মৃতির জালে আমাকে ধরা দিতে চেয়েছিলাম? আরো দুইদিন-আরো দুইদিন আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম! তোমায় নিয়ে আরো বেশ কিছু কবিতা এখনো লেখা বাকি ছিল- ভীষণ অসুস্থ আমি, শুকনো বিছানার চাদর, বালিশের কভারটা ভিজে গিয়েছে আমার-একটাই চাদর, শুধু একটাই বালিশ আমার! এখানে একটা চাদর, বালিশের খুবই অভাব৷ আরো দুদিন-ইস্ কত ব'ড়ো সেই দুইদিন? সেই দুইদিন পাবো না জেনেও অনেক আশা করেছিলাম- শুধু তোমায় নিয়ে কিছু কবিতার লাইন হয়তো এইদিনে লিখতে পাবো? দু'চোখ আমার চেয়ে থাকে সারারাত, ধ্যান শুধু থাকে তোমায় ঘিরে, শুধুই ভাবনায় থাকে- এই বুঝি তুমি এ দুইদিনও পাশ্বে থাকবে আমার! আমি লিখবো-সকাল,দুপুর আর গভীর রাতে, জানি,তুমি দিতেও চাইবেনা- তোমার সেই দুইদিনের ঘুম আমি জোড় করে কেড়ে নেবো৷ সেই দুইদিনে-তুমি আমার কবিতার অক্ষর,লাইন গুলি তোমার হাতের আঙুল দিয়ে কতবার টেনে টেনে পড়বে, সেই দুইদিন- আমি তখনো বিছানার চাদরে,বালিশের উপর মাথা দিয়ে শুয়ে থাকবো- শুয়ে শুয়ে আমারই লেখা কবিতা-তোমার মিষ্টি মধুকর কন্ঠে আমার হৃদয়ের ক্ষণি থেকে শুনবো৷ আরো দুদিন কি আমি বাঁচবো? সেই নিয়ম কি এখনো আছে- বল? সেই কবিতা,সেই গল্প-তুমি পড়তেই থাকবে-আমি তখনো শুয়ে শুয়ে হৃদয়ের ক্ষণি থেকে শুনবো? হা,হা,হা- হয়তোবা, দুদিন ধরেই তুমি পড়েছো? তোমার নাকের ছিদ্র থেকে ফোটায় ফোটায় যখন পানি পড়বে- তোমার পরনের ময়লা ওড়না দিয়ে বারবার তুমি নাক মুছবে, হয়তো নাকে ঘা হয়ে গিয়েছিল? তোমার সামনেই ছিল ড্রেসিং টেবিল- প্রতিদিন যেখানে দারিয়ে তুমি তোমার মাথার চুল গুলি কত সুন্দর করে বেণী করতে? আমার লেখা কবিতা তুমি তখনো পড়েছো৷ পড়ার মাঝে হঠাৎ মুখটি তোমার উপরের দিকে তুলেছিলে? তোমার নজর পড়েছিল সেই আয়নাটায়? তুমি দেখেছিলে-তোমার দু'চোখ কতটা লাল হয়ে গেছে? তারপরেও তুমি অপর পাতা থেকে অন্য আর একটি আমারই কবিতা পড়তে চাইছো? প্রতিটা শব্দে তুমি আকুতির মিনতি শুধু দেখতে পেয়েছো- আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম আরো দুদিন! আরো দুদিন-আরো দুইদিন আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম, তোমার জ্বলন্ত ভালবাসায় আরো দুদিন- ভালবাসার আগুনে জ্বলতে চেয়েছিলাম? আরো দুদিন, আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম? সে রাতে মনভুলে ঘরের দুয়ার খোলা রেখেছিলে, রাতের আকাশের জোস্নার অর্ধেকটা খেয়ে গিয়েছে- দেখেছিলে আকাশের তাঁরা গুলি তখনো মিটিমিটি জ্বলেছিল, দুয়ারের পাশ্বেই বসে তুমি পড়েছিলে- আমি তখনো তোমার পাশ্বেই শুয়েই ছিলাম৷ সে সময় খোলা দুয়ারের ফাঁক দিয়ে আরো একটিবার আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখেছিলে- সাতটি তাঁরার মাঝে একটি তাঁরা আজ তোমার দুয়ারে এসে আশ্রয় নিয়েছে, তাঁরাটি জ্বলছে না- হয়তো,তুমি বুঝবে-শীতের কাপুনিতে কম্বল মোড়া দিয়ে সে ঘুমিয়ে আছে! ভেবে নেবে, মোড়ানো কম্বলের ভিতর থেকে কি কখনো-সেই তাঁরা জ্বলে! আবারো তুমি পড়ছো- আমার লেখা কবিতা গুলো, কম্বল মোড়া দিয়ে আমি তখনো শুয়েই শুনেছিলাম, আমি শুনছি তোমারই কণ্ঠে- আরো দুদিন আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম৷

 _________________________


ত্রিশ বছর পরে তুমি ফিরে এলে _______নিমু

আজ ত্রিশ বছর পরে- তুমি ফিরে এলে! এসে দেখ্ছো তুমি- আমি বুড়ো হয়ে গেছি; দ্যাখো আজ ত্রিশ বছর- পার হয়ে গেছে? কত অভিমান ছিল তোমার- তোমার হিসেবের গণনায় অনেক ভুল ছিল৷ ইস্, ত্রিশ বছর? জানো_? এই ত্রিশটি বছরে কতটি দিন হয়? কতটা সময় হয়? আর কতটা সেকেন্ড হয়ে চলে গিয়েছে? আমি তো আজও সেই টুকরো পাথর গুলি কুড়িয়ে- তাতে অনেক বড় পাহাড় গড়ে নিয়েছি? সেখানের উচু টিলায় আমি এই ত্রিশটা বছর একাকী দাড়িয়েই ছিলাম; জেনেছিলাম, তুমি আসবে, এই ত্রিশ বছর তুমি আসোনি_? তোমারই সেই খন্ড খন্ড সুখের নেশা গুলি নিয়ে- এই ত্রিশটা বছর- কত নেশায় আমিও ভালই অতিবাহিত করেছি- সে নেশায় একা একা দাউদাউ করে কত জ্বলেছি! তবুও অবুঝ অন্তরটা শুধু থেকেছিল, তোমারই ফিরে আসার অপেক্ষায়; হয়তোবা বললেও বিশ্বাস করবে না তুমি, তবুও বলছি শোনো- এই ত্রিশ বছর আমার ছিলনা নিঃশ্বাস চলে যাবার এতটুকুও ধৈর্যে ভয়৷ বল তো কতটুকু ভালবেসেছিলে? সকলের তরে শুধু কি আমাকেই ভেবেছিলে? কোনো কোনো রাতে ঘুমাও নাই; জেগে জেগে শুধু আমার স্যামলা ছবিখানা কতবার দেখেছিলে! বল তো কতটুকু ভালবেসেছিলে? তোমাকে পাগলের মত খুঁজেছিলাম- নদী নালা খালবিল আর সাগরের পাড়ে; দেখেছিলাম সেখানে- নদী শুকানো, খালে পানি নাই, অসীম সাগর নীরবে একাই পড়ে আছে৷ কতবার_ কতবার, এরপরেও সেখানে গিয়েছিলাম! সেই শিমুল তলে? শিমুল গাছের ফুল গুলি সব- ঝরেঝরে পড়ে আছে নিচে, একটি আহত পাখি তাতে ভাবনায় ছিল ডালে বসে৷ খুঁজিছিলাম তোমায়- রাজধানী ঢাকার বহু অলি গলিতে, খুঁজেছিলাম তোমায়- কত চোরাপথ গুলিস্থানের সমস্ত স্তরে! ইস্, তুমি যদি দেখতে, কত লোকের ভীড় ছিল পুরো শহরটায়? দেখেছিলাম তাহারা- চলছে বড় বড় দুখের বোঝা কাধে নিয়ে৷ কতদিন- আরো কতদিন যে গিয়েছিলাম সেখানে? তোমারই স্মৃতির রঙ্ তুলির সেই মাঠে? দেখেছি সেখানে- দুর্বা, চাপা ঘাস- রৌদ্রে পুড়ে ছাঁই হয়ে পড়ে আছে৷ আজ ত্রিশ বছর পার হয়ে গেছে! কতটা লোভী ছিলাম, তোমার সেই ভাঙা ভাঙা ভালবাসার টানে? তুমি আবারো অভিমান তুলে- ফিরে চলে এলে? বল তো দেখি_? কতটা শরিরের ঘাম শুকিয়ে ছিলে আমার তরে? আনন্দ মনের দিশেহারায় বুঝতেও আমি পারিনি, মিথ্যে আশায় কখন যে তুমি চলে গিয়েছিলে! জানি হয়তো- তোমার বিচলিত মন ডুবে ছিল সেখানে? কষ্ট তবে আমি একটুও পাইনি, তুমি ভাল থাকবে জেনে! ত্রিশ বছর? তুমি আবারো অভিমান তুলে- ফিরে চলে এলে? সেখানে হয়তো আমারই নরক কিছু স্মৃতি খুঁজে নিয়েছিলে? এই ত্রিশটি বছর ধরে- তুমি সেখানে কি এমন সুখ পেয়েছিলে? শুন্যতার এই অন্তর আজ বড় জানতে ইচ্ছে করছে? হয়তোবা- ঘন লজ্জায় তাহা লুকিয়ে রেখে দেবে? তবুও কি তুমি সেই শান্তির জোয়ারেই ভাসবে? ত্রিশ বছর পার হয়ে গেছে! তোমার ছায়া আজ- পড়ে গেল এ নজরে, ত্রিশ বছর? এই ত্রিশটা বছর পরে- তবুও একটিবার তোমায় মুখ ফুটে বলতে পারেনি- তুমি কেমন আছো! শুধু চেয়েছিলাম, তোমার মলিন চেহারার পানে; বলতে পারেনি মুখ ফুটে_ এতদিন পর কেনো ফিরে চলে এলে! তোমার সেই মলিন মুখখানির দিকে চেয়ে- কতবার চেয়েছিলাম, ঘন কালো চুল গুলি আজ- সাদা হয়ে গেছে; হবে নয়তো কি_ আজ ত্রিশ বছর পার হয়ে গেছে? দুজনার মাঝে আজ শুধু মনেপড়ে- ত্রিশ বছর- ত্রিশে ষাট বছর পার হয়ে গেছে! এখনো কি- সেই যৌবন আবারো ফিরে আসে? তুমি এসেছিলে ফিরে ত্রিশটা বছর পরে; এত বছর পর তুমি ফিরে চলে এলে? সারা দেহ্ অন্তরে- আমি নেই যে আর সেভাবে?

   ____________________________


বিক্রি করিবো দেহ্ _______নিমু

এই দেহ্ প্রাণ মোর বিক্রি করিয়া দেবো- কেহ যদি চায় ক্রয় করিবার- বিনিময়ে আনন্দে কয়েক দিনের স্বার্থই শুধু নেবো- হবে কি কেহ-? এ দেহ্ কিনিবার মতো?

সংসারে মোর দুটি আওলাদ- বড় কন্যা স্বামীর অধীনে- ছোট ছেলেটি মোর মায়াময়ে দুষ্ট- পড়ালেখায় এখনো অবুঝ হাসিতে খেলে, রূপবতী শুধু দিনভর অনলে চাহে- কাঁদিয়া কহে ভালবাসার মোর বলিদানে৷ একদা বৈকালে একদিন এসে কহিলো- মোর উপরের বড় ভাই- কি দারুণ ক্ষোভে বলে- মোর দৌলতের বুঝি শেষ নাই! অথচ কেহ নাহি জানে- গোপনে কিযে ব্যথা- সংসারে মোর নুন টুকু কোথা পাবো!

এই দেহ্ প্রাণ মোর বিক্রি করিয়া দেবো- কেহ যদি চায় ক্রয় করিবার- বিনিময়ে আনন্দে কয়েক দিনের স্বার্থই শুধু নেবো- হবে কি কেহ-? এ দেহ্ কিনিবার মতো?

দুই হাত আছে মোর- আছে চলিত দুটি পা, কান আছে, চক্ষুও আছে- শুধু মোর মাথার চুল গুলা সাদা! বয়স তো বেশি নহে- তিরিশে হয়েছে মোর পার, দেহ্ মোর চিকন, অজন মাত্র পঞ্চান্ন কিলো-নিদ্রাহীন হহিয়া থাকে- রাত্রি গুলা শুধু মোর! নানা ভাবনায় মোর মুখের দাড়ি- যত বড় হহিয়াছে- প্রভাত হহিলে পরে শুরু হয় কাজে- সংসারে থাকে তবু মোর ক্ষুধাভরে! কত ক্ল্যান্তে মোর ঝরে জল- হিসেব কহে অন্তরে-এ কাজের শেষ যে কত?

এই দেহ্ প্রাণ মোর বিক্রি করিয়া দেবো- কেহ যদি চায় ক্রয় করিবার- বিনিময়ে আনন্দে কয়েক দিনের স্বার্থই শুধু নেবো- হবে কি কেহ-? এ দেহ্ কিনিবার মতো?

  ____________________________


২৬শে মার্চ ____নিমু

শুধু নীরব পরিস্থিতিতে চেয়ে চেয়ে দেখতে হয়- দেশের বিভিন্ন অত্যাচারিত দৃশ্যের কাহীনি! নিজেকে অনেক লজ্জা লাগে, প্রকাশ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি, যদি তারা আমার সন্তানের বুক থেকে আমায় কেড়ে নেয়! আর কতদিন কতকাল- এই গোপন যন্ত্রণায় ভুগবো, তাও জানিনা! হয়তো মরে যাব, এরপরেও হয়তো শুনতে হবে দেশের হাহাকার চিৎকার? সেখানেও একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারবো না! এ জীবনে কখনো এমনি এমনি কাঁন্না চলে এসে যায়- তবে, কখনো কারো প্রকাশ্যে কাঁদিতেও পারিনা! সেই কাঁন্নার শব্দে- যদি ধরা পরে যাই- সেটা ভেবে নির্লজ্জ বেঈমানের মত শুধু চেয়ে চেয়ে দেখি, প্রতিবাদ করিতে পারিনা! আমি মীর জাফর রূপে বাঁচিতে চায়না? তবুও আমাকে সেই রূপেই বাঁচিতে হবে, কেন? আমি বাঁচতে চাই- হে বাংলার কোটি জনগন- একটি স্বাধীন দেশের- সেই উড়ন্ত লাল সবুজ পতাকাটি হয়ে?

  ____________________________


ভেদাভেদ,দ্বন্দ্ব ______নিমু

অনাহূত গ্রহ ভাবিয়া দিব্যি ছুটছে- যেখানে পাবে তার- আহারের খোজে, ক্ল্যান্ত নিশিত-ডুবে আছে সমুদ্রে, কেহ মুসলমান- মেরেছে হিন্দু- কেহ হিন্দু- মেরেছে মুসলমান সত্রু, কিসে তারা অযথা হয়রানি হয়? যারা কিনা জানিয়া অনাদি মারিয়াছে- তারা কভু হিন্দু, মুসলিম, নহে৷ আবারো ভেদাভেদ,দ্বন্দ্ব চলছেই- চলবে৷

মন্দিরে চলছে কীর্তনের আওয়াজ- মসজিদে চলছে সময়ের নামাজ, কেহ মেখেছিল মুখে রঙের বাহার- কেহ বলেছে মুখে আল্লাহু আকবার, এসবে লিপ্ত থাকিলে ক্ষতি কি সবার? কহে না কেহ ভাল- রঙের হোলি- রাজাকার ভাবে কেহ- থাকিলে টুপি, দু'গোত্রের মাঝে চলে- কত বাহাদুরী৷ আবারো ভেদাভেদ,দ্বন্দ্ব চলছেই- চলবে?

রাজনীতিতেও ভালই চলে_? মুজিব করিলে পুড়ে মেরেছে- জিয়া করিলে ধরে মেরেছে- শিবির করিলে কাটিয়া মেরেছে, সুখে থাকিলে নাকি ভূতে কিলায়? গরু ছাগল- ঘাস যাবরে মরেছে- শ্মশানে কত পাখি কুকিয়ে মরেছে, এভাবে তবে কতকাল আর মরিবে? আবারো ভেদাভেদ,দ্বন্দ্ব চলছেই- চলবে৷

কত জননী ভগ্নী ধর্ষিতায় মরেছে- বেয়াদব পুরুষ স্বাধীনতায় চলছে, উকিল পুলিশ আইন আদালতে- সময়ে তাদের সংসার অবিরত সুখে, পাঁজর ভাঙ্গিলে কি-সহজে জোড়া লয়? বাবা ভ্রাতা দেখে- সেই লজ্জায় মরেছে, এ সমাজের লোক- সব খেলা দ্যাখে, কিভাবে ওরা দৈনিক কৌশলে মরে! আবারো ভেদাভেদ,দ্বন্দ্ব চলছেই- চলবে৷

গোলা ভরা ধান আছে- আছে সব্জীক্ষেত- সকালে উঠিয়া শুরু হয়- সম্পর্কের ভেদ, অনাহারী নয় তবু- তবুও অনাহারী হয়- মানুষের গোস্ত- মানুষেই মজা করে খায়, অনাহারী কুকুর বিড়াল- হাড্ডি চিবায়৷ আবারো ভেদাভেদ,দ্বন্দ্ব চলছেই- চলবে৷

    _________________________


বাঘ মামা ___নিমু

বাঘ মামা- ও... বাঘ মামা? তোমার বনের গাছ তলায়- তিনটি হরিণ খাইছে পাতা, দুটি হলো তার সন্তান- এক যে তাদের মা, দয়ামায়া ছেড়ে- মা'কে কেন ধরে খাবা? __________________ শামীম,নিমু ১৮:৫০, ৩০ মার্চ ২০১৯ (ইউটিসি)