রবার্ট ব্রুস চেনি[ক] (ইংরেজি: Richard Bruce Cheney; জন্ম: ৩০ জানুয়ারি ১৯৪১) হলেন একজন মার্কিন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ক্ষমতাধর উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।[১][২] একই সাথে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সমর্থনপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদদের একজন, দপ্তর ত্যাগ করার সময় তার গ্রহণযোগ্যতার রেটিং ছিল ১৩%।[৩]

ডিক চেনি
Dick Cheney
৪৬তম মার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতি
কাজের মেয়াদ
২০ জানুয়ারি ২০০১ – ২০ জানুয়ারি ২০০৯
রাষ্ট্রপতিজর্জ ডব্লিউ. বুশ
পূর্বসূরীঅ্যাল গোর
উত্তরসূরীজো বাইডেন
১৭তম মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২১ মার্চ ১৯৮৯ – ২০ জানুয়ারি ১৯৯৩
রাষ্ট্রপতিজর্জ এইচ. ডব্লিউ. বুশ
ডেপুটিডোনাল্ড জে. অ্যাটউড জুনিয়র
পূর্বসূরীফ্রাঙ্ক কারলুচ্চি
উত্তরসূরীলেস অ্যাস্পিন
হাউজ মাইনরিটি হুইপ
কাজের মেয়াদ
৩ জানুয়ারি ১৯৮৯ – ২০ মার্চ ১৯৮৯
নেতারবার্ট এইচ. মিচেল
পূর্বসূরীট্রেন্ট লট
উত্তরসূরীনিউট গিংরিচ
হাউজ রিপ্রেজেন্টেটিভদের প্রধান
কাজের মেয়াদ
৪ জুন ১৯৮৭ – ৩ জানুয়ারি ১৯৮৯
নেতারবার্ট এইচ. মিচেল
পূর্বসূরীজ্যাক কেম্প
উত্তরসূরীজেরি লুইস
-নির্বাচিত সদস্য
ওয়াইয়োমিং অ্যাট লার্জ জেলা থেকে
কাজের মেয়াদ
৩ জানুয়ারি ১৯৭৯ – ২০ মার্চ ১৯৮৯
পূর্বসূরীটেনো রনকালিও
উত্তরসূরীক্রেইগ এল. টমাস
৭ম হোয়াইট হাউজের কর্মীদের প্রধান
কাজের মেয়াদ
২১ নভেম্বর ১৯৭৫ – ২০ জানুয়ারি ১৯৭৭
রাষ্ট্রপতিজেরাল্ড ফোর্ড
পূর্বসূরীডোনাল্ড রামসফেল্ড
উত্তরসূরীহ্যামিলটন জর্ডান (১৯৭৯)
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মরিচার্ড ব্রুস চেনি
(1941-01-30) ৩০ জানুয়ারি ১৯৪১ (বয়স ৮৩)
লিংকন, নেব্রাস্কা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক দলরিপাবলিকান
দাম্পত্য সঙ্গীলিন ভিনসেন্ট (বি. ১৯৬৪)
সন্তান
শিক্ষাইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়
উইসকনসিন–ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়াইয়োমিং বিশ্ববিদ্যালয় (বিএ, এমএ)
স্বাক্ষরCursive signature in ink

চেনি নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের লিংকন শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ওয়াইয়োমিং অঙ্গরাজ্যের ক্যাসপার শহরে বেড়ে ওঠেন।[৪] তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় ও পরে ওয়াইয়োমিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ওয়াইয়োমিং থেকে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর লাভ করেন। তিনি কংগ্রেসের উইলিয়াম এ. স্টেইগারের অন্তরীণ হিসেবে রাজনীতিক জীবন শুরু করেন এবং রিচার্ড নিক্সনজেরাল্ড ফোর্ড রাষ্ট্রপতিত্বকালীন তিনি হোয়াইট হাউজে কাজের সুযোগ পান। সেখানে তিনি ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত হোয়াইট হাউজের কর্মীদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৮ সালে চেনি ওয়াইয়োমিং কংগ্রেসনাল জেলার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত আরও পাঁচবার পুনর্নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে তিনি স্বল্পকালীন হাউজ মাইনরিটি হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। চেনিকে জর্জ এইচ. ডব্লিউ. বুশের রাষ্ট্রপতিত্বকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নিযুক্ত করা হয় এবং ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।[৫] প্রতিরক্ষা বিভাগে থাকাকালীন তিনি অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম-সহ অন্যান্য বিষয় তত্ত্বাবধান করেন। বিল ক্লিনটনের রাষ্ট্রপতিত্বকালীন তিনি ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত হ্যালিবার্টন কোম্পানির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

টীকা সম্পাদনা

  1. জীবনের শুরুতে চেনি নিজেই তার পারিবারিক নাম চিনি (/ˈni/ CHEE-nee) হিসেবে উচ্চারণ করতেন, তার পরিবার এই উচ্চারণটি ব্যবহার করত। পরবর্তী কালে তিনি নিজে চেনি (/ˈni/ CHAY-nee) উচ্চারণটি গ্রহণ করেন, যা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও জনগণ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে। দেখুন Cheney Holds News Briefing with Republican House Leaders, Aired on CNN December 5, 2000 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত মার্চ ৯, ২০১৬ তারিখে, The Cheney Government in Exile, ইউটিউবে Alliance for a Strong America Commercial, 2014

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Cheney: A VP With Unprecedented Power" (ইংরেজি ভাষায়)। এনপিআর। ১৫ জানুয়ারি ২০০৯। ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৯ 
  2. রেনল্ডস, পল (২৯ অক্টোবর ২০০৬)। "The most powerful vice-president ever?"বিবিসি নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। লন্ডন: ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন। নভেম্বর ২৯, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৯ 
  3. ফ্রিডার্সডর্ফ, কনর (৩০ আগস্ট ২০১১)। "Remembering Why Americans Loathe Dick Cheney"দি আটলান্টিক (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৯ 
  4. Cheney: The Untold Story of America's Most Powerful and Controversial Vice President, p. 11
  5. "Richard B. Cheney – George H.W. Bush Administration"Office of the Secretary of Defense – Historical Office। ১৪ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা