বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম

সম্পাদনা
   আমার লেখা প্রথম কিছু একটা


শুভ পরাশুনাই খুব এ কটা ভালো ছিল না। সব সময় বাবা মা এর বকা বকি শুনে এক ধরনের অভ্যস্ত হয়ে গেছে।  শুভ এর বাবা তমিজ উদ্দিন এলাকার একজন নাম করা গণিত এর শিক্ষক, কিন্তু ছেলে যদি পরিক্ষাই ভালো না করে তবে লোকের ছেলে পড়িয়ে কি লাভ? 

তমিজ উদ্দিন এর রাতের ঘুম রিতি মতো দিন দিন হারাম হয়ে যাচ্ছে । এ দিকে শুভ এর বিত্তি পরিক্ষা আগিয়ে আচ্ছে। শুভ English এ বেশ দুর্বল। কিন্তু গনিতে তার ফলাফল ঈর্ষীনীয়। তাই ইংলিশ এর জন্য একটু আলাদা take care নিতে হবে। এজন্য বাবা শুভ কে তার স্কুল teacher লাল মাহামুদ এর কাছে পাঠাই । শুভর ভালই হইল পেল নতুন বন্ধু। বড় একটা friend circle। ভালই কাটছে দিন গুলা । খুব আড্ডা এর ভিতর চলে তুমুল প্রতিযোগিতা। কে কাকে টপকে ভালো করতে পারে। এখানে school এর প্রথম শ্রেণীর ছাত্র গুলই ছিল। শুভর জন্য এই টা নতুন একটা challenge ।

    ওই খানে ৪ টা মেয়ে ও পড়তো তার ভিতর মিতু দেখতে বেশ সুন্দরী। শুভর মিতু কে ভাললাগতে শুরু করে। মাঝে মাঝে কথা ও হয়। কিছু দিন এর ভিতর খুব close হয়ে জাই ২ জন। ২ জন ই একই level এর student হউয়াই বেশ জমে যাই তাদের বন্ধুত্ব। ২ জন ই পড়াশুনাই জর দেয়। কিছু দিন এর ভিতর মিতুর থেকে ও এমনকি প্রথম দুই তিন জন এর মধ্যে জায়গা হয়ে যায়। হয় তো এই জন্যই তমজ উদ্দিন এর কাছে শুভ এর বন্ধু রা পরার জন্য ভির করতে শুরু করে। কিছু ভালো ভালো student নিয়ে তারা নতুন একটা ব্যাচ করেন তিনি।এই ব্যাচ শুধু মাত্র তমজ উদ্দিন এর বন্ধুদের ছেলে মেয়ে নিয়ে। কিন্তু কিছু দিনপর এই ব্যাচ এ পরতে আসে মিতু। মিতু যে শুভ এর বাবা এর বন্ধুর মেয়ে এইটা ২ জন এর কেউ ই জানত না। 

আস্তে আস্তে তারা আরও close হয়ে গেলো । মাঝে মাঝে রাতে ফোন কথা ও হতে থাকল। কথার প্রসঙ্গ পড়াশুনা।

