আমি আনিসুজ্জামান বাবলা। আমার নানা বাড়ি যাওয়ার রাস্তার দু’পাশে প্রচুর বাবলা গাছের সমারোহ। তাই নানা আদর করে নাম রাখছে বাবলা। তবে একাডেমিকসহ সকল সার্টিফিকেটে আমার নাম আনিসুজ্জামান। বাংলার আট-দশটা মানুষের মত আমারও জন্ম তারিখ দুইটা । আমার আসল জন্ম তারিখ ২৮ অক্টোবর ১৯৮৯। আর সার্টিফিকেটে ০১ জানুয়ারি ১৯৯২। আমার আসল জন্ম তারিখের একটা বিশেষত্ব আছে । একই দিনে জন্ম নেন বিল গেটস নামক এক বিরাট ধনী ব্যক্তি। তবে তার সাথে আমার আর্থিক অবস্থার যথেষ্ট বৈপরীত্য রয়েছে ।

আমার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা নেত্রকোনা শহরে । শিক্ষা জীবন শুরু হয় আদর্শ শিশু বিদ্যালয় নামক কিন্ডার গার্টেনে। তারপর ভর্তি হই আঞ্জুমান আদর্শ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং মাধ্যমিকের পাঠ সেখানেই শেষ করি । পরবর্তীতে বিদ্যা অর্জনের জন্য চলে আসি ময়মনসিংহ শহরে। ভর্তি হই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে এবং উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ সেখানেই শেষ করি । বিদ্যা অর্জন শেষ হতেই চায়না । তারপর ভর্তি হলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলোজিতে । এখানে বিদ্যা অর্জন করলাম চার বছর ব্যাপী । সে এক মহান বিদ্যা অর্জন। এই চার বছরের গল্প যদি বলা শুরু করি তাহলে আমার চার জনম শেষ হয়ে যাবে । তাই এই গল্প বাদ।

আর এখন চলছে জীবিকা অর্জনের পাঠ। জীবিকা অর্জনের জন্য এখন আমি কোড লিখি (প্রোগ্রামিং করি )। এই অ্যাপ-ট্যাপ বানাই আরকি। বাকী জীবন এই কাজ করেই জীবিকা অর্জনের ইচ্ছা আছে। মাঝে মাঝে বই পড়ার অভ্যাস আছে। প্রিয় লেখক ড্যান ব্রাউন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, হুমায়ুন আহমেদসহ আরও অনেকে। ইংরেজি বই পড়ার অপচেষ্টা অনেক বার করেছি। কিন্তু হয়না। বাংলা না হলে আসলে ঠিক জমেনা। আর মুভি দেখি প্রচুর। বাংলা, ইংরেজি , হিন্দি সবই দেখি। দাদাদের বাংলা সিনেমাগুলো একটু বেশী ভাল লাগে। তবে গুটি কয়েকটা ছাড়া দাদাদের হিন্দি সিনেমা গুলো খুব একটা ভাল লাগেনা । একসময় প্রচুর খেলাধূলা করেছি। কোন খেলাই বাদ পড়েনি । ক্রিকেট , ব্যাডমিন্টন একটু ভাল পারি। তবে আজকাল খুব একটা হয়ে ওঠেনা । কিন্তু খেলা দেখা হয় । আমি বরাবরই ক্রিকেট পাগলা। জীবনের আট ভাগের এক ভাগ ক্রিকেট খেলেই চলে গেছে। গান শোনার কঠিন বদভ্যাস হয়ে গেছে। প্রতিদিন ঘণ্টা খানেক গান না শুনলে ভাত হজম হয়না। নজরুল ভাই , লালনদা আর রবীদার গান একটু বেশী ভাল লাগে । প্রিয় শিল্পী মান্না দে । এই লোকটার প্রত্যেকটা গান মনে ধরে গেছে। তবে সব রকম গানই শুনি । কবি প্রতিভা নাই। কিন্তু মনে কবি কবি ভাব আছে। তাই কবিতা লিখতে না পারলেও কবি কবি ভাব নিতে কার্পণ্য করিনা। একটু একটু দার্শনিক ভাব ও আছে। পরম করুণাময়ের দয়ায় বন্ধু-বান্ধবের অভাব নাই। বন্ধু-বান্ধবের নাম বলা শুরু করলে দিন এখানেই শেষ হয়ে যাবে ।