★কুমিল্লা জেলায় ইসা খানের বংশ প্রবেশের ইতিহাস।

          (১৬৩২ সালে) বারো ভুঁইয়ার প্রধান বীর শাসক "ঈসা খানের" নাতি 'মাসুম খান' নদিপথে পর্তুগিজদের বিরুদ্ধে নৌবহরের অধিনায়ক হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। 

যুদ্ধ শেষে হুগলি অবরোধকালে তিনি ঢাকা থেকে দক্ষীনে অবস্থিত শ্রীপুর থেকে শীতলক্ষ্যা নদি হয়ে (কুমিল্লা) ত্রিপুরার দিকে নৌবহরে রৌনা করেন এবং আসার পথে মেঘনা নদির সরু প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়ে তিনি সেখানে নৌসেতু নির্মান করেন। তবে নদিটি শ্রীপুর থেকে ভৈরব হয়ে নবিনগর - কুটি - মকিমপুর (১ নং উয়ার্ড) [ব্রাহ্মণপাড়া, কুমিল্লা] এর গা ঘেঁষে 'বুড়ি নদি' ক্রমশ বয়ে এসে মিলিত হয়েছে সালদা নদীতে। যেহেতু 'মাসুম খান' নদীর মুখ বন্ধ করে দিয়েছিলেন সেহেতু তাঁর বংশধরেরা এদিকেই বাসস্থান গড়ে তুলেন, পরে তাঁরা সারাদেশে জিবিকার টানে ছড়িয়ে গেছেন অন্যত্র। 'মাসুম খানের' বংশধরদের একজন "ইয়াসিন খান" আজ থেকে প্রায় (৩৫০ তিনশত পঞ্চাশ) বছর আগে বাসস্থান গড়ে তুলেন মকিমপুর পূর্ব পাড়ায়। সেখান থেকে মকিমপুর 'খানসাকিন'দের বংশ আয়তনে বড় হয়ে যাওয়ার কারনে তাঁরা মকিমপুর উত্তর পাড়ার ভূমিতে বসবাস শুরু করেন এবং বাকিরা রয়েছেন সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। 'সোনারগাঁ' মাসুম খানের বাবা 'মুসা খানের' পুরোনো প্রশাসনিক ভবনও রয়েছে।

  (ᴇᴠɪᴅᴇɴᴄᴇ ᴀɴᴅ ɪɴғᴏʀᴍᴀᴛɪᴏɴs ғʀᴏᴍ)꧂
        [নায়েব আলী খান (খাঁ)]
     ইতিহাসের উৎসঃ {বাদশাহনামা} গ্রহ্ন।

বাংলা উইকিপিডিয়ায় আপনাকে স্বাগতম সম্পাদনা