মোঃ সাইমুন মিয়া
বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম
সম্পাদনাসুপ্রিয় মোঃ সাইমুন মিয়া! উইকিপিডিয়ায় আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করছি এ পরিবেশটি আপনার ভাল লাগবে এবং উইকিপিডিয়াকে সমৃদ্ধ করার কাজে আপনি সহায়তা করবেন। এখানে কিছু পৃষ্ঠা আছে যা আপনাকে উইকিপিডিয়া ব্যবহার এবং সমৃদ্ধ করার কাজে সাহায্য করবে:
আশা করি আপনি বাংলা উইকিপিডিয়া সম্প্রদায়ের একজন হয়ে সম্পাদনা করে আনন্দ পাবেন! আবারও স্বাগতম এবং শুভেচ্ছা!
বাংলা উইকিপিডিয়া অভ্যর্থনা কমিটি ১৩:২৩, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি) |
গার্হাড জোহানসনের হত্যাকান্ডের ঘটনা
সম্পাদনাগার্ড জোহানসনের হত্যাকাণ্ড হচ্ছে ১৯৩৯ সালের ১ ডিসেম্বরে সুইডেনের স্টকহোমে ১০ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীর নিখোঁজ ও হত্যা সম্পর্কিত অন্যতম কুখ্যাত হত্যা মামলা। তার বাবা-মা তার নিখোঁজ হওয়ার খবর জানানোর আট দিন পরে সুন্ডবিবার্গের (Sundbyberg) একটি হ্রদ লুটসজনে তার লাশ আবিষ্কৃত হয়। তাকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল। সংবাদ মাধ্যমগুলো এই হত্যার খবরে পরিপূর্ণ ছিল। তার খেলার সঙ্গী জ্যান স্পেয়ারিং বেশ কয়েকটি প্রচার মাধ্যম এই ব্যাপারে সাক্ষাৎকার দেয়। পরবর্তীতে স্পেয়ারিং সুইডেনে একজন পরিচিত গায়ক হয়ে ওঠেন। জোহানসনের লাশ আবিষ্কৃত হওয়ার এক মাস পর মিডিয়া জানিয়েছে যে তার হত্যাকারীর একটি কুকুর ছিলো। কারণ তার কোটে পাটের তন্তু পাওয়া গেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে তারা হত্যার সাথে জড়িত একটি কালো গাড়ির সন্ধান করছে।
শীঘ্রই ওলে মুলার নামে ৩৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মুলার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে জন্মগ্রহণ করেন। অল্প বয়সে তিনি সুইডেনে চলে যান। তিনি স্টকহোমের একজন পরিচিত ক্রীড়াবিদ ছিলেন। ১ জানুয়ারি মুলারকে পুলিশ মুক্তি দেয়। আফটনব্ল্যাডেট সংবাদপত্র টি জোহানসনের হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের জন্য যে কোন তথ্যের জন্য ১০ হাজার ক্রোনার পুরস্কার নির্ধারণ করে। ১৯৪০ সালের ডিসেম্বর মাসে Möller আবারও গ্রেপ্তার হন এবং এবার তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ১৯৪০ সালের ৭ মার্চ তাকে "ধর্ষণের চেষ্টা এবং হত্যার চেষ্টার" জন্য দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মুলার তার সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন, কিন্তু তার সাজা আরো দুটি আপিলের মধ্যে বহাল রাখা হয়। ১৯৪২ সালের ২৬ জুন তার শাস্তি চূড়ান্ত করা হয়। যাইহোক, পরের বছরগুলোতে বিচারকেরা অনেক মিথ্যা প্রমাণের অভিযোগ পেয়েছিলেন, যারা মুলারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন পুরষ্কারের লোভে। ১৯৮৪ সালে মুলারের বিচারের সময় তার বিরুদ্ধে একজন সাক্ষী স্বীকার করেন যে তারা মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তারা মুলারকে গার্ড জোহানসনের সাথে দেখেছেন।
মুলার ছয় বছরের স্বশ্রম কারাদন্ডের পর ১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পান। ১৯৫৯ সালে রুট লিন্ডকে হত্যার জন্য মুলারকে আবারও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
১৯৮৩ সালে মুলারের মৃত্যুর পরও, তার মেয়ে গার্ড জোহানসনের হত্যাকাণ্ড থেকে তার বাবার খালাস পাওয়ার জন্য জন্য লড়াই চালিয়ে যান। তিনি আদালতে তার দাবি নিয়েছিলেন যে তার বাবাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৩৯ হত্যামামলা থেকে খালাস দেওয়া উচিত, কারণ আদালতে মিথ্যা স্বাক্ষী স্বীকারোক্তি দিয়েছিল। সালের ২৪ মে স্টকহোমের সর্বোচ্চ আদালত তার দাবি অস্বীকার করে। ১৯৯৮ সালে গার্ড জোহানসনের পোশাক নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়, কিন্তু কোন নির্দিষ্ট ফলাফল পাওয়া যায়নি।
২০১০ সালে হেনরি সিডোলি কর্তৃক প্রকাশিত একটি বই Olle Möller och orättvisan হত্যার ঘটনাকে নিয়ে লিখা হয়। ২০১২ সালে, জোহানসন হত্যা মামলার বিষয়ে লেনা ইবারভাল এবং পার ই স্যামুয়েলসনের মার্ডারেনের লেখাআই ফোকহেমেট বইটি প্রকাশিত হয়েছিল। মুলার নিজেই ১৯৬৬ সালে এই মামলা সম্পর্কে Jag är oskyldig (আমি নির্দোষ) নামে একটি বই প্রকাশ করেন।
- ↑ ঝাঁপ দিন:ক খ [অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ঝাঁপ দিন:ক খ গ ঘ ঙ চ ছ [অকার্যকর সংযোগ]
- ↑
- ↑ ঝাঁপ দিন:ক খ
- ↑ ঝাঁপ দিন:ক খ
- ↑