সিদি বেল্লাসেন মসজিদ
সিদি বেল্লাসেন মসজিদ (আরবি: مسجد سيدي بلحسن) হচ্ছে আলজেরিয়ার তলেমসেন শহরের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এই মসজিদটি তলেমসেনের বড় মসজিদের পাশের দক্ষিণ-পূর্ব স্কয়ারে অবস্থিত। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সিদি বেল্লাসেন মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
জেলা | তলেমসেন |
প্রদেশ | তলেমসেন |
যাজকীয় বা সাংগঠনিক অবস্থা | মসজিদ |
অবস্থান | |
অবস্থান | তলেমসেন আলজেরিয়া, |
পৌরসভা | তলেমসেন |
স্থানাঙ্ক | ৩৪°৫২′৫৯″ উত্তর ১°১৮′৪১″ পশ্চিম / ৩৪.৮৮২৯২১° উত্তর ১.৩১১২৯৭১° পশ্চিম |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
মিনার | ১ |
ইতিহাস সম্পাদনা
জায়েনিদ শাসনামলে ১২৯৬ সালে আমির আবি ইব্রাহিম ইবনে ইয়াহিয়া মসজিদটি নির্মান করেন। মসজিদের নামাজের কক্ষের পশ্চিম দিকের দেয়ালের তক্তায় এবং মিহরাবের শীর্ষে জিপসাম দিয়ে তৈরি দুটি গ্রোভের উপর মসজিদের নির্মাণ কাল এবং নির্মাতার নাম খোদাই করা আছে।
মসজিদের বর্তমান নামটি স্থানীয় কাজী ও উলামা আবী আল-হাসান এর নাম থেকে উদ্ভূত হয়েছে বলে বিবেচিত হয়। তিনি তৎকালীন সুলতান আবু সায়ীদ উসমানের (১২৮৩-১৩০৩) অধীনে কাজ করতেন।
স্থাপত্য সম্পাদনা
একই যুগের অন্যান্য মসজিদের তুলনায় মসজিদটির তুলনামূলক পরিমিত চেহারা রয়েছে। মসজিদে কোনও সাহান নেই এবং মেঝে এবং কিবলা প্রাচীরের জন্য একই রকম টাইল ব্যবহার করা হয়েছে। এর সিলিংটি পরস্পর একসাথে লাগানো সিডার গাছের কাঠ দ্বারা নির্মিত। এই ধরনের স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত আলজেরিয়ার মসজিদ গুলোর মধ্যে এটিই সর্বপ্রথম; যা আন্দালুসিয়ার মুরিশ স্থাপত্যে শৈলীর তিন বা চার শতাব্দীর পূর্বাভাস দেয়।
আরও দেখুন সম্পাদনা
চিত্রশালা সম্পাদনা
-
মসজিদটির মুকারনাস
-
মসজিদটির মিহরাব
-
মসজিদটির প্রবেশদ্বার
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- Bourouiba, R., L’art religieux musulman en Algérie, Alger : S.N.E.D., 1981, p. 108-129.
- Bourouiba, A., Apports de l'Algérie à l'architecture arabo-islamique, Alger : S.N.E.D., 1986. Basset, H. ; Terrasse, H., « Sanctuaires et Forteresses almohades », in Hespéris, V, Paris : 1932.
- Marçais, G., L'architecture musulmane d'Occident, Tunisie, Algérie, Maroc, Espagne et Sicile, Paris : Arts et métiers graphiques, 1954.
- Marçais, G., Tlemcen, Paris : H. Laurens, « Les villes d'art célèbres », 1950.
- Marçais, G., Les monuments arabes de Tlemcen, Paris : Fontemoing, 1905.