সংজ্ঞানাত্মক বিজ্ঞান
সংজ্ঞানাত্মক বিজ্ঞান (ইংরেজি: Cognitive science) হচ্ছে মন, মস্তিষ্ক ও বুদ্ধি (intelligence) সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণা। এই গবেষণা ক্ষেত্রের সাথে অনেকগুলি জ্ঞানের শাখা যেমন - মনোবিজ্ঞান, স্নায়ুবিজ্ঞান, ভাষাবিজ্ঞান, দর্শন, কম্পিউটার বিজ্ঞান, নৃতত্ত্ব, জীববিজ্ঞান, ইত্যাদি জড়িত।
সংজ্ঞানাত্মক বিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়সমূহ
সম্পাদনাসংজ্ঞানাত্মক বিজ্ঞান একটি বিস্তৃত গবেষণাক্ষেত্র, যাতে সংজ্ঞান (cognition) সংক্রান্ত সকল বিষয় আলোচিত হয়। সংজ্ঞানাত্মক বিজ্ঞানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নসমূহ হলো: বুদ্ধি কি? পরিগণনামূলক পদ্ধতিতে (computationally) বুদ্ধির প্রতিরূপ (model) কীভাবে তৈরি করা সম্ভব বা আদৌ সম্ভব কি না?
নিচে সংজ্ঞানাত্মক বিজ্ঞানের মূল আলোচ্য বিষয়সমূহ দেয়া হলো।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
সম্পাদনাকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) দ্বারা কম্পিউটারে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য প্রদানের চেষ্টা করা হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে বুদ্ধিকে কম্পিউটার মডেল (Computer model) দ্বারা ছদ্মায়নের (simulation) প্রচেষ্টা সংজ্ঞানাত্মক বিজ্ঞানের একটি অন্যতম গবেষণামূলক লক্ষ্য।
ভাষা প্রক্রিয়াজাতকরণ
সম্পাদনামস্তিষ্ক কীভাবে শোনা বা পড়া বাক্য বা ভাষাকে বোঝার মত উপযোগী করে প্রক্রিয়া করে, সংজ্ঞানাত্মক বিজ্ঞানের জন্য এর উত্তর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রশ্নসমূহ হলো: (১) ভাষাগত জ্ঞান কতখানি সহজাত আর কতখানি শিক্ষালব্ধ?, (২) শিশু-অবস্থায় মানুষ যতটা সহজে তার প্রথম ভাষা শিখতে পারে, প্রাপ্তবয়স্ক-অবস্থায় দ্বিতীয় ভাষা শেখাটা তার চেয়ে অনেক কঠিন হয় কেনো? (৩) মানুষ কি করে আগে শোনেনি এমন কোন বাক্য শুনে বুঝতে সক্ষম হয়?
শিক্ষা ও বিকাশ
সম্পাদনাশিক্ষা (learning) ও বিকাশ (development) হচ্ছে সময়ের সাথে জ্ঞান ও তথ্য আহরণের প্রক্রিয়া। বুদ্ধির বিকাশ কতটা সহজাত আর কতটা শিক্ষালব্ধ, সংজ্ঞানাত্মক বিজ্ঞানে এটি একটি প্রধান জিজ্ঞাস্য। প্রায় প্রতিটি বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণের পেছনে জিনগত ও আহরিত জ্ঞান, উভয়ের প্রভাব বিদ্যমান।