বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম

সম্পাদনা

রুটিরুজি ডট কম

সম্পাদনা

রুটিরুজি কি? রুটিরুজি হচ্ছে চাকরি খোঁজার এক সহজ বন্ধু। রুটিরুজির মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার নিজের প্রোফাইল/CV তৈরি করে ফেলতে পারবেন। আপনার কাছে সরাসরি পৌঁছে যাবে আপনার পছন্দের চাকরির খবর। এক ক্লিকেই সরাসরি আবেদন করতে পারবেন পছন্দের চাকরিতে। চাকরির খবর ছাড়া আপনি নিজেকে তৈরি করার পরামর্শ, এবং চাকরিতে আরও ভালো করার টিপস্ - সবই পাবেন রুটিরুজি তে।

যোগ ব্যায়াম কাকে বলে? ব্যায়ামের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলি কি কি?

সম্পাদনা

ভুমিকাঃ-

সবাই চাই সুস্থ শরীর সুস্থ মন এবং কর্মময় জীবন। অসুস্থ শরীর ও মন নিয়ে কর্মময় জীবনে প্রবেশ করা  কঠিন হয়ে পড়ে, তাই সবারই জীবনে সুস্থ এবং সবল থাকা কর্তব্য, কর্মময় জীবনে ফিটনেস তথা শরীরিক মাপজোক এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই প্রতিনিয়ত ভালো খাবার দাবারের সাথে সাথে শারীরিক ক্ষমতা বাড়ার জন্য যোগ ব্যায়াম অথবা জিম করা জরুরি। কিন্তু বর্তমান কালের শারীরিক দিক দিয়ে মন দেওয়ার মতো সময় মানুষের কাছে নেই বললেই চলে। দীর্ঘ সময় অফিসে কিংবা কম্পিউটারের সামনে বসে মানুষ কাজ করে অথবা সন্ধ্যার পরে দীর্ঘ সময় সিরিয়াল দেখা কিংবা টিভি দেখে  সময় অতিক্রম করে, ফলে শারীরিক দিক দিয়ে মানুষ ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে এবং সময়ের সাথে সাথে শারীরিক অক্ষমতা যেমন ব্যাথা থেকে শুরু করে মাথা ধরা প্রভৃতি  অনেক রোগে ভোগে মানুষ। যাই হোক না কেন সব সমস্যার সমাধান সমাধান আছে তেমনি এই সমস্যার সমাধান আছে। আপনার যদি দীর্ঘ সময় জিমে যাওয়ার সময় না থাকে কিংবা অন্য কোন জায়গায় যেমন মাঠে-ঘাটে খেলার মতো সময় না থাকে তবে আপনি ঘরে বসেই আপনার শারীরিক এ মানে সুস্থ মন এবং সুস্থ শরীর করার জন্য নিজেকে তৈরি করতে পারেন ঘরে বসে।

একটি যন্ত্র যেমন দীর্ঘদিন পরে থাকলে অনেক রোগ হবে তেমনি আমাদের শরীরে দীর্ঘদিন পরে থাকলে অনেক রোগ আমাদের শরীরকে ঘিরে ধরে। প্রাচীন ভারতে এর সমাধান করে গেছেন মুনি-ঋষিরা তাদের কথামতো "শরীরমাদ্যং খলু ধর্ম সমাধানম"। তারা তাদের যোগ ব্যায়াম নামে এক প্রথা আবিষ্কার করেন যা মানুষের শরীরকে এক অন্যমাত্রা নিয়ে যেতে সাহায্য করে। এই পদ্ধতিতে আপনি ঘরে বসে এবং অল্প সময় ব্যয় করে আপনার শরীরকে যথাসাধ্য ব্যায়াম করে শরীরকে এক আরামদায়ক মাত্রায় নিয়ে যেতে পারেন।

