বেআইনী সমাবেশ (ইংরেজি: Unlawful assembly) হল একটি আইনের পরিভাষা যার মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে গোলযোগ করার উদ্দেশ্যে কিছু লোকদের একত্রিত হওয়াকে বুঝানো হয়ে থাকে। এই দলটি যদি সহিংসতা বা অস্থিতিশীল অবস্থার সূচনা করে, তবে এটিকে দাঙ্গা বলা হয়।

বাংলাদেশের আইন সম্পাদনা

দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৪১ ধারায় বেআইনী সমাবেশের সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয় ৫ বা ততোধিক সংখ্যক ব্যক্তির সমাবেশের সাধারণ উদ্দেশ্য যদি হয় বলপ্রয়োগ করে সরকারী কাজে বা আইন প্রয়োগে বাধা দেয়া অথবা কোন অপরাধ সংঘটিত করা, তাহলে তা একটি বেআইনী সমাবেশ।[১] বেআইনী সমাবেশে অংশগ্রহণের শাস্তি সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদন্ড ও জরিমানা।[২][৩] ফৌজদারী কার্যবিধির ১২৭ ধারার ক্ষমতাবলে কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একটি বেআইনী সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ হওয়ার আদেশ দিতে পারেন। আদেশ দেয়ার পরও সমাবেশটি ছত্রভঙ্গ না হলে ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনে বেসামরিক বা সামরিক বল প্রয়োগ করার মাধ্যমে তা ছত্রভঙ্গ করতে পারেন।[৪][৫]

ভারতের আইন সম্পাদনা

ভারতেও বাংলাদেশের মত ফৌজদারী কার্যবিধির একই ধারা মতে (১৪১ নং ধারা) একইরকম ভাবে বেআইনি জনতার সমাবেশের ব্যাখ্যা ও তার শর্তগুলি বিবৃত আছে। ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসারে ম্যাজিস্ট্রেট সেই সমাবেশ কে বেআইনি ঘোষণা করতে পারবেন বা ছত্রভঙ্গ করতে বলপ্রয়োগ করতে পারবেন।

কানাডার আইনে এই ধারা সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. [১] ধারা ১৪১, দন্ডবিধি ১৮৬০।
  2. [২] ধারা ১৪৪, দন্ডবিধি ১৮৬০।
  3. [৩] ধারা ১৪৫, দন্ডবিধি ১৮৬০।
  4. ধারা ১২৮, ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮।
  5. ধারা ১২৯, ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা