আশরাফ আলী চারু ( মোঃ আশরাফ আলী ) ১৯৮২ ইং সালে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ৭নং ভেলুয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহি কাউনের চর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ।

তিনি একাধারে একজন শিক্ষক , সংগঠক এবং লেখক।

তিনি নব্বইয়ের দশক হতে ছড়া ও কবিতা লেখার মাধ্যমে সাহিত্য জগতে প্রবেশ করেন । পরে তার সাহিত্য চর্চার ব্যাপ্তি আরো বিস্তৃত হয়ে গান, নাটক, গল্প , প্রবন্ধ এবং উপন্যাস পর্যন্ত গড়ায়। তাঁর রচিত নাটকের বেশ কয়েকটি নাটক বিভিন্ন মঞ্চে মঞ্চস্থ হয় এবং দর্শকের মনে জায়গা করে নেয় ।

১৯৯৯ ইং সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'কাজল চোখের কান্না' প্রকাশ হয় । ২০০১ ইং সাল হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত জাতীয় দৈনিক সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিয়মিত তাঁর লেখা প্রকাশ হয়ে আসছে ।

'সাহিত্য ভুবন' কেন্দ্রীয় কমিটির এক অনুষ্ঠানে কবি কাজী রোজী কর্তৃক অনুপ্রাণিত হওয়ায় ২০১৮ ইং সালের অমর ২১শে বইমেলায় তাঁর "স্বপ্ন পশরা" কাব্যগ্রন্থ ও "টুনটুনির পাঠশালা" শিশু কিশোর গল্পগ্রন্থ প্রকাশ হয় এবং বই দুটি সমধিক পাঠক প্রিয়তা লাভ করে । এবংকি একই সালে "টুনটুনির পাঠশালা" গল্পগ্রন্থটি অসমীয়া ভাষায় অনূদিত হয়ে দেশের সীমানা অতিক্রম করে আসামের পাঠকদের হাতে পৌঁছায় ।

২০১৯ ইং সালের অমর একুশে বইমেলায় এ লেখকের বিখ্যাত উপন্যাস "নির্বাক জননী" প্রকাশ হয় । এছাড়াও এসময় বিভিন্ন যৌথ গ্রন্থে তাঁর বহু লেখা প্রকাশ হয় ।

২০২০ ইং সালে অমর একুশে বইমেলায় এ লেখকের দুটি গ্রন্থ প্রকাশ হয় যার একটি 'লালপুঁটি ব্যাঙমাসি' শিশুকিশোর গল্পগ্রন্থ ও অন্যটি 'মুখোশের মুখোশ' নামে কাব্যগ্রন্থ । সফল এ লেখকের ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে আরও দুটি গ্রন্থ প্রকাশ হয় যার একটি হলো 'ছড়ার দেশে পাখির বেশে' ছড়াগ্রন্থ ও অন্যটি 'অচিনপুরের গল্পের ঝুলি' নামক শিশুকিশোর গল্পগ্রন্থ।

২০২০ ইং সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ লেখকের একক মৌলিক গ্রন্থ নয়টি ও যৌথ গ্রন্থ ত্রিশটি এবং পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত লেখা হাজারের উপরে ।

গুণী এ লেখকের সম্পাদনায় প্রকাশ হয় 'অরুণিমা' সাহিত্যপত্র ( পিটি আই নেত্রকোনা- ২০১৫-১৬ শিক্ষা বর্ষ ),'মাধবী' সাহিত্যপত্র ( ২০০৩ ইং ),বিরহী কান্না-কবিতা পত্র (২০১০ ইং), কাশফুল ছন্দ পাতা (চলমান), অবকাশ সাহিত্য পাতা (চলমান),সাহিত্যাঙ্গন ডটকম ( চলমান ) এছাড়াও তিনি চারুধ্বনি সাহিত্য পত্রে সম্পাদনা নির্বাহী হিসেবে কাজ করেছেন ।

তিনি সাহিত্যাঙ্গন ডটকম ও মাহির প্রকাশন এর প্রতিষ্ঠাতা ।

তিনি শেরপুরের সাহিত্য সংগঠন চারুধ্বনি ছড়া পরিষদ এর প্রচার সম্পাদক ,কবি সংঘ বাংলাদেশের সদস্য, সাহিত্য ভুবন শেরপুর জেলা শাখার আহবায়ক, শেরপুর ছন্দমালা সাহিত্য পরিষদ এর এডমিন প্যানেলের সভাপতি,থিয়েটার উত্তরণের সম্মানিত সদস্য , গাঙচিল সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সাহিত্য পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি, বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছড়া পরিষদ এর নির্বাহী সদস্য, সাহিত্য ভুবন কেন্দ্রীয় কমিটি- ঢাকা এর সম্মানিত সদস্য , গাঙচিল সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি ঢাকার সম্মানিত সদস্য এবং সোস্যাইটি ফর ইকোনোমিক এন্ড ইমপ্লয়মেন্ট ডেভেলপম্যান্ট (সীড) এর সাধারণ সম্পাদক ।

তিনি ২০০৩ ইং সালে কামিল স্নাতকোত্তর,২০০৫ ইং সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমএসএস (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) স্নাতকোত্তর ও ২০১৬ ইং সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডিপ্লমা ইন প্রাইমারী এডুকেশন ডিগ্রী অর্জণ করেন।

তিনি বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৩তম বাঙ্গলা সাহিত্য সম্মেলনে কবি জসীম উদ্দীন কবিতা পদকে ভূষিত হোন। বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক রফিকুল হক দাদু ভাই এই পদক তাঁর হাতে তুলে দেন ।

২০১৯ ইং সালে তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস 'নির্বাক জননী'র জন্য তিনি সোনার বাংলা সাহিত্য পরিষদ ঢাকা কর্তৃক 'বীর মুক্তিযোদ্ধা ছায়েদুল ইসলাম গ্রন্থ স্মারক সম্মাননা লাভ করেন যা কবি মোজাম্মেল হক নিয়োগী, কবি ও ছড়াকার- আসলাম সানি, কবি - কাজী রোজী, কথা সাহিত্যিক জাকির হোসেন, কবি আলমগীর রেজা চৌধুরী ও কবি ও সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন তাঁর হাতে তুলে দেন ।

এছাড়াও তিনি আলোকিত শ্রীবরদী, আওয়ার শেরপুর সহ বিভিন্ন সামাজিক সাহিত্য সংগঠন হতে বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হোন।

42.0.4.248 দ্বারা ২ মাস আগে সর্বশেষ সম্পাদিত

বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম সম্পাদনা