ব্যায়াম বলতে অনেকেই মনে করেন যে বাড়ি কোন জিনিস পত্র কিংবা ইত্যাদি ইত্যাদি দৌড়ঝাঁপ করা ইত্যাদি কে বোঝায়। কিন্তু  এর বাইরে আরো অনেক ভাবে শরীরকে ভালো রাখা যায় এবং শরীরকে রোগমুক্ত করা যায়। তারা কিছু পন্থা অবলম্বন করেন এবং এর নাম দেন "যোগব্যায়াম"। এইযোগ ব্যায়াম  আপনি ঘরে বসে করতে পারেন এবং অল্প সময়ের জন্য আপনি আপনার শরীরকে ভালো পর্যায়ে নিজেকে পারেন এবং শরীরের প্রত্যেকটি অংশে প্রত্যেকটা জয়েন্টে আপনি আপনার  ঔষধ লাগার মতো কাজ করতে পারেন এই যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে।
এই প্রক্রিয়ায় যেমন আপনার শরীরে বেশি পরিমাণে খাবার দরকার হবে না তেমনি আপনি অল্প পরিশ্রমে বেশি ফল পাবেন। আমাদের মতো দেশে পিছিয়ে পড়া পৃথিবীর অন্য দেশ গুলি কেমন প্রকৃতির লোক মারে অপুষ্টিতে থাকে  অনেকেই কম বয়সে দেহ ত্যাগ করে। এই সমস্ত পিছিয়ে পড়া দেশ এবং জাতির জন্য যোগব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রক্রিয়ায় একদিকে যেমন সময় এর মাত্রা ঠিক হয় অন্যদিকে তেমনি খাওয়া খাদ্যের মাত্রাও ঠিক রাখা যায় এবং কম সময়ের মধ্যে ভালো ফল লাভ করা যায় তাই এই পিছিয়ে পরা দেশ গুলিতে যোগ ব্যায়াম করা প্রত্যেকটা মানুষের বর্তমানে কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।


যোগ ব্যায়ামের উপকারিতা গুলি হল:-
যোগ ব্যায়ামের অল্প সময়ের মধ্যে  সারা শরীরের  পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি ক্ষয় করা যায়। বলে খুব কম সময়ের মধ্যে সারা শরীরকে একটা নতুন রূপে নিয়ে যাওয়া যায়। খুব কম সময় এবং হালকা হালকা শারীরিক অঙ্গভঙ্গি করার মাধ্যমে শরীরকে আরামদায়ক করে তোলা যায়। মনের সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়  যায় এবং শরীরের আরামদায়ক রূপে ফিরে আসে,  যার ফলে চলে আবার নতুন নতুন ফিরে আসে আবার নতুন  কর্ম ক্ষমতা ফিরে আসে এবং শরীর নতুন ভাবে কাজ করতে সাহস পায় ও বল পায়।  কিছু যোগ আসনের নাম বলালে বলা হয় যেমন প্রণাম, শীর্ষাসন, চক্রাসন, শবাসন  ইত্যাদির মতো অনেক আসন এর দ্বারা আমরা নিজেকে সুস্থ ও সবল রাখতে পারি। এর ফলে যেমন সময় বাচে তেমনি দেহ সুস্থ সবল হয় এবং সুঠাম হয়ে ওঠে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া যদি আমরা কোন জিমে গিয়ে করি তাহলে অনেক সময় এবং অনেক পরিশ্রমের দরকার হয় এবং এরফল প্রায় একই।

বিভিন্ন ব্যায়ামের উপকারিতা ও অপকারিতা সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো ঃ-

১. সূর্য নমস্কারঃ- এই ব্যায়ামে প্রচুর পরিমাণ পরিশ্রম হয় বলে এই ব্যায়ামের সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘাম বাইরে বেরিয়ে যায় ফলে শরীর সুস্থ থাকে এবং রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। এই ব্যায়ামের ফলে শরীরে ফুসফুস এবং মস্তিষ্কের উপর পুরো চাপ পড়ে বলে ফুসফুসের এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সকালে সূর্য যখন উঠে তখন যদি আপনি সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকেন কিছু সময় এবং এই ব্যায়াম করেন তো আপনার চোখের জন্য বড় উপকার হবে। ২. হলাসনঃ-

আপনার শরীরের থাইরয়েড গ্রন্থির  উপর প্রচুর চাপ পরে এই ব্যায়ামের ফলে  আপনার থাইরয়েড গ্রন্থি পুরো সবল হয়। এই ব্যায়ামে পিঠের চামড়ার উপরে চাপ পড়ে ফলে আপনার পিঠের চামড়া তথা শিরা-উপশিরায় রক্ত চলাচল ভালো হয়। আপনি প্রতিদিন এই ব্যায়াম 30 থেকে 40 সেকেন্ড করে 2-3 বার করতে পারেন সকালে এবং সন্ধ্যার দিকে।

