আলাপ:আগির্‌রে, দ্যা রথ অব গড

সাম্প্রতিক মন্তব্য: Zaheen কর্তৃক ১৫ বছর পূর্বে "বানান" অনুচ্ছেদে

বানান

সম্পাদনা

এটাকে তসর্ন লিখলে খুব সমস্যা হতো? খন্ড-ত দিয়ে শুরু করা শব্দের পাশে উচ্চারণ গাইড দেয়া না থাকলে যে কোনো বাংলাভাষীর পক্ষে তা উচ্চারণ করা সম্ভব হবে না। সবাই ভাষাবিদ না, আর "তসর্ন" বা "ত্বসর্ন" লিখলে মূল উচ্চারণ থেকে খুব বেশি দূরে সরে যেতে হতো না। বাংলা ভাষার কোনো শব্দের শুরুতে খন্ড-ত ব্যবহার করা হয় না, কাজেই কৃত্রিমভাবে প্রতিবর্ণীকরণ করা হলেও ৯৯% বাংলাভাষী সেই শব্দ উচ্চারণে হোঁচট খাবে, সেটা মনে রাখা উচিৎ। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৫:৩২, ১৮ ডিসেম্বর ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন

ৎ-টির উচ্চারণ আদৌ হবে কি? নাকি উচ্চারণটা 'সর্ন' হবে? রাগিব ভাই ঠিকই বলেছেন। এই জাতীয় বিদ্ঘুটে নামগুলোর বাংলায় উচ্চারণ গাইড রাখলে ভাল হয়। --অর্ণব দত্ত ০৬:২০, ১৮ ডিসেম্বর ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন
উচ্চারণ গাইড সম্পর্কে নাসিরুদ্দিন হোজ্জার গল্পটা মনে পড়ে যাচ্ছে, হোজ্জাকে একজন এসে বললো চিঠি লিখে দিতে। হোজ্জা বলে, পায়ে ব্যথা পেয়েছি, লিখতে পারবোনা। পায়ে ব্যথার সাথে চিঠি লেখার কী সম্পর্ক তা প্রশ্ন করলে হোজ্জা বললো, তার হাতের লেখা এতো বাজে যে, চিঠি পাঠালে তা পড়ে দেয়ার জন্য চিঠির সাথে তাকেও যেতে হবে। এখন লিখিত একটা বিশ্বকোষে ৎ দিয়ে শুরু করা শব্দ কীভাবে উচ্চারণ করতে হবে তা কীভাবে বোঝানো যায়? উদ্ভট বানান ব্যবহারের চাইতে কাছাকাছি জিনিষ দিয়ে প্রতিবর্ণীকরণ করাটাই দরকার। আরবী গাইন বর্ণটির উচ্চারণ যেমন বাংলা হরফে লেখা যাবেনা কোনোভাবেই, সেরকম জার্মান বিভিন্ন শব্দের উচ্চারণ জোর করে করার চেষ্টার জন্য অপ্রচলিত বানানরীতি ব্যবহারের প্রয়োজন নাই। ৎ উচ্চারিত যদি হয়, তাহলে "ত" দিলেই হয়। শুরুতে যদি জোর পড়ে, তাহলে "ত্ব" দেয়া যেতে পারে। কিন্তু তার বদলে ৎ ব্যবহার করলে শব্দটি পড়ে দেয়ার জন্য কাউকে উইকিতে বসে থাকতে হবে :) --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৭:৪৩, ১৮ ডিসেম্বর ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন
জার্মান z সবসময় ৎস-ই উচ্চারিত হয়। বাংলাতেও হরহামেশা তা-ই লেখা হয়। যেমন জার্মান শব্দ Nazi-কে আমরা "নাজি" বা "নাসি" বা "নাতসি" লিখি না ("নাত্বসি" লেখার তো প্রশ্নই আসে না), লিখি "নাৎসি"। খণ্ড-ত অর্থাৎ ৎ-এর উচ্চারণ কী হবে তা নিয়ে একজন শিক্ষিত বাঙালির কোন সমস্যা হবার তো কথা না। এটা আর দশটা ব্যঞ্জনবর্ণের মতই একটা বাংলা বর্ণ, যার উচ্চারণ হয় ত-এ হসন্ত (নাম খণ্ড ত থেকেই সেটা বোঝা যাচ্ছে)। প্রাথমিক বিদ্যালয়েও ৎ-এর বানান সেভাবেই শেখানো হয়। এটা নিয়ে আগেও লিখেছি। বাংলায় কোন শব্দের শুরুতে ৎ বসতে পারবে না, এরকম কোন নিয়ম কোথাও লেখা নেই। ৎস শুরুতে ব্যবহারের বাস্তব নিদর্শনও আছে। বাংলা বিশ্বকোষে জার্মান z দিয়ে শুরু সব শব্দ "ৎস" দিয়েই বাংলাতে প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়েছে, কেননা যেসব পণ্ডিত ব্যক্তি বিশ্বকোষটা লিখেছিলেন, তাদের মতেও এটাই সবচেয়ে স্বাভাবিক ও শুদ্ধ প্রতিবর্ণীকরণ। প্রতিবর্ণীকরণের একটা উদ্দেশ্য থাকে এমনভাবে সেটা করা যাতে পাঠক নিজ ভাষার বর্ণ ব্যবহার যতটা সম্ভব বিদেশী শব্দের উচ্চারণটা ধরতে পারেন। নইলে তো যা খুশি একটা লিখে দিলেই হয়। ব্লগে বা সংবাদপত্রে সেটা হতেও পারে। কিন্তু এরকম আমার মতে বিশ্বকোষের মত একটা authoritative রেফারেন্সে মোটেও কাম্য নয়।
রাগিব একটা জিনিস অবশ্য ঠিক বলেছেন, প্রতিবর্ণীকরণের গাইডটা সাথে সাথে দিয়ে দিলে এই সব সমস্যা আরও কমে যেত। এ পর্যন্ত আমি অনেক বিদেশী নামের সাথেই গাইডের জন্য corresponding ভাষার প্রতিবর্ণীকরণের লিংকটা দিয়ে দিয়েছি। এখানেও তাই করে দিচ্ছি। তাহলে লোকে যখন নামটা পড়বে, ঠিক পাশেই জার্মান নামের প্রতিবর্ণীকরণ গাইডে যাবার লিংক পেয়ে যাবে। এতে করে পাঠকের বুঝতে সুবিধা হবে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৮:৩৮, ১৮ ডিসেম্বর ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন
"আগির্‌রে, দ্যা রথ অব গড" পাতায় ফেরত যান।