  শুভর ছোট্ট বেলার বন্ধু আকাশ। আকাশ English এ খুবই দক্ষ। আকাশ এই গুন টা পেয়েছে তার বাবার কাছে থেকে। শুভ আর মিতুর যে ফোন কথা হয় এইটা আকাশ জানতো। আকাশ শুভ কে মাঝে মাঝে বলত তোরা কি প্রম করছিস?????? উত্তর টা কারর ই যানা ছিল না।
  রাজা শুভর বাবারর এক বন্ধুর ছেলে, শুভর সাথেই পরে।খুব ডানপিঠে ছেলে, এই বয়স থেকেই ধুম্পান সহ বাজে নেশা করে। সমাজ আর চোখে অনেক খারাপ একটা ছেলে। রাজা এসে যোগ দেয় ওই ব্যাচ এ। আস্তে আস্তে রাজা ভালো হতে থাকে।সবার উন্নতি হলে ও মিতু একটু পিছেই থাকে। হয় তো এইজন্যই শুভর সাথে খুব বেশি যোগাযোগ করতে থাকে। শুভর ও ভালই লাগে। এই বয়শ এ মেয়ের সঙ্গ কে না চাই ????মিতুর  বাড়ি দূরে হলে ও প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা শুভর বাড়ি তেই থাকে। এক সাথে খাউয়া পড়াশুনা চলতে থাকে। মাঝে মাঝে যোগ দেয় অন্য রা ও। সবাই একসাথে খুব ভালো সময় পার করতে থাকে। এরই মধ্যে অন্য সব বন্ধু দের মধ্যে কানাঘুষা চলতে থাকে শুভ ও মতুর বিষয় টা। সবাই ই ভাবতে থাকে মিতু ও শুভ ২ জন দুজন কে ভালবাসে। এই ভাবেই চলে যাই প্রাই ১ বছর। 
  কাল ব্রিত্তি পরীক্ষা। রাত ৯ টা বাজে। মিতু শুভ কে ফোন দিল। মিতু বলে “ কি করছ ? পরা সব শেষ? আমি খব narves feel  করছি। তুমি পাশে থাকলে খুব ভালো লাগতো। তুমি পাশে থাকলে মনে অনেক সাহস লাগে। তোমাকে দেখতে পারলে ও বেশ ভালো লাগতো”। শুভ বলল দাখে কি করা যাই। পরা তে আর মন বচ্ছে না। শুভ আকাশ কে ফোন দিয়ে মিতুর কথা গুল বলল। ২ মিনিট পর আকাশ ফোন দিয়ে বলল দোস্ত তুই আমার বাসাই আশার নাম করে বেরহ আর আমি তোর বাসার নাম করে বের হচ্ছি আর রাজা তোর বাসার নাম করে বের হচ্ছে। আর আমরা মিতুর বাসার সামনের মাঠে গিয়ে meet করবো। রাজা ফোন নিয়ে আসবে। ৯ টা ৩০ এ সবাই চলে যাই। রাজা মিতু কে ফোন দিয়ে বাসার সামনে আস্তে বলে। বাসার সামনে এসে মিতু আকাশ ও রাজা কে দেখে।কিসুখন কথা হয়। কথার ফাকে মিতু বলে ওঠে তোরা না এসে শুভ আসলে অনেক ভালো হতো। তখন রাজা বলে কেন শুভ তোর কে হয়?? আমরা কি কাউ হই না?? মিতু চুপ করে থাকে। এর পর শুভ পাশে থেকে বের হয়ে আসে। মিতুর চোখে মুখে অন্য কিছুর একটা ছাপ দেখা যাই।রাত ১১ টাই সবার বাবা বাসাই আসে টাই ১০ঃ৩০ এর ভিতর যার যার বাড়ি সবাই চলে যায়। দেখতে দেখতে পরীক্ষা শেষ। টানা ২৫ দিন ছুটি। 

বন্ধু দের সাথে সারাদিন আড্ডা, খেলা ধুলা করে সবার দিন গুলা কাটছে। এর ভিতর মাঝে মধ্যে শুভ আর মিতু ফোন কথা বলে। আপন মনে গল্প করে দুজন। শুভ মিতু কে ভালবেসে ফেলে। কিন্তু মুখে বলার সাহস নাই। আকাশ অনেক বোঝাই তাতে ও কোন লাভ হল না। এর মধ্যে চলে আসলো ৩১ decembor. শুভর প্লান করলো ১২ঃ১ মিনিট এ একটা লাল গলাপ নিয়ে দিবে মিতু কে। ১২ঃ১ মিনিট এ পিকনিক এর সব বন্ধু দের চখে ফাকি দিয়ে আকাশ কে নিয়ে গেলো মিতুর বাসার সামনে। কিন্তু মনের আশা আর পুরন হল না। মিতুদের বাসা তালা দাউয়া। পরদিন সকালে জানা গাল মিতুরা গ্রামে গেছে।

  কিছু দিন পর থেকে আবার একসাথে পরা শুরু হল। সকালে লাল স্যার এর কাছে পরে শুভ আর মিতু একসাথে হাঁটতে হাঁটতে আসে। সবাই রোজ তারা তারি চলে আছে কিন্তু ছাইকেল থাকার পর ও শুভর আসতে বেশ দেরি হয়ে যাই। বিষয়ই টা ভালভাবে শুভর বাবা মা এর চখে পরে। মাঝে মধ্যে মা অনেক বকা দেয়। তার পরে ও শুভর কোন পরিবর্তন নাই। হবেই বা কি করে? মাঝ রাস্তাই প্রিয়শি কে ফেলে আসতে পারে এমন ছেলে হইত পৃথিবীতে নাই। তার পরে ও প্রথম প্রেম এর অনুভূতি একটু অন্য রকমই হয়ে থাকে। শুভর ভিতর অনেক পরিবর্তন আসতে থাকে। সারাদিন শুধু মিতু কে নিয়েই  তার চিন্তা। সকালে রাস্তা ফাকা পাইলে মিতুর হাত ধরে হাটা, প্রাইভেট এ সামনা সামনি বসে সবার চখে ফাকি দিয়ে মিতুর পায়ে পা রেখে পরা যেনও এক ধরনের নেশাই পরিণত হয়ে গেছে। শুভ যে তার নিজের বাবার কাছে পরে, তার পরে ও নিজের বাবার চখে ফাকি দিয়ে টেবিল এর নিচে হাতে হাত রাখাই লাগবে। মিতু ও তামনি পরা শেষ হলে ২ থাকে ৩ ঘণ্টা এক সাথে বসে থাকবে। আর মা কে বোঝানোর জন্য তো বন্ধু রা আছেই। তারা ও পাশে বসে থাকে। সবাই শুভ আর মিতু কে খুব ভালো ভাবে আগিয়ে দাউয়ার চেষ্টাই বাস্ত। 

এখন রাজা ক্লাব এ গান শেখে। শুভ আকাশ সহ বাকি বন্ধু রা মাঝে মধ্যেই যাই। মিতু ও বাসাই স্যার এর কাছে গান শেখে। হটাত এক দিন রাজার গানের ক্লাবের রিমন নামে একটা ছেলে রাজার সামনে বলে যে মিতুর সাথে তার ৩ বছর এর সম্পর্ক আছে। শুনে তো রাজার মাথাই বাঁশ পরে। রাজা শুভ কে কিছুই জানাই না। পর দিন আকাশ আর রাজা শুভ কে ডাকে। শুভ কে জিজ্ঞাস করে মিতু কি তোকে কখনও বলেছে যে ও তোকে ভালবাসে?? শুভ বলে সরাসরি কখনও বলে নি। ওই রাতে আকাশ মিতু কে ফোন দিয়ে-“ মিতু তুমি কি শুভ কে ভালোবাসো??’ মিতু-“ যানি না।” Conferanch এ থাকা রাজা – “তোমার সাথে রিমন আর কি??” মিতু- “ ও আমাকে খুব disturb করে” ওকে good night বলে রাজা আর আকাশ ফোন রেখে দেয়। সকালে রিমন কে খুব মারধর করে রাজা সহ শুভর অন্য বন্ধু রা। রিমন এক সময়ই বলে যে মিতুর সাথে সত্যি সত্যি আমার সম্পর্ক আছে। প্রমান ও আছে। তখন সবাই থমকে যাই। রিমন আরও বলে যে যদি মিতু আমার সামনে বলে যে ও শুভ কে ভালবাসে তাহলে আমার আর ওর বিষয় আর কেউ জানবে না। এমন কি শুভ ও না। মিতু আজ স্যার এর কাছে আসে নি। আজ আর কিছুই হল না। কাল রাজা রিমন কে নিয়ে আসবে। কিন্তু শুভ এই সব এর কিছুই যানে না।

