ইশতার সুপ্রাচীন মেসোপটেমিয়ায় সুমের আক্কাদ আসিরিয়া এবং ব্যাবিলনিয়া সভ্যতায় জন্ম হয়েছিল। ইশতার ছিলেন মেসোপটেমিয়ার ধর্মেরই একজন অন্যতম দেবী ।

ইশতার
প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার উর্বরা শক্তি, প্রেম, যুদ্ধ ও যৌনতার দেবী।
ব্যক্তিগত তথ্য
মাতাপিতাবাবা চন্দ্রদেব; মা আনতুম
সহোদরভাই: সূর্যদেব শামাশ ও বোন

বৈশিষ্ট্য সম্পাদনা

আদি পর্যায়ে ইশতার মূলত ছিলেন সেমেটিকভাষীদের দেবী । খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে সেমিটিকরা মেসোপটেমিয়ার সুমেরিয় সাম্রাজ্যে পৌঁছানোর পর সুমেরিয় সমাজ তাদের দেবী ইশতারকে গ্রহণ করেছিল। এর একটা মূল কারণ সুমেরিয় দেবী ইনানার সঙ্গে দেবী ইশতার-এর বিস্ময়কর সাদৃশ্য । যে কারণে ইশতার এর অন্য এক নাম ইনানা। এবং ইনানার উপকথা পরিনত হয় ইশতার-এর উপকথায়। ইশতার সুমেরিয় রাজধানী উরুক নগরে মহা সমারোহে পূজিত হতে থাকেন। পরে ইশতার ব্যাবিলনের অন্যতম দেবী তে উন্নীত হন ।

পরিচয় সম্পাদনা

দেবী ইশতার এর বাবা চন্দ্রদেব; মা আনতুম; ভাই: সূর্যদেব শামাশ ও বোন: পাতালের রানী ইরিশকিগাল। দেবী ইশতার এর বাহন সিংহ, দেবী সিংহের পিঠে চড়ে যুদ্ধ করতেন, হাতে থাকে ধনুক ও তূণ ভর্তি তীর। প্রতীক অস্টকোণ তারকা; গ্রহ: শুক্র এবং সংখ্যা পনেরো।

প্রাচীন জার্মান কবিতায় প্রাপ্ত ইশতার। প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার উর্বরা শক্তি, প্রেম, যুদ্ধ ও যৌনতার দেবী। ধর্মীয় উপকথার জগতেদেবী ইশতার-এর স্থানএতই গুরুত্বপূর্ণ যে-তার ধারণা থেকেই পরবর্তীকালে গ্রিক যৌনতার দেবী আফ্রোদিতি, রোমান সৌন্দর্যের দেবী ভেনাস, ফ্রিজিয়ার প্রকৃতি দেবী সিবিলিও ফিনিশিয়দের স্বর্গের রানী আসতারতে-এর উদ্ভব হয়েছিল । ব্যাবিলনিয় সাহিত্যে দেবী ইশতারকে ‘জগতের আলো’, ‘ন্যায়বিচারক’, ‘আইনদাতা’,‘দেবীদের দেবী’, ‘বিজয়ের দেবী’, ‘পাপের ক্ষমাকারী’ এবং ‘স্বর্গ ও মর্তের আলো’ প্রভৃতি অভিধায় অবহিত করা হয়েছে।

ইশতার কেন্দ্রিক সিনেমা সম্পাদনা

  • Blood Feast
  • Blood Diner
  • Blood Feast 2: All U Can Eat

ইশতার কেন্দ্রিক বই সম্পাদনা

  • Generation "П"
  • Endless (comics)

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা