*১ মার্চ: ১৯৭১ সালের ১ মার্চ ইয়াহিয়া খান ঢাকায় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের

৩ মার্চ ডাকা অধিবেশন স্থগিত করে। বাঙালি প্রতিবা জানিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে।

*২ মার্চ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন। কারফিউ জারি। মানুষজন কারফিউ ভেঙ্গে রাস্তায় নেমে

আসে। গুলিতে আহত হন শুধু ঢাকাতেই ৬৮ জন। শহিদ হন অনেক।

*৩ মার্চ : শহিদদের নিয়ে মিছিল। সারাদেশে কারফিউ ভঙ্গ। ১১৩ জন শহিদ।

*৪ মার্চ: শিল্পীদের বেতার-টিভি বর্জনের ঘোষণা। ৫ মার্চ । চট্টগ্রামে গুলিতে শহিদ হন ১৩৮ জন। ছাত্রলীগের সভায় ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদিত।

*৭ মার্চ : বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণ। টিক্কা খান গভর্নর নিযুক্ত।

*৯ মার্চ: মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর জনসভা। ১১ মার্চ : স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক ২৩ মার্চ প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা।

*১৪ মার্চ : শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন তার 'হেলাল ইমতিয়াজ খেতাব' বর্জনের ঘোষণা দেন। ১৫ মার্চ : প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ঢাকা আগমন।।

*১৬ মার্চ : বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ঢাকা আলোচনা শুরু। বিভিন্ন মিছিলে সামরিক বাহিনীর হামলা।

*১৯ মার্চ জয়দেবপুরে সামরিক বাহিনী এবং সাধারণ মানুষের সংঘর্ষ। জনতার ওপর গুলিবর্ষণের নির্দেশ। বাঙালি সৈনিকরা গুলি চালাতে অস্বীকার করে। দ্বিতীয় ঈস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এ সময় পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে ৩ জন শহিদ হন।

*২১ মার্চ : মওলানা ভাসানী এক জনসভায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে দেয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারই স্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক স্থির করবে। তিনি আরো বলেন, মুজিব যদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে তাহলে বিশ্বে সমস্ত স্বাধীনতা প্রিয় জাতি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি দিবে।

*২৩ মার্চ : পাকিস্তান দিবসে সারাদেশে কালো পতাকা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। বাজানো হয় জাতীয় সঙ্গীত

“আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি”। ২৫ মার্চ : ইয়াহিয়া খান, ভুট্টো ও পাকিস্তানি নীতি নির্ধারকদের গোপনে ঢাকা ত্যাগ।

*২৫ মার্চ মাঝ রাত অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা।

সংগৃহিতঃ স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র

★★মো মাহমুদুল আমিন