নামাজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Abirahsan247 (আলোচনা | অবদান) ফরজ নামাজ ঈমানের পরই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত। তাই একত্রীকরণ করার দরকার নেই। |
Abirahsan247 (আলোচনা | অবদান) |
||
২৮ নং লাইন:
== শব্দতত্ত্ব ==
''সালাত'' বা ''সালাহ'' ({{lang-ar|
''নামাজ'' ({{Lang-fa|نماز}}) শব্দটি প্রাচীন ইরান বা পারস্যে প্রচলিত [[ইন্দো-ইরানীয়]] আদি [[আর্য]] ধাতুমূল ''নমস্'' ([[নমস্কার]]ও একই ধাতুমূল হতে উদ্ভূত) থেকে<ref>[https://en.m.wiktionary.org/wiki/%D9%86%D9%85%D8%A7%D8%B2#Persian ইংরেজি উইকিঅভিধানে نماز]</ref> ইসলাম পরবতী মধ্যযুগীয় পারস্য বা ইরানে ইসলাম ধর্মের প্রসারের ফলে নিকটবর্তী আরব উপদ্বীপের আরব্য উচ্চারণশৈলীতে বিবর্তিত ও রূপান্তরিত হয়ে [[ফার্সি ভাষা|ফার্সি]] ভাষায় প্রবেশকৃত একটি ইসলামী পারিভাষিক শব্দ যা ইসলামী সালাতকে বোঝাতেই মুসলিম ফার্সি সাহিত্যে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে, এবং কালক্রমে [[মুঘল সাম্রাজ্য|মোগল আমলে]] ব্যবহারক্রমে [[বাংলা ভাষা|বাংলা ভাষায়]] পরিগৃহীত হয়েছে। [[আরবি ভাষা|আরবি ভাষার]] ''সালাত'' শব্দের ({{lang-ar|صلاة}}, কুরআনিক আরবি:صلاة,) ফারসি প্রতিশব্দ নামাজ, যা প্রায় বিগত এক হাজার বছর ধরে ইরানি ও তুর্কি মুসলিম শাসক ও ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য ভাষার সাথে সাথে বাংলা ভাষাতেও ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। [[Turkic languages|তুর্কিক]] ও [[স্লাভীয় ভাষা]]তেও নামাজ শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
[[Lak language|লাক]] ও [[Avar language|আভার]] ভাষাতে, ''চাক'' ({{lang|lbe|чак}}) ও ''কাক'' ({{lang|av|как}}) ব্যবহৃত হয়, সালাতের প্রতিশব্দ হিসেবে। [[মালয়শিয়া]]য় ও [[ইন্দোনেশিয়া]]য়, ''সোলাত'' পরিভাষাটি ব্যবহৃত হয়, পাশাপাশি স্থানীয় পরিভাষা, ''সেমবাহহ্যায়াং'' ও ব্যবহৃত হয় (অর্থ "the উপাসনাকর্ম", ''সেমবাহ'' - উপাসনা, ও ''হ্যায়াং'' - ঈশ্বর বা দেবতা - শব্দ দুটি থেকে)।<ref>{{cite book|last1=YOUSOF|first1=GHULAM-SARWAR|url=https://books.google.com/books?id=AdZcCwAAQBAJ&q=solat+&pg=PT83|title=One Hundred and One Things Malay|date=30 December 2015|publisher=Partridge Publishing Singapore|isbn=9781482855340}}</ref>
কিছু মুসলিম আলেম মূল ইসলামী আরবী শব্দ "সালাত"-এর ব্যবহারকে অধিক উৎসাহিত করে থাকেন, যুক্তি হিসেবে তারা বলেন, সালাত শব্দটি কুরআনে ব্যবহৃত হয়েছে, তাই শব্দটি বলার সময় প্রতি হরফে দশ [[নেকি]] করে মোট ৪০ নেকি [[সাওয়াব] পাওয়া যাবে, যা নামাজ বা অন্যান্য অ-কুরআনীয় প্রতিশব্দ উচ্চারণে পাওয়া যাবে না। কুরআনীয় শব্দ বলায় প্রতি হরফে দশ নেকির ক্ষেত্রে তারা ইসলামী নবী [[মুহাম্মদ]]ের উক্ত হাদীসটি পেশ করেন,
{{quote|রাসূল (সা.) বলেছেন,
مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ، وَالحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا، لَا أَقُولُ الم حَرْفٌ، وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلَامٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ
‘আল্লাহ তাআলার কিতাবের একটি হরফ যে ব্যক্তি পাঠ করবে তার জন্য এর সওয়াব আছে। আর সওয়াব হয় তার দশ গুণ হিসেবে। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ, বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ।’| [সুনানে তিরমিযি, হাদিস: ২৯১০]}}
== ইতিহাস ==
|