৩. চক্রাসনঃ-

এই ব্যায়ামে আপনার শরীরকে উল্টো দিকে ভাঁজ করে রাখার  কারণে আপনার পিঠের চামড়া এবং পেটের চামড়ার দিকে প্রচুর পরিমাণে চাপ পড়ে এই ব্যায়াম আপনার পিঠে এবং পেটের পেশী সংকোচন প্রসারণ করতে সাহায্য করে  যা আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এই ব্যায়াম যদি আপনি নিয়মিত  করেন তাহলে আপনার পেট ও বুক এবং গলার মাংস পেশীর উপর নিয়মিতভাবে  চাপ পড়বে এবং সংকোচন ও প্রসারণ হবে বলে আপনার শরীরে প্রচুর উপকার হবে। আপনি এই ভাবে  সকাল এবং সন্ধায় তিন চার বার করতে পারেন ঘরে বসে অথবা নিজের বিছানায়।

৪.শীর্ষাসন অন্য ব্যায়ামে মতো এইগুলো অনেক উপকারিতা আছে। এই ব্যায়ামে মাথা এবং ঘাড়ের উপর প্রচুর চাপ পড়ে এবং সমগ্র শরীর মাথা এবং ঘাড়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকে তাই এইভাবে ঘাড়ের মাংসপেশি এবং মাথার শিরা-উপশিরার উপর প্রচুর উপকারিতা হয়। এই ব্যায়ামের সময় সমগ্র শরীর টি আমরা উল্টো দিকে মুখ করে রাখে তথা পা উপরে এবং মাথা মাঠের দিকে হয় ফলে শরীরের ভেতর ফুসফুস, লিভার ইত্যাদির খুব উপকার হয় এই ব্যায়ামে।

উপরের দেওয়া আসনগুলি ছারাও আরও অনেক আসন আছে যেগুলোর  কিছু নাম নিচে লেখা হলোঃ-
ভুজঙ্গআসন, ধনুরাসন, ময়ূরাসন,  বজ্রাসন, সিংহাসন, উষ্ট্রাসন, গোমুখাসন, ভদ্রাসন, মৎস্যাসন, বৃক্ষাসন,  নৌকাসন, অর্ধচন্দ্রাসন, চান্দ্র আসন,   পর্বত আসন,  সর্বাঙ্গাসন, ইত্যাদি ইত্যাদি।


উপরে শুধু মাত্র কয়েকটি যোগ ব্যায়াম নিয়ে আলোচনা করা হলো এবং তা খুবই সংক্ষেপে এরপরে  আরো অনেক যোগ ব্যায়াম আছে যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে এরপরের পোস্টে।
প্রতিটি মানুষের জীবন যোগ ব্যায়াম করা জরুরী তেমনি প্রতিটি ছাত্র ছাত্রী বাচ্চা মানুষ যুবক মানুষ প্রতিদিন যোগদান করা অত্যন্ত জরুরি কেননা শরীর গঠন ভালো করে করতে যোগ ব্যায়াম করা খুবই জরুরী। আপনি যদি যোগ ব্যায়াম না করে থাকেন তবুও আপনাকে  খেলাধুলা করতেই হবে। খেলাধুলা ছাত্র জীবনে একটা অপরিহার্য অঙ্গ শুধু ছাত্রজীবনে না এটা শুধু মানুষের জীবন তথা সমগ্র মানুষের  সুস্থ সবল থাকার জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।

উপসংহারঃ-

এই পোস্টে শুধু আমি ভূমিকা তথা ইন্ট্রোডাকশন করলাম যোগ ব্যায়াম নিয়ে। এরপরে পোস্টগুলোতে আমি প্রত্যেকটা যোগ ব্যায়ামের উপকারিতা অপকারিতা এবং কতক্ষণ পর্যন্ত একটি করে যোগ ব্যায়াম করতে লাগে এবং কিভাবে করা লাগে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে দেব। নিচের লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করুন এবং জানুন প্রত্যেকটি যোগ ব্যায়াম এর সম্বন্ধে।  পরিশেষে একটি কথা না বললেই নয় আমাদের শরীরের যোগ ব্যায়াম অপরিহার্য অঙ্গ এটা কথা সত্যি যে বর্তমানকালে মাঠের অভাব ব্যায়াম করার জন্য যে খোলা মুক্ত হওয়া ইত্যাদি দরকার যে প্রভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে কলকারখানা ঘরবাড়ি ফলে আভাব হচ্ছে জায়গার।তার জন্য ঘরে বসে শুধু একটি বিছানা একটি মাদুরের উপর আপনি যোগ ব্যায়াম করে আপনার শরীরকে সুস্থ সফল করতে পারেন। তাই এই যোগ ব্যায়াম এক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এবং একটিমাত্র রাস্তা যা আপনি আপনার ঘরে বসেই অনায়াসে পালন করতে পারেন এবং নিজেকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে পারেন।