   সকাল এ বিত্তি পরিক্ষার result দিবে। রাতে মিতু শুভ কে ফোন দিল 

- “ ক্যামন আছো। খুব খারাপ লাগসে। তোমাকে ২ দিন দেখি না। তোমাকে খুব miss করছি’ - ভালো আছি। আমি ও miss করছি। ইচ্ছা করছে খুব জরে তোমাকে চেপে ধরি। - আর কিছু না?? - আর একটা kiss তোমার ঠটে... - আর কিছু না ??? - আবার কি?? - তুমি আজো ভালবাসতেই সেখ নি - তুমি সিখিয়ে দিয়ও - কবে শিখবে?? - তুমি কবে শিখাবে?? - কাল - কখন? - বিকেলে।। - কোথায়?? - আমার বাসায় আসবে......... কাল বিকেল এ কেউ থাকবে না। গ্রামে যাবে। কাল আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসা শেখাব। - তাই । - তাইলে তুমি কাল বিকেল ৫ টাই বাসাই চলে আসবে।এখন গুমাউ... - আজ তো গুম হবে না। - না জান তুমি এখন গুমিয়ে পর...... - আমি ও গুমাই। সকালে স্যার আর কাছে আসবে তো?? তুমি তো ভালো ছাত্র বিত্তি পাবে। তাই কাল বিকেলে তোমার গিফট থাকবে আমার কাছে। - বিত্তি তো না ও পাইতে পারি। যদি না পাই তাইলে। - তুমি তো পাইবেই। আমি পাব না। - তুমি ও পাইবা। -ওকে গুড নাইট। .................................... সকালে সবাই খুব ভয়ে আছে। শুভর মনে খুব আনন্দ হচ্ছে। at last সকাল ৯ টাই result আসল। মিতু, আকাশ, শুভ সহ ১৫ জন বিত্তি পাইল। রাজা ও ভালই result করলো। পরা শেষ বাইরে হটাত বেশ ঝামেলা হচ্ছে। রিমন কিছু ছেলে নিয়ে এসেছে রাজা ও বেশ কিছু ছেলে এনেছে। মিতু বের হউয়া মাত্র রাজা আকাশ লিজু মিতু কে ডেকে গিজ্ঞেস করলো তুমি কাকে ভালোবাসো রিমন কে নাকি শুভ কে?? শুভ চিল্লায়ে বলল তোরা কি করছিস এইগুলা?? আকাশ- তুই কিছু জানিস না কথা বলিস না। রাজা- এখানে দারিয়ে থাক কথা বলিস না

লিজু- মিতু বল। তোমার এই কথার উপর অনেক কিছু নিরভর করছে।

মিতু- রিমন আমার অনেক ভালো বন্ধু। রিমন- কি বলছ এইগুলা?? ৩ বসর ধরে কথা তোমার সাথে কথা বলি মিতু- তুমি আব্বুর বন্ধুর ছেলে তাই কথা বলতাম আর বলব না। রাজা- আর শুভ?? মিতু- আমাকে এই সব জিজ্ঞেস করলে তমার আব্বু কে বলে দিব। আমাকে এই ভাবে disturb করবে না ok by……… all মিতু চলে গেলো রাজা আকাশ সব কিছু শুভ কে বলল। আকাশ বলল যদি মিতু তোকে ভালবাশ্ত তাইলে আজ বলে দিত ও তোকে love করে না তোর সাথে game খেলছে শুভ মিতুর সাথে আর কথা বলে না। ফোন ও ধরে না। ৩ দিন পর মিতুর সাথে শুভর দেখা মিতু- তুমি এমন করস ক্যান?? তুমি আমাকে চাউ নাকি তোমার ওই বন্ধু দের চাউ??? শুভ- বন্ধু দের। ওদের জন্যই তো তোমার সাথে আমি এতো দূর মিতু- ok ওদের নিয়েই থাক। bye………………..