মোঃ আব্দুর রহমান রাকিব
বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম সম্পাদনা
সুপ্রিয় মোঃ আব্দুর রহমান রাকিব! উইকিপিডিয়ায় আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করছি এ পরিবেশটি আপনার ভাল লাগবে এবং উইকিপিডিয়াকে সমৃদ্ধ করার কাজে আপনি সহায়তা করবেন। এখানে কিছু পৃষ্ঠা আছে যা আপনাকে উইকিপিডিয়া ব্যবহার এবং সমৃদ্ধ করার কাজে সাহায্য করবে:
আশা করি আপনি বাংলা উইকিপিডিয়া সম্প্রদায়ের একজন হয়ে সম্পাদনা করে আনন্দ পাবেন! আবারও স্বাগতম এবং শুভেচ্ছা!
বাংলা উইকিপিডিয়া অভ্যর্থনা কমিটি ১০:১০, ৭ এপ্রিল ২০২৩ (ইউটিসি) |
তারাবির সালাত আদায়ের বিধান সম্পাদনা
মাহে রমজান মাসের একটি বিশেষ নামাজ আদায় করতে হয় তার নাম হলো সালাতুত তারাবীহ। 👉বর্তমান সময়ে তারাবিহ সালাত নিয়ে চলছে অনেক মত বিরোধ। আর এই কারনে বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়াতে অনেক আলেম এই বিষয়ে কাজ করছে। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে আমি আ:রহমান রাকিব এই বিষয়টি উইকিপিডিয়াতে আলোচনা করছি। ▶️ ১ম দলিল: বুখারী শরীফের (তারাবিহ সালাত)অধ্যায়ের হাদীস নং ২০১০।।
হাদীস:
আবদুর রাহমান ইবনু ‘আবদ আল-ক্বারী (রহঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, আমি রমযানের এক রাতে ‘উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)- এর সাথে মসজিদে নাবাবীতে গিয়ে দেখি যে, লোকেরা এলোমেলোভাবে জামা’আতে বিভক্ত হয়ে সালাত আদায় করছে। কেউ একাকী সালাত আদায় করছে আবার কোন ব্যক্তি সালাত আদায় করছে এবং ইকতেদা করে একদল লোক সালাত আদায় করছে। ‘উমর (রাঃ) বললেন, আমি মনে করি যে, এই লোকদের যদি আমি একজন ক্বারীর (ইমামের) পিছনে জমায়েত করে দেই, তবে তা উত্তম হবে। এরপর তিনি ‘উবাই ইব্নু ‘কাব (রাঃ)- এর পিছনে সকলকে জমা করে দিলেন। পরে আর এক রাতে আমি তাঁর {(‘উমর (রাঃ)}সাথে বের হই। তখন লোকেরা তাদের ইমামের সাথে সালাত আদায় করছিল। ‘উমর (রাঃ) বললেন, কতইনা সুন্দর এই নতুন ব্যবস্থা! তোমরা রাতের যে অংশে ঘুমিয়ে থাক তারা রাতের ঐ অংশ অপেক্ষা উত্তম যে অংশে তোমরা সালাত আদায় কর, এর দ্বারা তিনি শেষ রাত বুঝিয়েছেন, কেননা তখন রাতের প্রথমভাগে লোকেরা সালাত আদায় করত। (বুখারী)
দলিলঃ <html><body>حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَأَلَ عَائِشَةَ كَيْفَ كَانَتْ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِاللَّيْلِ فِي رَمَضَانَ فَقَالَتْ مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَزِيدُ فِي رَمَضَانَ وَلاَ فِي غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يُصَلِّي أَرْبَعًا فَلاَ تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّي أَرْبَعًا فَلاَ تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّي ثَلاَثًا . فَقَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَنَامُ قَبْلَ أَنْ تُوتِرَ فَقَالَ " يَا عَائِشَةُ إِنَّ عَيْنَىَّ تَنَامَانِ وَلاَ يَنَامُ قَلْبِي " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আয়িশা (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হল, রামাযান মাসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামাজের বৈশিষ্ট্য কি বা ধরন কেমন ছিল? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রামাযান মাসে ও অন্যান্য সময়ে (রাতের বেলা) এগার রাক’আত নামাযের বেশি আদায় করতেন না। তিনি চার রাক’আত করে মোট আট রাক’আত আদায় করতেন। এর সৌন্দর্য এবং দৈর্ঘ্য সম্পর্কে তুমি আমাকে আর প্রশ্ন কর না। অতঃপর তিনি তিন রাক’আত নামায আদায় করতেন। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি বিতর আদায়ের পূর্বে ঘুমান? তিনি বললেন. হে ‘আয়িশাহ্! আমার চক্ষু দুটি ঘুমায় কিন্তু আমার অন্তর ঘুমায় না।
সহীহ্। আবু দাঊদ-(১২১২), বুখারী ও মুসলীম
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৪৩৯ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস