ছিয়াত্তরের মন্বন্তর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Soumenjn (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত
MdsShakil (আলোচনা | অবদান)
Soumenjn (আলাপ)-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে FaysaLBinDaruL-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
৩৭ নং লাইন:
== কারণ ==
 
১৭৫৬ সালে [[সিরাজউদ্দৌলা|নবাব সিরাজউদ্দৌলা]] কলকাতা দখল করে নেবার পরে (২০ জুন) লর্ড ক্লাইভ এবং ওয়াটসন তামিলনাড়ু থেকে জাহাজযোগে সৈন্যবাহিনী নিয়ে আসেন ও কলকাতা পুনর্দখল করেন(২জানুয়ারি,১৭৫৭)। [[চন্দননগর]] দখল করার পরে সিরাজউদৌল্লাকে উৎখাত করার জন্য সিরাজের পরিবারের কয়েকজন ও [[মীর জাফর আলী খান|মীরজাফর]], উমিচাঁদ, [[জগৎ শেঠ|জগত শেঠ]] প্রমুখদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেন। চুক্তি মতো কাজ হয় ও নদীয়ার [[পলাশীর যুদ্ধ|পলাশির]] প্রান্তরে সিরাজউদৌল্লার সঙ্গে প্রহসন মূলক যুদ্ধ হয়। সিরাজউদৌল্লা পরাজিত হয়ে পালাবার কালে ধরা পড়ে নিহত হন। চুক্তি মতো মীরজাফর নবাব হন এবং ক্লাইভ নগদ ত্রিশ লক্ষ টাকা ও [[২৪ পরগণা|চব্বিশ পরগনা]]<nowiki/>র জায়গিরদারি লাভ করেন। জায়গির থেকে ক্লাইভের বছরে তিন লক্ষ টাকা আয় হত। পরে ১৭৬০-এ ক্লাইভ দেশে ফিরে যান। এ দিকে তার অভাবে ইংরেজরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে, তখন আবার ক্লাইভের ডাক পড়ে। ক্লাইভ এ দেশে আবার ফিরে আসেন ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে এবং ইংরেজ সরকারের গভর্নর নিযুক্ত হন। তিনি তখন দিল্লির [[দ্বিতীয় শাহ আলম|বাদশাহ শাহ আলমের]] কাছ থেকে বাংলা-বিহার-ওড়িশার দেওয়ানি লাভ করেন (১৭৬৫, আগস্ট ১)। বিহার-ওড়িশার প্রকৃত শাসন ক্ষমতা লাভ করে, নবাবের নামে মাত্র অস্তিত্ব থাকে। ফলে পূর্ব ভারতের এই অঞ্চলে যে শাসন-ব্যবস্থা চালু হয় তা '''দ্বৈত শাসন''' নামে পরিচিত। নবাবের হাতে থাকে প্রশাসনিক দায়িত্ব, আর রাজস্ব আদায় ও ব্যয়ের পূর্ণ কর্তৃত্ব পায় কোম্পানি। এতে বাংলার নবাব আসলে ক্ষমতাহীন হয়ে পড়ে আর এই সুযোগে কোম্পানির লোকেরা খাজনা আদায়ের নামে অবাধ লুণ্ঠন ও অত্যাচার শুরু করে দেয়।সে বছর অত্যধিক বৃষ্টিপাত ও বন্যার গ্রাস থেকে কৃষক ফসল ঘরে তুলতে পারে নি। তদুপরি ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা এবং খাদ্যবাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যের ফলে অবস্থার চরম অবনতি ঘটে। অথচ ব্রিটিশরাজের কোম্পানি শাসকরা পুরো বিষয়টিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে দাবি করে। কিন্তু ভিন্ন সাক্ষ্য থেকে জানা যায় যে, ১৭৬৮ সনে আদায়কৃত রাজস্ব দেড় কোটি রুপির চেয়ে ১৭৭১ সনের আদায়কৃত রাজস্বের পরিমাণ ৫,২২,০০০ রুপি বেশি ছিল, অথচ এর আগের বছরেই ঘটে যায় দুর্ভিক্ষ। এভাবে, কোম্পানি শাসনের সহযোগিতায়, খাদ্যশস্যের বাজার থেকে মুনাফা লুট এবং অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার কারণে জনমানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে। পরিণতিতে মারাত্মক দুর্ভিক্ষপীড়িত এলাকাগুলি হয়ে পড়ে জনশূন্য। জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ছায়ামানব|শেষাংশ=সৌমেন জানা|প্রথমাংশ=|প্রকাশক=বইচই পাবলিকেশন|বছর=২০২২|আইএসবিএন=|অবস্থান=কলকাতা|পাতাসমূহ=}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=d9FUmajYyqgC&pg=PT167|শিরোনাম=Enlightenment's Frontier: The Scottish Highlands and the Origins of Environmentalism|শেষাংশ=Jonsson|প্রথমাংশ=Fredrik Albritton|তারিখ=2013-06-18|প্রকাশক=Yale University Press|ভাষা=en|আইএসবিএন=9780300163742}}</ref>, প্রায় ১ কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষে মারা যায়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=BOHnCwAAQBAJ|শিরোনাম=Poverty and Famines: An Essay on Entitlement and Deprivation|শেষাংশ=Sen|প্রথমাংশ=Amartya|তারিখ=1982|প্রকাশক=OUP Oxford|ভাষা=en|আইএসবিএন=9780198284635}}</ref> কৃষি উৎপাদন আর রাজস্ব আদায় অনুরূপহারে কমে যায়। দেশে দেখা দেয় চরম বিপর্যয় ও দুর্ভিক্ষ। কয়েক লক্ষ মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যান। এ সময় বাংলার গর্ভনর ছিলেন কার্টিয়ার।
 
== পাদটীকা ==