বুদ্ধাব্দ অথবা বুদ্ধনির্বাণাব্দ হল শাক্যমুনি বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ দিবস থেকে গণিত অব্দ। ৫৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে কুশীনগরে গৌতম বুদ্ধ পরিনির্বাণ (পালি: পরিনিব্বাণ) লাভ করেন। সেই বিশেষ দিন থেকেই ১ বুদ্ধাব্দের সূচনা ধরে নিয়ে প্রচলিত হয় "বুদ্ধাব্দ" বা বুদ্ধ অব্দ। প্রত্যেক বছর চান্দ্র বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে (যা "বুদ্ধপূর্ণিমা" নামে খ্যাত) আরম্ভ হয় এই অব্দ। এটি সম্পূর্ণ চন্দ্রাব্দ এবং এই অব্দের মাস এবং দিনাঙ্কের গণনাপদ্ধতি অপরাপর সকল ভারতীয় অব্দের মতোই প্রাচীন "সূর্যসিদ্ধান্ত" থেকে গৃহীত। ভারতীয় চন্দ্রাব্দ গণনাপদ্ধতি অনুসারে বুদ্ধাব্দেও মলমাস গণনার রীতি প্রচলিত আছে। এর ফলস্বরূপ বুদ্ধাব্দ চন্দ্রাব্দ হওয়াসত্ত্বেও সম্পূর্ণ ঋতুভিত্তিক।

থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ ক্যালেন্ডারের সংস্করণ

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার থাইল্যান্ডে একটি সৌর বর্ষপঞ্জি প্রচলিত আছে যা বুদ্ধাব্দ নামেই পরিচিত। এই অব্দটিও "সূর্যসিদ্ধান্ত" দ্বারা প্রভাবিত এবং এই অব্দে সূর্যসিদ্ধান্তের সৌরবর্ষ গণনার পদ্ধতিটি অনুসৃত হয়ে থাকে। সূর্যের একেকটি রাশিতে অবস্থানের উপর ভিত্তি করে একেকটি মাস গণনা করা হয়। ভারতে প্রচলিত বঙ্গাব্দে এবং প্রাচীন শকাব্দেও অনুরূপভাবেই গণনা করা হয় মাস এবং দিনাঙ্ক। এই অব্দে একেকটি মাসের নামকরণ হয়েছে সৌরমণ্ডলে অবস্থিত একেকটি রাশির সংস্কৃত নামানুসারে।