ভেনেজুয়েলায় ইসলাম

ধারণা করা হয়ে থাকে, ভেনেজুয়েলায় এক লক্ষ মুসলমান বাস করে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ০.৪%।[১] দেশটির মুসলমানদের অধিকাংশই লেবানিজ, ফিলিস্তিনি, সিরীয় ও তুর্কি বংশোদ্ভূত।[২]

কারাকাসের শেখ ইব্রাহিম আল-ইব্রাহিম মসজিদ, যা দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ

দেশটির রাজধানী কারাকাসে প্রায় পনের হাজার মুসলমান বাস করে। রাজধানীর শেখ ইব্রাহিম আল-ইব্রাহিম মসজিদ মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ। মসজিদটি ইব্রাহিম বিন আব্দুল আজিজ আল-ইব্রাহিম ফাউন্ডেশনের অর্থ সহায়তায় গড়ে উঠেছিল এবং মসজিদটির স্থপতি ছিলেন অস্কার ব্রাচো। দেশটির অন্যান্য উল্লেখযোগ্য মসজিদ ও ইসলামি সংগঠনগুলো হল: 'ইসলা মার্গারিটা-কারিবে লা কম্যুনিদাদ ইসলামিকা ভেনেজোলানা', 'সেন্ট্রো ইসলামিকো ডি ভেনেজুয়েলা', মেজকুইটা আল রাউদা, অ্যাসোসিয়েশন অনারেবল মেজকুইটা ডি জেরুজালেন, সেন্ট্রো ইসলামিকো ডি মাইকুয়েতিয়া ও অ্যাসোসিয়েশন বেনেফিকা ইসলামিকা। ২০০৮ সালে দেশটির পুন্তো ফিজো শহরে একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল

দেশটির মার্গারিটা দ্বীপে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আরব মুসলমান বাস করে। সেখানকার আরব নারী মুসলমানরা সাধারণত হিজাব পড়ে কাজ করে থাকে। মুসলিম দোকানগুলোতে কুরআনের আয়াত লেখা থাকে। সেখানকার মুসলমানরা সাধারণত ব্যবসার সাথে সংযুক্ত।

২০০৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি প্রায় দুইশ বিক্ষোভকারী (অধিকাংশই মুসলমান) নবি মুহাম্মাদ এর নামে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের জন্য কারাকাসে অবস্থিত ডেনিশ দূতাবাস অভিমুখে যাত্রা করে এবং ডেনিশ ও মার্কিন পতাকা আগুনে পোড়ায়।[৩]

২০০৬ সালের ২০ জুলাই দেশটির রাজধানী কারাকাসে অবস্থিত ইসরাইলি দূতাবাস অভিমুখে একদল লোক লেবানন যুদ্ধের প্রতিবাদে মিছিল নিয়ে যায়, যাদের অধিকাংশই ছিল মুসলিম[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "International Religious Freedom Report 2007 - Venezuela"। ১৯ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৯ 
  2. Luxner, Larry. "Bowing to Mecca from Caracas". Americas, 1992, volume 44, issue 4, page 4
  3. Venezuelan Muslims protest cartoons, From correspondents in Caracas, The Australian, February 11, 2006
  4. Israeli embassy receives document supporting the peace in Lebanon and Palestine. From the Venezuelan Ministry of Communications and Information. Caracas, July 20, 2006