কোমর ব্যথার অনেক কারণ

সম্পাদনা

মানব শরীরের মেরুদন্ড (ব্যাক বোন) অনেক হাড় (কশেরুকা) দিয়ে তৈরি এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত থাকে। নীচের অংশকে (ল্যাম্বো স্যাকরাল রিজিওন) সাধারণত কোমর বা মাজা বলে। শতকরা ৯০ ভাগ লোক জীবনের কোন না কোন সময়ে কোমর ব্যথায় ভোগে। শতকরা ৫০ ভাগ লোক একের অধিকবার কোমর ব্যথায় ভোগে। দেখা যায় যে, কোমড় বা মাজা ব্যথার কোন সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায় না শতকরা ৮৫ ভাগ লোকের ক্ষেত্রে। কোমর ব্যথার কারণে প্রায়ই লোক কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকে। হাসপাতাল বা ডাক্তার চেম্বারে লোকদের যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো কোমর ব্যথা। স্বল্পমেয়াদি ব্যথা এক মাসের কম সময় থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রোনিক ব্যথা এক মাসের অধিক সময় থাকে। উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ৯০% রোগী দুই মাসের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। কোমর ব্যথার কারণ সমূহ : ১) পেশী, হাড়, জোড়া, লিগামেন্ট, জোড়ার আবরণ, ডিস্ক (দুই কশেরুকার মাঝ খানে থাকে) ও স্নায়ুর রোগ বা ইনজুরি। ২) বুক, পেট ও তল পেটের মধ্যকার বিভিন্ন অঙ্গের সমস্যার জন্য কোমর ব্যথা হয়। একে রেফার্ড পেইন বলে। ৩) হারনিয়াটেড ডিস্ক নার্ভকে ইরিটেশন করে। ২০ বৎসরের ঊর্ধ্বে এক-তৃতীয়াংশ লোকের হারনিয়াটেড ডিস্ক থাকে। ৩% লোকের নার্ভ ইরিটেশনের জন্য ব্যথা হয়। ৪) পেশাগত কারণে দীর্ঘক্ষণ বসার ভঙ্গিমা ঠিকমত না হলে। ৫) ছাত্রছাত্রীর চেয়ারে বসার ভঙ্গিমা ঠিকমত না হলে। ৬) ড্রাইভিং করার সময় সঠিকভাবে না বসলে। ৭) উপুড় হয়ে শুয়ে বই পড়লে। ৮) স্পোনডাইলোসিস (হাড়ের ক্ষয় ও বৃদ্ধি)। ৯) স্পোনডাইলোইটিস (হাড়ের প্রদাহ)। ১০) স্পোনডাইলিসথেসিস (কশেরুকার স্থানচ্যুতি)। ১১) স্পাইনাল ক্যানাল সরু হওয়া। ১২) হাড় ও তরুণাস্থির প্রদাহ এবং ক্ষয়। ১৩) হাড়ের ক্ষয় ও ভঙুরতা। ১৪) হাড় নরম ও বাঁকা হওয়া। ১৫) আর্থ্রাইটিস। ১৬) ফাইব্রোমায়ালজিয়া। ১৭) হঠাৎ করে হাঁচি, কাশি দিয়েছেন বা প্রস্রাব-পায়খানার জন্য স্ট্রেইন করেছেন। ১৮) সামনে ঝুঁকে বা পার্শ্বে কাত হয়ে কিছু তুলতে চেষ্টা করেছেন। ১৯) হাড়ের ইনফেকশন। ২০) ডিস্কাইটিস (ডিস্কের প্রদাহ)। ২১) হাড় ও স্নায়ুর টিউমার। ২২) যে কোন কারণে অতিরিক্ত চিন্তা গ্রস্ত হলে কোমর ব্যথা হয়। কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন : ১) সব সময় ধরে বা জমে (স্টিফনেস) আছে-এই ধরনের ব্যথা। ২) ভারী ওজন তোলা বা অতিরিক্ত কাজের পর তীক্ষ্ণ ব্যথা। ৩) ক্রোনিক বা দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা হলে। ৪) অনেকক্ষণ বসা বা দাঁড়ানো অবস্থায় ব্যথা হলে। ৫) কোমড় থেকে নিতম্ব, উরু, লেগ ও পায়ের আঙুল পর্যন্ত ব্যথা বিস্তৃত হলে। ৬) লেগ বা পায়ে দুর্বলতা বা অবশ অবশ ভাব এবং টিংগ্লিং সেনসেশন হলে। ৭) কোমর ব্যথা কয়েকদিনের মধ্যে না সারলে। ৮) রাতে বেশি ব্যাথা হলে বা ব্যাথার জন্য ঘুম ভেঙে গেলে। ৯) হাঁচি, কাশি দিলে বা সামনে ঝুঁকলে ব্যথা বেড়ে যায়। ১০) প্রস্রাব বা পায়খানার নিয়ন্ত্রন না থাকলে। ১১) কোমর ব্যথার সাথে প্রস্রাবে জ্বালা-পোড়া থাকলে বা দুর্গন্ধ প্রস্রাব হলে। ব্যথার সাথে জ্বর, ঘাম, শীত শীত ভাব বা শরীর কাঁপানো ইত্যাদি থাকলে। ১৩) শোয়া অবস্থায় বা শোয়া থেকে উঠার সময় ব্যথা হলে। ১৪) পায়ের গোড়ালি বা পায়ের পাতা দিয়ে হাঁটতে অসুবিধা হয়। ১৫) অনেকক্ষণ সোজা হয়ে দাঁড়ানো বা হাঁটা যায় না। ১৬) অন্য কোন অস্বাভাবিক সমস্যা দেখা দিলে। ল্যাবরেটরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা : কোমর ব্যথার চিকিৎসা প্রদানের পূর্বে, রোগের ইতিহাস জানতে হবে, রোগীর শারীরিক পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরি পরীক্ষা করতে হবে। ১) রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা। ২) প্রস্রাব পরীক্ষা। ৩) এক্স-রে। ৪) আলট্রাসনোগ্রাফি। ৫) এম, আর, আই। ৬) সি, টি, স্ক্যান। চিকিৎসা : কোমর ব্যথার চিকিৎসা প্রধানত এর কারণসমূহের ওপর নির্ভর করে। চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হলো (১) ব্যথা নিরাময় করা এবং (২) কোমরের নড়াচড়া স্বাভাবিক করা। ১) পূর্ণ বিশ্রাম দুই বা তিন দিন। দীর্ঘদিন বিশ্রাম নিলে ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায়। ২) তীব্র ব্যথা কমে গেলেও ওজন তোলা, মোচড়ানো (টুইসটিং) পজিশন, অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম ও সামনে ঝুঁকে কাজ করা বন্ধ করতে হবে। ৩) সঠিক উপায়ে বসার অভ্যাস করতে হবে এবং প্রয়োজনে ব্যাক সাপোর্ট ব্যবহার করতে হবে। ৪) হাঁটার সময়ে ব্যথা উঠলে বসতে হবে এবং ব্যথা কমলে হাঁটা শুরু করতে হবে। ৫) এন্টিইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ সেবন। ৬) গরম সেঁক যেমন গরম প্যাড, গরম পানির বোতল ও গরম পানির গোসল। ৭) ব্যায়াম-পেশী নমনীয় ও শক্তিশালী হওয়ার ব্যায়াম করতে হবে। ৮) ফিজিক্যাল থেরাপি-একোয়া থেরাপি, আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি ও ইলেকট্রিকেল স্টিমুলেশন। ৯) পেলভিক ট্র্যাকশন। ১০) কোমরে বিল্ট (ল্যাম্বো স্যাকরাল কোরসেট) ব্যবহার করা। ইনজেকশনে নিরাময় পদ্ধতি : ১) ইপিডুরাল স্টেরয়েড ইনজেকশন। ২)ফ্যাসেট জয়েন্ট ইনজেকশন। ৩) স্যাকরো-আইলিয়াক জয়েন্ট ইনজেকশন। ৪) কেমিকেল ডিস্কোলাইসিস। সার্জিকেল চিকিৎসা : কনজারভেটিভ বা মেডিকেল চিকিৎসায় ভালো না হলে, ব্যথা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকলে, স্নায়ু সমস্যা দেখা দিলে বা ক্রমান্বয়ে খারাপ হলে এবং প্রস্রাব বা পায়খানার নিয়ন্ত্রণ না থাকলে দ্রুত সার্জিকেল চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের সার্জিকেল চিকিৎসা কারণসমূহের ওপর নির্ভর করে। ডা. জি, এম, জাহাঙ্গীর হোসেন কনসালটেন্ট-হাড়, জোড়া, ট্রমা ও আর্থ্রোস্কোপিক সার্জারি ডিজিল্যাব মেডিকেল সার্ভিসেস, মিরপুর(ইনডোর স্টেডিয়ামের সামনে), ঢাকা। ইডেন মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল, ৭৫৩ সাতমসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা। ফোন : ০১৭৪৬৬০০৫৮২