বক

পক্ষীশ্রেণীর একটি পরিবার

আর্ডেইডি গোত্রের অন্তর্গত লম্বা গলা, লম্বা পা বিশিষ্ট মিঠাপানির জলাশয় ও উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী মৎস্যভোজী একদল জলচর পাখিকে বক বলা হয়। পৃথিবীতে স্বীকৃত মোট ৬৪ প্রজাতির বক রয়েছে। এসব বকের কিছু প্রজাতি আকৃতিভেদে বগলা (Bittern) ও বগা (Egret) নামে পরিচিত। Botaurus এবং Ixobrychus গণের সদস্যরা বগলা নামে পরিচিত আর বগাদের শরীরে সাদার প্রাধান্য বেশি। সারা বিশ্বে বিভিন্ন প্রজাতির বকের বিস্তৃতি থাকলেও নিরক্ষীয়ক্রান্তীয় অঞ্চলে এদের বিস্তৃতি সবচেয়ে বেশি।[১] মরু ও মেরু অঞ্চলে বক অনুপস্থিত।

Herons
সময়গত পরিসীমা: নিম্ন ইয়োসিন-বর্তমান, ৫৫–০কোটি
দেশি কানিবক
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
উপশ্রেণী: Neornithes
অধঃশ্রেণী: Neognathae
মহাবর্গ: Neoaves
বর্গ: Pelecaniformes
পরিবার: Ardeidae
Leach, 1820
গণ

প্রায় ২১টি, নিবন্ধ দেখুন

বিভিন্ন প্রজাতির বকের সম্মিলিত বৈশ্বিক বিস্তৃতি
প্রতিশব্দ

Cochlearidae

মাছ শিকারে ব্যস্ত বক,স্থান:শখেরবাজার, কলকাতা

বক কমে যাওয়ার কারণ সম্পাদনা

বক কমে যাওয়ার প্রধান কারণ অবৈধ শিকার। বিলপাড়ের উঁচু গাছবিহীন স্থান ও বিস্তীর্ণ ধানি জমিতে বক ধরার ফাঁদ পাতে শিকারীরা। বক শিকারী সূত্রে জানা গেছে, অনেক মানুষ মনে করেন, বকের মাংস খেলে বাতসহ শরীরের বিভিন্ন ব্যথা দূর হয়। তাই অনেকে বক ধরার আগেই কেনার জন্য টাকা দেন। শিকারিরা ফাঁদ পেতে পোষা বক দিয়ে বক শিকার করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Heron"। Encyclopedia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৩