ড. জান্নাত আরা হেনরী (জন্ম ১৩ অক্টোবর ১৯৭২) বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রাথী সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ আসন)

পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ মিঞা  এবং‌ মাতা বেগম জাহানারা হামিদ।


পেশায় রাজনীতিবিদ হলেও তার মূল পরিচয় রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী। বাবা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তাই ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত তিনি। পেয়েছেন অজস্র পুরস্কার। ১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতারে এবং ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশ টেলিভেশনে বিশেষ মানের রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত তিনি।


দেশের প্রায় সব টিভি চ্যানেলের পাশাপাশি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে জার্মান, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে মুগ্ধ করেছেন শ্রোতাদের। শুধু গান নয়, গানের প্রচার ও প্রসারেও রয়েছে তার ভূমিকা। একজন সংগঠক হিসেবেও কাজ করে চলেছেন তিনি। জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, সিরাজগঞ্জের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হেনরী। যুক্ত রয়েছেন উদীচী, জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও সিরাজগঞ্জ সাংস্কৃতিক ফোরামের সঙ্গেও।

আধুনিক শিক্ষার প্রসারে হেনরীর ভূমিকাঃ

জান্নাত আরা হেনরী সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজ, প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালে নলিছাপাড়া কাজিপুর রোড,সিরাজগঞ্জ।

বিভাগ সমূহঃ

ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনেস্ট্রেশন (বি,বি,এ) এবং কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সি,এস,ই)

সমাজ সেবিকা ড. জান্নাত আরা হেনরীঃ

হেনরী নিজের হাতেই সাজিয়েছেন তার ভূবন। গড়ে তুলেছেন দেশের  অন্যতম বৃহৎ বৃদ্ধাশ্রম হেনরী ভূবন।বৃদ্ধ বয়সে সহায় সম্বল হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন অনেক বাবা-মা তাদের আশ্রয় দিতে সিরাজগঞ্জের, রতনকান্ধি ইউনিয়নের  গজারিয়া গ্রামে স্বামি-স্ত্রী মিলে নির্মান করেছেন দেশের অন্যতম বৃহ এই বৃদ্ধাশ্রম হেনরী ভূবন।


বৃদ্ধ বয়সে অবহেলিত শতাধিক  বাবা-মায়ের উন্নত ও আধুনিক পরিবেশে বসবাসের জন্য স্বামী (প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম তালুকদার লাবু)- স্ত্রী মিলে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ বিঘা জায়গার উপর নির্মাণ করেছেন হেনরী ভূবন।এই বৃদ্ধাশ্রমে রয়েছে ৫৬ টি ঘর। থাকতে পারবেন ১১২ জন বৃদ্ধ বাবা মা ।

শেষ বয়সে যেন আধুনিক ‍সুবিধা ভোগ করতে পারেন  তার জন্য এই বৃদ্ধাশ্রমে রয়েছে লাইব্রেরি, সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে ঘোরাফেরার জন্য রয়েছে বাগান এবং মাঠ।চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষণিক থাকবে চিকিৎসক এবং নার্স ।

শেষ বয়সে বৃদ্ধ বাবা মায়ের পাশে দাঁড়ানোর স্বপ্ন থেকেই এই বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তোলা হয়েছে, ছোটবেলা থেকেই জান্নাত হেনরি এবং তার পরিবার তার স্বামী স্বপ্ন দেখতেন কিভাবে অসহায় মানুষের সেবা করা যায় তারই লক্ষ্যে এই বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করা।পাঁচ তলা ফাউন্ডেশন দেওয়া এই মুহূর্তে দুই তলা সম্পূর্ণ হয়েছে।

২০২৪ সালের ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে এটি উদ্বোধন করা হবে


নবজাতকের মৃত্যুহার রোধে হেনরীর ভূমিকাঃ

নবজাতকের মৃত্যুহার কমিয়ে আনার জন্য সিরাজগঞ্জের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে  ইউনিসেফ দ্বারা পরিচালিত স্ক্যানু ইউনিটিটি প্রকল্প শেষ হওয়ায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে জান্নাত আরা হেনরী শিশুমৃত্যু রোধে পুনরায়  এটি চালু করার ব্যবস্থা করেন এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট ‍সকল ব্যয়বার বহনের উদ্যোগ গ্রহন করেন।